মহাস্থানগড় ঘুরে দেখলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আড়াই হাজার বছরের পুরোনো জনপদ প্রাচীন পুরাকীর্তি পুণ্ড্রনগরী মহাস্থানগড় পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি ম্যাসদুপিন।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর পরিদর্শনে আসেন। এসময় রাষ্ট্রদূত মারি ম্যাসদুপিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিয়াউর রহমান। 

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রদূত মারি ম্যাসদুপিন এসময় মহাস্থানগড়ের পুরাকীর্তি খননে ফ্রান্সের চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন ছাড়াও মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, বৈরাগীর ভিটা, প্রত্নস্থল জাহাজঘাটা, গোবিন্দ ভিটা, মানকালির মন্দির, শাহ সুলতান (বলখী) মাজার, বেহুলা-লখিন্দরের বাসরঘরখ্যাত গোকুল মেধ, ভাসুবিহার পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূতের সচিব মিঃ গুইলাউম ডেসমন্টস, ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিক মিশনের সাংস্কৃতিক অ্যাটাশে মিঃ ব্যাপটিস্ট লেব্রেট, ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিক মিশনের ডেপুটি ডাইরেক্ট কোলিন রিফ্র্যাঙ্ক, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. নাহিদা সুলতানা, শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হান্নান, কস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানা প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানা জানান, ফরাসি রাষ্ট্রদূত মহাস্থানগড়ের পুরাকীর্তি খননে ফ্রান্সের চলমান কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য এখানে এসেছেন। পরে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ, মহাস্থানগড় বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। প্রসিদ্ধ এই নগরী ইতিহাসে পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামেও পরিচিত ছিল। এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। যিশু খ্রিষ্টের জন্মেরও আগে অর্থাৎ প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে এখানে সভ্য জনপদ গড়ে উঠেছিল প্রত্নতাত্ত্বিকভাবেই তার প্রমাণ মিলেছে। ২০১৬ সালে এটিকে সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।