অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অগ্নিকাণ্ডের উদ্ধার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছেন মেয়র সাঈদ খোকন

অগ্নিকাণ্ডের উদ্ধার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছেন মেয়র সাঈদ খোকন

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাঈদ খোকন বলেন, আমরা মর্মাহত। ৭০ জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। হতাহতের সংখ্যা ৪১ জন। আহতদের মধ্যে ৩০-৩২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর বাকি কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) চকবাজার অগ্নিকাণ্ডের উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সাঈদ খোকন বলেন, 'নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাদের পরিচয় শনাক্ত করা প্রাথমিকভাবে সম্ভব হচ্ছে না, তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। সকল প্রকার পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে নিহতদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যাদের পরিচয় শনাক্ত হবে তাদের জোরাইন কবরস্থানে দাফন করা হবে।'

এখন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার অভিযানসহ সকল প্রকার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মেয়র বলেন, 'ঘটনাস্থল থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে। এছাড়া এই এলাকায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের লিস্ট করা হচ্ছে। সরকার থেকে  ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।'

এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় যদি কেউ দায়ী থাকে থাহলে সেই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, 'এলাকায় কোনোভাবেই কেমিক্যাল গোডাউন রাখা যাবে না। এ বিষয়ে আমাদের অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছিলাম।  এই অভিযানের মাত্র দুই দিনের মাথায় এ ঘটনা ঘটল। আমরা আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন বা কারখানা দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ করা হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের যদি শক্তি ও বল প্রয়োগ বা আরও কঠোর হতে হয় আমরা তাই হব।'

যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাদের সহায়তা প্রয়োজন রয়েছে তারা-০২-৯৫৫৬০১৪ নাম্বার ফোন করে সাহায্য চাইতে পারবেন। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব। এছাড়া স্থানীয় কাউন্সিলর অফিসসহ স্থানীয় থানায় সাহায্য চাইতে পারবেন।

   

আবারও মিয়ানমারের বিস্ফোরণের শব্দে প্রকম্পিত টেকনাফ সীমান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আবারও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মর্টার শেল, গ্রেনেড বোমার বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হচ্ছে টেকনাফ সীমান্ত এলাকা। 

বুধবার (২৬ জুন) সকালেও থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত থেকে। তবে মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুর থেকে শুরু হওয়া বিস্ফোরণের মাত্রা বাড়ে বিকেল থেকে। যেটি সারারাত অব্যাহত থাকে। বিকেল চারটার দিকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলির বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সীমান্তে বসবাস করা লোকজন জানান, রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুসিত বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় ঘরবাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন দেওয়া বাড়িঘরের অধিকাংশের মালিক রোহিঙ্গা নাগরিকেরা। রোহিঙ্গাদের উল্লেখযোগ্য অংশ নাফ নদী অতিক্রম করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে নাফ নদী অতিক্রম করে মিয়ানমারের লোকজনের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় আছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ড। গোয়েন্দা নজরদারি, টহলও বাড়ানো হয়েছে।

টেকনাফের শেষ প্রান্ত শাহপরীর দ্বীপের উত্তর পাড়ার বাসিন্দা এস এফ কাদের বলেন, গোলাগুলি, বিস্ফোরণের শব্দ এতই বিকট যে আমি মনে করেছি আমাদের ঘরে এসে পড়েছে। খুবই ভয়ে আছি।


মোহাম্মদ তারেক নামের আরেকজন বলেন, খুব ভয়াবহ অবস্থা ভাই। হাত পা একদিন শিউরে উঠছে ভয়ে। এই ভেবে যে, আমাদের এদিকে এসে পড়তেছে কিনা।

শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা স্থানীয় সাংবাদিক জসিম মাহামুদ বলেন, মিয়ানমারে বিস্ফোরণে কাঁপছে শাহপরীর দ্বীপ। মিয়ানমারের সংঘাত হওয়ার পর থেমে এমন বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবারের আওয়াজগুলো খুবই মারাত্মক ছিল, কোনভাবে রাতে ঘুমানো যায়নি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, মঙ্গলবার (২৫ জুন) সারারাত গোলাগুলি হয়েছে আমরা শুনেছি। গত ৬ মাসের মধ্যে কালকের গোলাগুলির শব্দ অনেক তীব্র ছিল।

এদিকে রাখাইন রাজ্যের সংঘাতের মধ্যে কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। কিছু রোহিঙ্গা এপারে পার হয়েছে বলেও জানা গেছে। এবিষয়ে ইউএনও আদনান চৌধুরী বলেন, অনুপ্রবেশের বিষয়টি বিজিবি এবং কোস্টগার্ড দেখেন। তবে সরকারের সিদ্ধান্ত হচ্ছে একটা রোহিঙ্গাও অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কোন রিপোর্টি বিজিবি বা কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে করা হয়নি। যদি অনুপ্রবেশ করেও থাকে তাহলে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে তাদের।

;

জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে আমি মারা যাব: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

আমি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে মারা যাবো। কাজেই তিনি যেন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে না পড়েন সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে কিন্তু আমাকে আর গুলি বোমা লাগবে না, এমনিতেই শেষ হয়ে যাব। কাজেই এরাই আমার প্রাণ শক্তি। এটুকু মনে রাখতে হবে।

বুধবার (২৬ জুন) এসএসএফ’র ৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে তার কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে আয়োজিত দরবারে প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, একটি বিষয় আমি নিশ্চই বলবো, আমরা রাজনীতি করি। আমার আর কোন শক্তি নেই। শক্তি একমাত্র জনগণ। সেই জনগণের শক্তি নিয়েই আমি চলি। তিনি বলেন, কাজেই জনবিচ্ছিন্ন যাতে না হয়ে যাই, আমি জানি এটা কঠিন দায়িত্ব। তারপরেও এই দিকেও নজর রাখতে হবে যে এই মানুষগুলোর জন্যইতো রাজনীতি করি। মানুষদের নিয়েই তো পথ চলা। আর যাদেরকে নিয়েই দেশের মানুষের কাজ করি তাদের থেকে যেন কোনমতে বিচ্ছিন্ন হয়ে না যাই।

সরকারপ্রধান বলেন, এটা সবসময়ই এসএসএফ’র সদস্যদের তিনি বলেন এবং মাঝে মধ্যে রাগও করেন। কাজেই এই বিষয়গুলো একটু সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখা দরকার। কারণ, তিনি যখন সরকারে ছিলেন না এই দেশের মানুষ এবং দলীয় লোক, তারাই তার পাশে ছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি এই সময় এক দরিদ্র রিকশাওয়ালার উপার্জনের সামান্য জমানো অর্থে তাদের দু’বোনের ঢাকায় যেহেতু কোন বাড়ি নেই এবং ধানমন্ডির বাড়িটিও তারা দান করেছেন সেজন্য তার নামে একটি জমি কেনার এবং তার কাছে হস্তান্তর করতে চাওয়ার একটি ঘটনার উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকবার তাকে নিষেধ করা সত্বেও সে শোনে নাই। সেই রিকশাওয়ালার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী সেই দলিলটা তার কাছে হস্তান্তর করতে চাইলে তিনি নিজে সেখানে গিয়ে তাদের বাড়ি তৈরি করে তার স্ত্রীর হাতে দলিল দিয়ে বলেন, এটা মনে করবেন আমারই বাড়ি, এখন আপনারা থাকবেন।

জাতির পিতার কন্যা বলেন, এই সাধারণ মানুষগুলোর জন্যই আমার রাজনীতি, এদের ভাগ্যের পরিবতন ও জীবনমান উন্নত করাই আমার লক্ষ্য। তাই এইসব মানুষগুলোর কাছ থেকে আমি বিচ্ছিন্ন হতে পারি না। কারণ, এরাই আমার চলার সব শক্তি জোগায়। এটা সকলকে মনে রাখার জন্য আমি অনুরোধ করছি।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এসএসএফ’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

;

রাষ্ট্রদূতকে কুয়েতে জনশক্তি রপ্তানিতে কাজ করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও কুয়েতে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও কুয়েতে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সার্বিক কল্যাণের পাশাপাশি নতুন করে জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

বুধবার (২৬ জুন) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে কুয়েতে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই নির্দেশনা দেন।

পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে জানান, সাক্ষাৎকালে কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সার্বিক কল্যাণের পাশাপাশি নতুন করে জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপ্রধান।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, কুয়েতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদ্যমান সম্ভাবনাগুলোকেও কাজে লাগাতে হবে।

নতুন রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির দিক নির্দেশনা কামনা করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: বাসস

;

বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, আহত ৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ/ছবি: বার্তা২৪.কম

বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝালকাঠির নলছিটিতে খয়রাবাদ সেতুর ঢালে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল আলম।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল থেকে পটুয়াখালীগামী একটি বাসের সাথে পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।

এ সময় চালকসহ ৪ জন যাত্রী আহত হয়। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের বরিশালের ফায়ার সার্ভিস, নলছিটি থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

ঝালকাঠি নলছিটি থানার এসআই শহিদুল আলম বলেন, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

;