চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
-
-
|

চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা, ছবি: বার্তা২৪
চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম মাঠে শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। স্টল নির্মাণ এবং সাজসজ্জার কাজ শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। মেলার প্রবেশদ্বারে শহীদ আবু সাঈদ ও শহীদ ওয়াসিম আকরামের ছবি স্বাগত জানাবে দর্শনার্থীদের। ফলে এবারে মেলাটি শুধু বইয়ের সাগরই হয়ে উঠবে না, বরং দর্শনার্থীদের কাছে দেশের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক গৌরবের স্মৃতিও তুলে ধরবে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মেলার উদ্বোধন করবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। সভাপতিত্ব করবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
এবার মেলায় ১৪০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে চট্টগ্রামের ৭৪টি ও ঢাকার ৪৪টি। তবে সরকারি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো, যেমন বাংলা একাডেমি ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি এখনও স্টল নেয়নি।
প্রকাশকরা জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের মানুষ সবসময় মেলাবান্ধব। এখানে মেলা হলে পাঠক ও দর্শনার্থীদের সাড়া থাকে। তবে বর্তমানে আকাশ সংস্কৃতি এবং মোবাইলের বহুমাত্রিক ব্যবহারের কারণে পাঠকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

তারা জানান, চট্টগ্রামের এই মেলা পাঠক ও প্রকাশকদের জন্য বড় একটি সুযোগ। তবে বইয়ের দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতাদের সংখ্যা কিছুটা কম হতে পারে। তরুণ প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।
একজন প্রকাশক বলেন, গতবার সিআরবিতে বইমেলা হওয়ায় পাঠকদের আনাগোনা কম ছিল এবং পরিবেশগত কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এবার জিমনেশিয়াম মাঠে মেলার আয়োজন বেশি গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরেকজন জানান, এবার বেশকিছু নতুন বই প্রকাশ করা হয়েছে। কবিতা, গল্প, উপন্যাসসহ নানা ধরনের বই মেলায় পাওয়া যাবে। মেলার পরিবেশ ও স্টলের নান্দনিকতা ভালো করার চেষ্টা করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের পাঠকরা বইমেলা নিয়ে অত্যন্ত উৎসাহী। চট্টগ্রামের একজন কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, বইমেলা মানে আমাদের জন্য এক বিশাল উৎসব। এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে আমরা আমরা পছন্দের লেখকদের বই কিনতে পারি।
মাসব্যাপী এই বইমেলায় পাঠকদের জন্য থাকছে সৃজনশীল বই, শিশুতোষ বই, গবেষণাধর্মী বইসহ বিভিন্ন ধরনের প্রকাশনা। মেলায় প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা আসতে পারবেন।
মেলায় নিরাপত্তার জন্য পুরো প্রাঙ্গণ সিসিটিভি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে দৃষ্টিনন্দন 'শহীদ জিয়া স্মৃতি পাঠাগার'।
মাসব্যাপী আয়োজনের মধ্যে থাকছে নজরুল-রবীন্দ্র উৎসব, মুক্তিযুদ্ধ উৎসব, ছড়া-কবিতা উৎসব, শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও নৃত্য প্রতিযোগিতা, দেশাত্মবোধক সংগীত এবং আরও অনেক আয়োজন। মেলা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।