বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাঁদপুর জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসানাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত এ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই কমিটি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন অনেকে।
পরে রাত সাড়ে ১০ টায় কেন্দ্রের কাছে কমিটি প্রকাশের জবাবদিহিতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি থেকে পদত্যাগ করা শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র প্রতিনিধি মোজাম্মেল হোসেন বলেন, চাঁদপুরে বৈষম্য বিরতি ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগের পরও যেভাবে কমিটি দেওয়া হয়েছে তা আমাদের মনোভূত হয়নি। এবং রাজপথে থেকে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছে তাদেরও প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। তাই এই কমিটি বিতর্কিত হয়েছে। আমরা এই কমিটিকে বয়কট এবং অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম।
তিনি বলেন, ২৪ এর আন্দোলনে শহীদ ও আহতরা যেই ম্যান্ডেডে আন্দোলন করেছে এই কমিটি সম্পন্ন তাদের মাইন্ডেডের বিরুদ্ধে অবস্থান করেছে। এই কমিটিকে বয়কট ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার ক্ষেত্রে আন্দোলনে যে-সব মূল যোদ্ধারা ছিল তাদের উপেক্ষা করা হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার নেতৃত্ব স্থানগুলোতে সম্পন্ন বৈষম্য করা হয়েছে।এই কমিটি প্রকাশের পর জেলা ও উপজেলার ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সাথে একটি কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়াও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। তাই ২১৩ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির মধ্যে প্রায় ১৬০ জন পদত্যাগ করেছে। এবং যারা পদত্যাগ করেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই জানতেন না এই কমিটিতে কীভাবে তাদের নাম আসে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, শুধু এই কমিটিকে বয়কট করি বিবেচনা করে নতুন কমিটি দিলেই হবে না কেন্দ্র আমাদের কাছে এই কমিটি নিয়ে জবাবদিহিত করতে হবে।
সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাকিব হোসেন নামের আরেকজন বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাঁদপুর জেলা কমিটি ঘোষণার লক্ষ্যে কেন্দ্র যেই আলোচনা করেছে। সেখানে যেই কথাগুলো বলেছে বাস্তবে সেই কথা তারা রাখেনি। এই কমিটির মাধ্যমে জেলা ও উপজেলার মধ্যে বিভক্ত করে বৈষম্যের সংগঠনকে ধ্বংস করার জন্য একটি কুচক্রী মহল কাজ করছে। আমরা চাইনা কারো কারণে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠনটি প্রশ্নবিদ্ধ হোক। তাই আমরা চাই সবার মতের ভিত্তিতে এই কমিটির ঘটন করা হোক। আমরা চাই না আমি-ডামির মাধ্যমে এই কমিটি হোক। আমি-ডামির মাধ্যমে এই কমিটি করা হলে চাঁদপুর জেলা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেমন জেলার ৮ টি উপজেলা ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আমরা কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানাবো অনতিবিলম্বে এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে সবার সাথে আলোচনার মাধ্যমে কমিটি দেওয়া হোক।
সাগর হোসেন নামের শিক্ষার্থী বলেন, কেন্দ্রের সাথে বৈঠকের পর আমরা সুন্দরভাবে তাদেরকে বলেছি একটি সুসংস্কৃত কমিটি প্রকাশ করার জন্য। কিন্তু তারা আমাদের কথা তো রাখলই না বরং একটি অনৈতিক কমিটি প্রকাশ করেছে।
আহ্বায়ক কমিটি থেকে এখন পদত্যাগ করেন:- কমিটির সহ মুখপাত্র সায়েম আহমেদ, যুগ্মসচিব জান্নাতুল ফেরদৌস জবা, সংগঠন হীরা কাজুনারি, আম্মার শেখ, তাহসিন হাসান ফাহিম, আইরিন আক্তার, সদস্য সামিরা জাহান রাহা, জান্নাতুল ফেরদৌস, তাসমিয়া জাহান বীভা সহ অনেকেই।