পুলিশের পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানসহ আটজনের রায়ের জন্য আগামী ১৮ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত। মামুন পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) কর্মরত ছিলেন।

বুধবার (৫ মার্চ) মামলাটি রায়ের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত রায়ের তারিখ পিছিয়ে ১৮ মার্চ ধার্য করেন। মামলাটিতে ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ২৬ জন সাক্ষ্য দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, সুরাইয়া আক্তার কেয়া, রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, দিদার পাঠান, মিজান শেখ, আতিক হাসান ও সারোয়ার হোসেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ জুলাই গাজীপুরের জঙ্গল থেকে মামুন ইমরান খানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মামুনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

নির্ধারিত দামের বেশিতে খোলা ভোজ্যতেল বিক্রি বা মজুতদারি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

বুধবার (৫ মার্চ) নগরীর কাজীর দেউরি বাজার পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র জানান, বাজার স্থিতিশীল রাখতে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের যৌথ মনিটরিং টিম কাজ করছে। কেউ নির্ধারিত দামের বেশি নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছু ব্যবসায়ী বেশি দামে তেল কিনেছেন বলে বেশি দামে বিক্রি করতে চান, তবে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি নেওয়া যাবে না। জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, বাজারে বোতলজাত তেল পাওয়া গেলেও খোলা তেলের সরবরাহ কম। ব্যবসায়ীদের তা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ নির্ধারিত মূল্যে তেল কিনতে পারে।

রমজানে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে কেউ যাতে মানুষের কষ্টের কারণ না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসন কঠোর থাকবে বলে জানান মেয়র। যতদিন বাজার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসে, ততদিন এ মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।

এসময় চসিক সচিব আশরাফুল আমিন, ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসিফ রেজাকে ২য় স্ত্রীর যৌতুক মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে দীর্ঘ শুনানি শেষে জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর এর আদালতের বিচারিক হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩ বছর আগে আসিফ রেজা কমলনগর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর হাজিরহাট ইউনিয়নের এক গৃহবধূকে তিনি কৃষাণী গ্রুপের সভাপতি নির্বাচিত করেন। এর সুবাদে ওই গৃহবধূর বাড়িতে আসা-যাওয়া করেন আসিফ। গৃহবধূকে সভাপতি বানানোর পর তার মোটরসাইকেলে করে বিভিন্ন প্রোগ্রামে নিয়ে যেতেন। এরই সুবাদে তাদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। এদিকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসিফের স্ত্রী ও এক সন্তান রয়েছে এবং ওই গৃহবধূর স্বামীর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আসিফ ওই গৃহবধূর স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ১৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর দিয়ে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেন। এরপর তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে লক্ষ্মীপুর ভাড়া বাসায় রাখেন এবং রায়পুর উপজেলায় বদলি হয়ে যান। এরই মধ্যে তার প্রথম স্ত্রী এ সব খবর জেনে গেলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। কোনো উপায় না পেয়ে আসিফ তার প্রথম স্ত্রীর কাছে ফিরে যান এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে আসিফ তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার কথা বলে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন।

পরে দ্বিতীয় স্ত্রী চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লক্ষ্মীপুর এর আদালতে যৌতুক আইনে মামলা করেন। মামলার পর আদালত আসিফ রেজার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে। পরে আসিফ বিষয়টি সমাধান করবে বলে আদালত থেকে এক মাসের সময় নেন। সমঝোতা না হওয়ায় মঙ্গলবার আসিফ আদালতে হাজির হলে বিচারিক হাকিম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ মোরশেদ আলম শিপন জানান, বাদীপক্ষের যৌতুক মামলায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসিফ রেজাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এতে আমরা ন্যায় বিচার পাবো বলে আশা করছি।

রায়পুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, আমি অফিসে শুনেছি এবং জেলা ও বিভাগীয় অফিস তথ্য দিয়ে রেখেছি। যাবতীয় ডকুমেন্টস পেলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ৩৯ টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

এসব ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ২৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জমা রয়েছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেছেন। দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধান কালে তিনি এসব অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়। 

এরআগে ৭ অক্টোবর সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলা জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ১৭ অক্টোবর সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের নামে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।