লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দ টিভি’র জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহিমের ওপর হামলার ঘটনায় মুন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে হাতীবান্ধা উপজেলার তেল পাম্প এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, সাংবাদিক আব্দুর রহিম গত ১৮ জুলাই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার শিকার হয়। এ ঘটনায় তিনি গত ৩ মার্চ বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় মামলা করেন। সেই মামলার একজন আসামি হলেন সির্ন্দুনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন খাঁন। ওই মামলার জের ধরে আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ হোসেন খাঁনের পুত্র যুবদল নেতা মাহফুজুর রহমান খাঁন বিপ্লবের নেতৃত্বে কয়েকজন দলবদ্ধ হয়ে সাংবাদিক আব্দুর রহিমের ওপর হামলা চালায়।

অপর একটি সুত্র বলছে, কয়েকজন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাও এ সময় সাংবাদিক আব্দুর রহিমকে মারধর করার ঘটনায় বিপ্লবকে পিছন থেকে সহযোগিতা করেন। পরে স্থানীয় লোকজন সাংবাদিক আব্দুর রহিমকে উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে তার অবস্থা আশংকাজনক হলে পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ হোসেন খাঁনের ছোট পুত্র মুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

হাতীবান্ধা প্রেসক্লাব সভাপতি ইলিয়াস বসুনিয়া পবন বলেন, আমরা স্থানীয় পুলিশকে অপরাধীদের ধরতে সময় দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করতে না পারলে আমরা আন্দোলনে নামবো।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন-নবী বলেন, সাংবাদিক আব্দুর রহিমের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পবিত্র মাহে রমজানের ষষ্ঠ দিন শুক্রবার প্রথম জুমা। সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.) দরগাহ মসজিদসহ নগরীর বিভিন্ন মসজিদে রমজানের প্রথম জুমার নামাজে ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ঢল নামে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) রমজান মাসের রহমতের ষষ্ঠ দিনে প্রথম জুমা হওয়াতে সিলেট ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা দরগাহ মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসতে থাকেন।

নামাজের পূর্বেই মুসল্লিদের উপস্থিতিতে দরগাহ মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। দরগাহ মসজিদের ভেতরে মুসল্লিরা জায়গা না পেয়ে দরগাহ উঠানে ও রাস্তায় নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। শুধু দরগাহ নয়; সিলেটের সবকটি মসজিদেরেই চিত্র ছিল এমন।

জুমার নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম মিল্লাতের সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে হালাল উপার্জনে এবাদত বন্দেগির মাধ্যমে প্রত্যেকটি মুসলমান যেন মাহে রমজানে রোজা রাখতে পারেন সেজন্য দোয়া করা হয়।

নামাজের ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন দরগাহ হজরত শাহজালাল (রহ.) মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা হুজায়েফা।

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় পারিবারিক কলহের জেরে বাবা-মাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে ছেলে। স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাতক ছেলে আবুল কালামকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের ক্যাম্পটিলায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ করে আসছিল মাদকাসক্ত আবুল কালাম। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে বাবা আব্দুর রহিম ও মা আমেনা বেগমকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে ছেলে কালাম। চিৎকারে অন্য স্বজন ও প্রতিবেশীরা এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মাটিরাঙা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়।

মাটিরাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তফিকুল ইসলাম জানান, বাবা মাকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় ছেলেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার রোসাংগিরি ইউনিয়নের দীঘিরপাড় এলাকায় মাছ চাষ প্রকল্পের নামে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুইজনকে গ্রেফতার করে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাত ১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

স্থানীয়দের সহায়তায় মাটি কাটা ও বিক্রির কাজে যুক্ত দুইটি ডাম্প ট্রাকসহ মো. ইয়াকুব (৩৫) ও মো. শাহাদাত হোসেন (৩২) নামের দুইজনকে আটক করা হয়।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কৃষি জমির মাটি কেটে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা হচ্ছিল। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ অনুযায়ী তাদের ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং মাটি পরিবহনে ব্যবহৃত দুইটি ডাম্প ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট করে কেউ যেন অবৈধভাবে মাটি বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় এভাবে কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছিল। তবে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপে এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ হবে বলে তাদের আশা।