গাইবান্ধায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত সেনাসদস্যের মৃত্যু

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় জমি নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১

গাইবান্ধায় জমি নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১

গাইবান্ধায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারিতে আহত রুহুল আমিন (৪৩) নামের এক সেনাসদস্যের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুই ভাই। এদিকে ওই মারামারির ঘটনায় হওয়া মামলায় প্রতিপক্ষের পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে নিহতের পরিবার সূত্রে সেনাসদস্যের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতেই রংপুর সিএমএইচে ওই সেনাসদস্যের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এই সেনাসদস্য বর্তমানে এলপিআরএ রয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারি এলাকায় ওই মারামারির ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

নিহত সেনাসদস্য রুহুল আমিন এবং আহত জাকির (৪৬) ও রতন (৪০) কাতলামারি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, মু‌ক্তি‌যোদ্ধা আনসার আলীর পরিবারের সঙ্গে অনেকদিন থে‌কেই ওই এলাকার মধু ব‌্যাপা‌রির জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। যা নিয়ে এখনও আদালতে মামলা বিচারাধীন র‌য়ে‌ছে। এরমধ্যে গতকাল মঙ্গলাবার সকালের দিকে মধু বেপারির ছে‌লেরা জমিতে সেচ দেওয়ার জন‌্য পুকুরে ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন বসান। এতে মু‌ক্তি‌যোদ্ধা আনসার আলীর ছে‌লে জা‌কির হো‌সেন, সেনা সদস‌্য রুহুল আমিন ও রতন মিয়া বাধা দিলে প্রথমে উভয়েরর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।  এক পর্যায়ে মধু বেপারির পক্ষের প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আনসার আলীর তিন ছেলেকে পিটিয়ে গুরুত আহত করেন।

পরে আহতদের তাদের স্বজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনজনকেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে সেনাসদস্য রুহুল আমিনকে নেওয়া হয় রংপুর সিএমএইচে। সেখানে গতকাল রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে, ওই মারামারির ঘটনার পর রাতে মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০ জনের নামে ফুলছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রতিপক্ষের পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত সেনাসদস্যের ছোট ভাই আহত রতনের স্ত্রী মুক্তি খাতুন মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে জানান, নিহত সেনাসদস্য আমার স্বামীর আপন বড় ভাই। তিনি মঙ্গলবার রাতেই রংপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বেশ কিছু কারণে মৃত্যুর খবরটি আমাদের তাৎক্ষণিক জানানো হয়নি। তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে।

এছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী রতন এবং তার আরেক বড় ভাই জাকির দুজনই গুরতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন।’

ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার মো. আজিজুর রহমান মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন ‘মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) মারামারির ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এসময় এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, সেনাসদস্যের মৃত্যুর খবর আমরা এখনো পাইনি।