জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে সর্বদলীয় বৈঠক শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে বৈঠকে যোগ দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা উপস্থিত হয়েছেন।
বৈঠকে অংশ নিতে বিএনপির পক্ষ থেকে এসেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার, গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের পক্ষ থেকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফয়সাল মিয়া (১৫) নামে দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও মোটরসাইকেল থাকা দুই আরোহী গুরুতর আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি ) দুপুর ১২টায় উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের খায়েরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম লিটু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শিক্ষার্থীর ফয়সালের বাড়ি উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের পাঠানপাড়া এলাকায়। সে ওই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। আহত দুজন একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে শাকিল ও তুতা মিয়ার ছেলে নাছিম। তারা প্রত্যেকেই উপজেলার বেলতৈল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তিন বন্ধু মিলে দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল। মোড় ঘুরার সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আম গাছের সাথে ধাক্কা লাগলে আহতাবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ফয়সালের মৃত্যু হয়।
এছাড়াও এ সময় আহত হয়েছে মোটরসাইকেলে থাকা আরও দুই বন্ধু। একজনকে গুরুতর অবস্থায় জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ফয়সালের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তরের আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ভাষা, শিল্প, সাহিত্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ১৪ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও জাতীয় নারী ফুটবল দলকে ‘একুশে পদক-২০২৫’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী মনোনীতদের নাম প্রকাশ করেন।
মেয়েদের ফুটবলে অসামান্য অগ্রগতি ও অবদানের জন্য ক্রীড়ায় একুশে পদক পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। টানা দুবার নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ে তাদের পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
এছাড়া প্রয়াত কবি হেলাল হাফিজ, কথাশিল্পী শহীদুল জহির, আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৪ জন বিশিষ্ট নাগরিককে চলতি বছর (২০২৫) একুশে পদক দেওয়া হবে।
একুশে পদক দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক, এককালীন অর্থ (চেক) ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হারিয়ে যাওয়া শতাধিক মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ও হাতিরঝিল থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইবনে মিজান মোবাইল ফোনগুলো হস্তান্তর করা হয়।
এর মধ্যে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ৬৫টি ও হাতিরঝিল থানা ৪১টি মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিকদের নিকট বুঝিয়ে দিয়েছে।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের অন্তর্গত দুটি থানার মোবাইল উদ্ধার টিম জানুয়ারি মাসে মোট ১০৬টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ২২ লক্ষ টাকা। বিভিন্ন কারণে মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মোবাইল ফোন মালিকদের সাধারণ ডায়েরির (জিডি) প্রেক্ষিতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় গত এক মাসে মোবাইল ফোন সেটগুলো উদ্ধার করা হয়।
তেজগাঁও বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রব্বানী হোসেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের অন্তর্গত থানা (তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এবং হাতিরঝিল থানা) নিয়ে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার টিম গঠন করে এক মাসে ১০০টি মোবাইল ফোন উদ্ধারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার টিমের সদস্যদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে গতমাসে ১০৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
এ সময় উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইবনে মিজান বলেন, আমাদের মোবাইল ফোন উদ্ধার কার্যক্রম আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে। তেজগাঁও বিভাগের ছয়টি থানাতেই মোবাইল ফোন উদ্ধার টিম গঠন করে হারানো মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিকদের নিকট দ্রুততম সময়ে ফিরিয়ে দেয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি জনসাধারণকে আরও সচেতন ভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার ও সংরক্ষণের জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন সেটগুলো দ্রুততম সময়ে ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত মোবাইল ফোন মালিকরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তথা বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। প্রিয় মোবাইল ফোনটি ফিরে পেয়ে অনেকে এ সময় আবেগপ্রবণ হয়েছেন।
সেনাবাহিনী পরিচয়ে ফ্ল্যাট দখলে পুলিশের সাহায্য চেয়ে গ্রেফতার ১৩
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
|
ছবি: বার্তা২৪.কম
জাতীয়
রাজধানীর পল্লবীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদস্য পরিচয়ে ১৫ লাখ টাকার চুক্তিতে অবৈধভাবে ফ্ল্যাট দখল করে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) জাহাঙ্গীর কবির।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে দুটি ওয়াকিটকি, বিমান বাহিনীর লোগো সম্বলিত একটি ক্যাপ, সেনাবাহিনীর চারটি ভুয়া আইডি কার্ড ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মালামাল
পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে কয়েকজন সহযোগীসহ নুরুন্নাহার লাকীর পক্ষ হয়ে পল্লবী থানার সেকশন-১১, ব্লক-এ, রোড-৭ এর ৪৪ নম্বর বাড়ির ৩য় তলার একটি ফ্ল্যাট দখল করতে গেলে স্থানীয় জনগণের বাধার সম্মুখীন হয়। এরপর ১০টা ৫০ এর দিকে তাদের ৩ জন পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জের রুমে গিয়ে নিজেদের সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ফ্ল্যাটটি দখলে পুলিশি সহায়তা চায়। তাদের কথা-বার্তা ও আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাদের দেহ তল্লাশি করা হয়। দেহ তল্লাশিকালে তাদের কাছ থেকে দুটি ওয়াকিটকি, বিমান বাহিনীর লোগো সম্বলিত একটি ক্যাপ, সেনাবাহিনীর চারটি ভুয়া আইডি কার্ড পাওয়া যায়। পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে তাদের পরিচয় যাচাই করে ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় গ্রেফতার করা হয়।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত দেড়টার দিকে পল্লবীর সাগুফতা রোড ও কিংস্টন গলিতে অভিযান চালিয়ে অপর সহযোগী শেখ মহি উদ্দিন, মো. আরিফুজ্জামান, মো. জিহাদ, মো. সোহান আকন্দ, মো. আসিফ হোসেন তারেক, মো. মিন্টু মুন্সি, মো. রিফাতুল ইসলামসহ অপর দুই অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আরও ৭ থেকে ৮ জন পালিয়ে যায়।
পল্লবী থানার বরাত দিয়ে পুলিশ কমিশনার আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার প্রতারক। তারা তাদের পলাতক সহযোগীদের সহায়তায় নিজেদের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ১৫ লাখ টাকার চুক্তিতে ফ্ল্যাটটি দখল করে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত পলাতক অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।