মারমেইডে শুরু ‘বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যাল’
-
-
|
![মারমেইডে শুরু ‘বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যাল’](https://imaginary.barta24.com/resize?width=1280&quality=75&type=webp&path=uploads/news/2025/Jan/29/1738158517576.jpg)
মারমেইডে শুরু ‘বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যাল’
বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিল্প ও সংস্কৃতি উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা ব্ল্যাক রক সিটির মরুভূমিতে অনুষ্ঠিত ‘বার্নিং ম্যান’র আদলে কক্সবাজারের পরিবেশবান্ধব মারমেইড বিচ রিসোর্টে শুরু হয়েছে তিনদিনের ‘বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যাল’।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মারমেইড বিচ রিসোর্টে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। সংগীত, শিল্পকলা ও প্রকৃতির মিশেলে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ উৎসব। উৎসবকে ঘিরে বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যালের কিউরেটর জাপানের বিখ্যাত ফেস্টিভ্যাল আর্কিটেক্ট ও লাইটিং ডিজাইনার জিরো এনদো নানা ক্রিয়েটিভ লাইটিং এর মাধ্যমে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুরো উৎসব স্থান।
প্রথমদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পর্যটকসহ নানা দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে উৎসব প্রাঙ্গণ। প্রথমদিনে ৫টি মঞ্চে চলছে পরিবেশনা। একদিকে চলছে ডিজে, অন্যদিকে ম্রো নৃত্য, রাখাইন নৃত্য এবং বাউল মিউজিক। এছাড়া কয়েকটি স্টলে নানা ধরনের মুখরোচক খাবারের পরিবেশনা। সব মিলিয়ে অন্যরকম একটি উৎসব বলছেন দর্শনার্থীরা।
উৎসব দেখতে এসে বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও কক্সবাজার-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নিয়ে ফেস্টিভ্যালটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাল্টি কালচার নিয়ে আমার মনে হয় বাংলাদেশে প্রথম এমন আয়োজন হচ্ছে। এটি পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে।
আয়োজকরা জানান, এই উৎসব জাপান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, ভিয়েতনাম, আর্জেন্টিনা এবং রাশিয়া সহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীদের পারফরম্যান্সের দারুণ এক কম্বিনেশন। সঙ্গীতের পরিবেশকে আরও রঙিন করে তুলতে এই উৎসবে যুক্ত হবে মুখরোচক সব খাবার, স্থানীয় সংস্কৃতি এবং উপকূলীয় সৌন্দর্যের এক দারুণ মিশেল।
তিনি আরও জানান, উৎসবের রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ৫টি মঞ্চ, বিজলিবাতির নৌকা বা মুনবোট লাইট শো, ফায়ার শো, সি-ফুড মেডিটেশন, ইয়োগা সেশন, আর্ট থেরাপি, আর্ট ওয়ার্কশপ সহ নানা আয়োজন। এছাড়া রয়েছে ওয়ার্ল্ড ফুড মার্কেট, ফ্লুটিং মার্কেট, ফ্যাশন মার্কেট এবং বিভিন্ন খাতে অবদান রাখা মানুষদের নিয়ে টক শেসন।
বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যালের আয়োজক সামিহা আলম বৃষ্টি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এমন উৎসব আয়োজিত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এই আয়োজন দেখতে এসেছে। আমরা নতুন বাংলাদেশকে নতুন কিছু উপহার দেওয়ার জন্যই এই আয়োজন করা হয়েছে।