নীতি নির্ধারকরা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মর্ম ব্যথা বুঝেন না: এস এম সুজা
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারে দক্ষিণ কুতিবদিয়া পাড়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির "ভূমির অধিকার ও ভূমিহীন মানুষের বোঝাপড়া" শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কুতিবদিয়া পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জাতীয় নাগরিক কমিটি কক্সবাজারের আয়োজনে স্থানীয় ভূমিহীন প্রান্তিক মানুষের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় নাগরিক কমিটি, কক্সবাজারের সংগঠক মো: ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুতুবদিয়া ভূমিহীন সমবায় সমিতির সভাপতি শাহনেওয়াজ হিমু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম সুজা উদ্দিন বলেন, প্রাণ প্রকৃতি না থাকলে এই ইট কংক্রিটের উন্নয়ন দিয়ে কী হবে? উন্নয়নের জন্য বুলডোজার দিয়ে এখানকার প্রকৃতি বিনাশী প্রজেক্ট ফ্যাসিবাদী রেজিমের স্মারক! আমাদের নীতি নির্ধারকরা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মর্ম ব্যথা বুঝেন না। আমরা এখানকার মা, মাটি ও মানুষের প্রাণের আকুলতা বুঝতে চাই।
স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সরদার আবুল বশর বলেন, ৩৭ বছর ধরে আমরা এখানে শুধু প্রতিশ্রুতি শুনে যাচ্ছি। কেউ কথা রাখে নাই। আমাদের আয় রোজগার সমস্ত কিছু এই সমুদ্রের পাড়ে। এখানেই আমাদেরকে একটা স্থায়ী বন্দোবস্ত করে দেয়া হোক।
জানাক কক্সবাজারের সংগঠক খালিদ বিন সাঈদ বলেন, এখানকার মা, মাটি ও ভূমিজ সন্তানদের অধিকার আদায়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় থাকবে।
বীচ ইসলামিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম এজাবত উল্লাহ কুতুবী বলেন, কিছু দুষ্কৃতকারী সিভিল এভিয়েশনের যোগসাজসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ভুল রিপোর্ট দিয়ে আমাদেরকে উচ্ছেদ করতে চায়। মৃত্যু ছাড়া আমাদেরকে এখান থেকে কেউ উচ্ছেদ করতে পারবে না।
আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের ৬৮২ একরের জায়গাটা জনশুন্য দেখিয়ে দলিল করে ফেলা হয়েছে। এখান থেকে আমাদেরকে উচ্ছেদ করা হলে এখানে ৩০-৪০ হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে যাবে। শুটকী পল্লীতে ২৫ হাজার মানুষ কাজ করে। আমাদের হাতে বোনা ৬৮২ একরের জমির দলিল বাতিল করতে হবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহাদাত হোছাইন বলেন, এখানে কক্সবাজার শহর থেকে আসা যাওয়ার যে সড়ক তাতে ৩/৪ স্তরের নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমরা এখানে স্থায়ী বন্দোবস্ত চাই, এটাই আমাদের একমাত্র দাবি। কুতুবদিয়া ভূমিহীন সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম জাফর আলম হেলালি বলেন, ৯১ এর পর থেকেই আমরা এখানে বসবাস করা শুরু করি। আমরা রোহিঙ্গা না, আমরা এ দেশের প্রকৃত নাগরিক।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন কুতুবদিয়া ভূমিহীন সমবায় সমিতির কার্যকরী পরিষদ সদস্য নাজমুল হোসেন মিঠু, জানাক কক্সবাজারের সংগঠক মুহাম্মদ ইলিয়াছ, সাইফুল ইসলাম বাপ্পা, সাইদুল লতিফ সাকিব প্রমুখ।