আশুলিয়ায় গণ অভ্যুত্থানে নিহত ৪ মরদেহ উত্তোলন
-
-
|

ছবি: বার্তা২৪.কম
সাভারের আশুলিয়ায় দাফনের প্রায় ৬ মাস পর গণ অভ্যুত্থানে নিহত ৪ ব্যক্তির মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশনায় পুলিশ মরদেহগুলো উত্তোলন করে। মামলার তদন্তের স্বার্থে ২ টি এবং ডিএনএ টেস্টের জন্য ২ টি সহ মোট ৪ টি মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। পরে সেগুলো সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে আশুলিয়ার চারালপাড়া, পবনারটেক ও বগাবাড়ী আমবাগান এলাকায় কবরস্থান থেকে মরদেহগুলো উত্তোলন করা শুরু হয়। এসময় আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহ-কমিশনার (ভূমি) উপস্থিত ছিলেন।
প্রথমে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাইপাইল চারালপাড়া কবরস্থান থেকে নিহত জাহিদুল হাসান সাগর (২৮) এর মরদেহ উত্তোলন করা হয়। তিনি রংপুর জেলার তাজহাট থানার দূর্গাপুর গ্রামের মো রফিকুল ইসলামের ছেলে। নিহত সাগরের আপন ছোট ভাই আনোয়ারুল ইসলাম তার কবর সনাক্ত করেন।
পরে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকা থেকে আশরাফুল ইসলাম (৩১) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উত্তোলন করা হয়। আশরাফুল ইসলাম ঢাকা ইপিজেডে চাকরি করতেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। পরে ৬ আগস্ট সকালে তাকে ভাদাইল পবনারটেক কবরস্থানে দাফন করে তার পরিবার। এ ঘটনায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছিল নিহতের পরিবার। তার ভাই নাসির উদ্দিন টিপু লাশ ও কবর সনাক্ত করেন।
এরপরে আশুলিয়ার বগাবাড়ি আমতলা কবরস্থান থেকে আরও দুটি মরদেহ ডিএনএ টেস্টের জন্য উত্তোলন করা হয়। ৫ আগস্টে গুলিবিদ্ধ এই দুই মরদেহ অজ্ঞাত হিসেবে স্থানীয়রা দাফন করেছিলেন। পরে একটি ভিডিওতে লাশের ভিডিও দেখে নিহত আবুল হোসেনের স্ত্রী তার স্বামীকে চিনতে পারেন। তবে একই সাথে দুটি অজ্ঞাত লাশ থাকায় পরিচয় সনাক্তের জন্য ডিএনএ টেস্ট প্রয়োজন। লাশ উত্তোলনের সময় লাকী আক্তার উপস্থিত ছিলেন। পশ্চিম বাইপাইল এলাকায় ভাড়া থাকতেন তারা। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। আরেকটি লাশ এখনও অজ্ঞাত রয়েছে। তার পরিবারের এখনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম বলেন, ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানা এলাকায় বেশকিছু হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সেগুলো নিয়ে পরে মামলাও হয়েছে। তখন মরদেহগুলো সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন হয়েছিল। মামলার তদন্তের স্বার্থে লাশগুলো সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রয়োজন, তাই বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনায় আজকে লাশগুলো উত্তোলন করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহ-কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আক্তার বলেন, বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনায় ৪ টি মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য এগুলো পাঠানো হবে।