লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চেতনানশক মেশানো খাবার খেয়ে একই পরিবারের ৬ জন অচেতন হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে ১ জন পুরুষ, ২ জন নারী ও ৩ জন শিশু।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভুক্তভোগীদের স্বজন মো. আল-আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অসুস্থরা হলেন বকুল বেগম, তার ছেলে মাকসুদ আলম, মেয়ে জোসনা আক্তার, নাতি আফরাজ, নাতনি জান্নাতসহ ৬ জন । তবে এক শিশুর নাম এখনও জানা যায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড চরপাগলা গ্রামে রুহুল আমিনের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। পরিবারের সদস্যদেরকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংস ও টাকা-স্বর্ণালংকার চুরি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে একই উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়নের ফলকন গ্রামে শাহজাহান মির্জার বাড়িতে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে ৩ পরিবারের ১২ জনকে অচেতন করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুটের ঘটনা ঘটে।
বকুল বেগমের ভাগিনা আল-আমিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের এক আত্নীয় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাকে দেখতে বকুল বেগম বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে যায়। তার ছেলে মাকসুদও দুপুরে বাজারে ছিল। তারা বাড়িতে ফিরে ৩ টার দিকে সবাই একসঙ্গে খাবার খায়। এরপর থেকেই তাদের সাড়া শব্দ ছিল না। আশপাশের মানুষ ভেবেছিল তাদের বাড়িতে কেউ নেই। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলে প্রতিবেশিদের সন্দেহ হয়। এতে তারা বাড়িতে ঢুকে বকুলসহ সবাইকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এদিকে খাবারের সঙ্গে চেতনানশক ওষুধ খাইয়ে ঘরে থাকা স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। মাকসুদ খুব শিগগিরই বিদেশ যাবে। এজন্য ঘরে টাকা রাখা ছিল ওই টাকাও নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংসও নিয়ে গেছে।
আল-আমিন বলেন, দুপুরে মামি ও মাকসুদ বাড়িতে ছিলেন না। জোসনা বাড়িতে থাকলে অসুস্থ ছিলেন। এতে এক প্রতিবেশি নারীকে দিয়ে রান্না করানো হয়। ওই খাবার খেয়েই সবাই অচেতন হয়ে পড়ে। এখন মামি একটু সুস্থ হলেও স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন না। ফলে মূল ঘটনাটি এখনও জানা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মীর মো. আমিনুল ইসলামকে কল দিলেও তারা কল রিসিভ করেননি।