যাত্রাবাড়ীতে বাকপ্রতিবন্ধী দুই বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাকপ্রতিবন্ধী দুই বোনকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রেজাউল করিম (৬০) নামে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে যাত্রাবাড়ী গোলাপবাগ এলাকার একটি বাসায় এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিশুদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
শিশুদের মা অভিযোগ করে বলেন, তিনি এলাকায় রাস্তায় পিঠা বিক্রি করে। আর শিশু দুটির বাবা খিচুড়ি বিক্রি করে। বুধবার রাতে তারা কাজে ছিলেন। তখন একই ভবনের নিচ তলার ভাড়াটিয়া রেজাউল করিম তাদের বাসায় ঢুকে জোরপূর্বক দুই মেয়েকে ধর্ষণ করে। শিশু দুটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা প্রথমে এগিয়ে গেলে ঘরে ঢুকে রেজাউলকে নগ্ন অবস্থায় দেখতে পান। তখন তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। এরপর লোকমারফত খবর পেয়ে বাবা মা বাসায় ছুটে যান। বাসায় গিয়ে দুই মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তিনি আরও জানান, তারা বাড়িটির তৃতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। তাদের ৩টি মেয়ে। বড় মেয়ের বয়স ১৬ এবং মেঝ মেয়ের বয়স ৮। তারা দুজনই বাক প্রতিবন্ধী। এছাড়া ছোট মেয়েটি সুস্থ। ধর্ষক রেজাউল আগে তৃতীয় তলায় তাদের পাশের ফ্ল্যাটে থাকত। তবে তার চলাফেরা এবং কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় বাড়িওয়ালার মাধ্যমে তাকে সেখান থেকে সরিয়ে বাড়িটির নিচ তলায় ফ্ল্যাটে দেয়া হয়। এরপরও বাসা ফাঁকা পেলে সে বিভিন্ন অযুহাতে তাদের বাসায় যেতো।
পরিবারের ধারণা, এর আগেও শিশুটির সাথে এমন পাশবিক ঘটনা ঘটিয়েছে সে। এই ঘটনায় রেজাউলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন ভুক্তভোগী শিশু দুটির বাবা মা।
এদিকে, ঢাকা মেডিকেলের ওসিসির সমন্বয়কারী ডা. সাবিনা ইয়াসমিন জানান, বুধবার দিবাগত মধ্য রাতে শিশু দুটিকে পুলিশের মাধ্যমে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আজকে তাদের বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। এখনও পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসেনি। তবে প্রাথমিকভাবে বুঝা যাচ্ছে, তারা ধর্ষিত হয়েছে। শিশুরা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তারা খুবই ভয় পাচ্ছে। নিয়মিত তাদেরকে কাউন্সিলিং করা হবে।
এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসীম উদ্দীন জানান, রেজাউল করিম নামে ওই ব্যক্তি শিশু দুটিকে ধর্ষণ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। স্থানীয় লোকজনই আটকের পর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার একটি মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলায় রেজাউলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে।