আলাদা নির্বাচনের দাবি জাতীয় হিন্দু মহাজোটের

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় তারা।

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কমিটির প্রস্তাবে হিন্দুদের স্বার্থ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কোনো গঠনমূলক সুপারিশ না থাকা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবি অনুযায়ী পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার প্রস্তাব না থাকার প্রতিবাদে’ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ বক্তব্য দেন জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল। তিনি পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার কাঠামো তুলে ধরে লিখিত বক্তব্যে বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মোট জনসংখ্যা ১২ শতাংশ। এর মধ্যে হিন্দু ১০ শতাংশ। বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ২ শতাংশ। সংসদীয় আসন ৩৫০ হলে সে অনুপাতে ৪২টি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। এর ৩৮টি হিন্দুদের জন্য, ৩টি বৌদ্ধদের জন্য ও ১টি খ্রিষ্টানদের জন্য থাকতে হবে। এই আসন গুলোতে পৃথক নির্বাচনও হতে হবে।

প্রদীপ কুমার আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকারসহ সবক্ষেত্রে পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার যৌক্তিক কারণসহ সংবিধান সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব করেন তারা।

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে উল্লেখ করে প্রদীপ কুমার বলেন, এর আগে অতীতের কোন সরকারই হিন্দু সমস্যার স্থায়ী সমাধানের বিষয়ে আন্তরিক ছিলেন না। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করেছে। অথচ হিন্দু সম্প্রদায়ের উন্নয়নে আওয়ামী লীগের কোনো ভূমিকাই নেই।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি দীনবন্ধু রায় বলেন, পৃথক নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের আর কোনো দাবি নেই। তাদের এই দাবি মানা না হলে ভোট বর্জন করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সহসভাপতি নিতাই দে সরকার, যুগ্ম মহাসচিব বিশ্বনাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোর কুমার বর্মনসহ আরও অনেকে ।