পদ্মা-গড়াইয়ের সংসারে কবে আসবে নতুন অতিথি?



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, রাজশাহী, বার্তা২৪.কম
রাজশাহী চিড়িয়াখানায় পদ্মা ও গড়াইয়ের সংসার

রাজশাহী চিড়িয়াখানায় পদ্মা ও গড়াইয়ের সংসার

  • Font increase
  • Font Decrease

বংশ বৃদ্ধির লক্ষে ২০১৭ সালে রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার পুকুরে দু’টি ঘড়িয়ালের জুটি একত্রে রাখা হয়। এরপর দেড় বছর কেটে গেছে। তাদের প্রেম হয় জমে ওঠেনি। ফলে  কোনো সুখবরও নেই আপাতত। তবে চলতি মৌসুমেই তাদের সংসারে নতুন অতিথি আসতে পারে -এমন প্রত্যাশার কথা জানালেন কর্তৃপক্ষ।

শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. ফরহাদ উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে জানান, এখানে আগে থেকে একটি নারী ঘড়িয়াল ছিল। কিন্তু তার কোনো সঙ্গী ছিল না। তবে ২০১৭ সালের আগস্টে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে একটি পুরুষ ঘড়িয়াল বিশেষ ব্যবস্থায় চিড়িয়াখানায় আনা হয়। এরপর নারী ঘড়িয়ালটির সাথে তাকে পুকুরে অবমুক্ত করা হয়। পুরুষটি নাম গড়াই ও নারীটির নাম দেওয়া হয়েছে পদ্মা।

ডা. ফারহাদ বলছেন, ঘড়িয়াল বাংলাদেশে একটি বিপন্ন প্রাণি। দিনে দিনে এদের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমে গেছে। বর্তমান সময়ে দেশে ঘড়িয়াল দেখা ভার। রাজশাহী চিড়িয়াখানায় দু’টি স্ত্রী ঘড়িয়াল ছিল। যাদের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/01/1551446832478.jpg

সেই সময় পদ্মা নদীতে মাছ মারতে গিয়ে জেলেদের জালে আটকা পড়েছিল ঘড়িয়ালগুলো। জেলেরা সেগুলো ধরে চিড়িয়াখানায় দিয়েছিল। অপরদিকে ঢাকা চিড়িয়াখানায় যে কয়টি ঘড়িয়াল আছে সবগুলোই পুরুষ। সে কারণে ঘড়িয়ালের প্রজনন করানো সম্ভব হচ্ছিল না।

তাই দুই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি বিপন্ন প্রাণিটির প্রজনন বৃদ্ধি করতে ঘড়িয়াল বিনিময়ের উদ্যোগ নেয়। এতে বংশ বিস্তার করতে পারবে প্রাণিটি। এজন্যই ঢাকা থেকে রাজশাহীতে একটি পুরুষ ও রাজশাহী থেকে ঢাকায় একটি নারি ঘড়িয়াল স্থানান্তর করা হয়েছে। রাজশাহীর নারী ঘড়িয়ালটি ঢাকা চিড়িয়াখানায় দেওয়া হয়।

ডা. ফারহাদ বলেন, সাধারণত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ঘড়িয়ালদের প্রজনন মৌসুম। একবার প্রজননে ৩৫ থেকে ৪০টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে তারা। সাধারণত মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে তারা ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার পর তারা গর্ত খুড়ে ডিম ঢেকে রাখে। সেই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হতে সময় নেয় ৭০ থেকে ৯০ দিন।

তাই ‘পদ্মা’ ও ‘গড়াই’ এর সংসারে নতুন অতিথি আসুক সেই আয়োজনে এখনও ব্যস্ত চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তাদের প্রস্তুতিরও কমতি নেই। যে পুকুরে এই যুগলের বাস, সেটি তাদের বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা হয়েছে। ঘড়িয়াল ডিম দেয়ার পর তা গর্ত করে ঢেকে রাখে। এই সুবিধা নিশ্চিত করতে মাঝ পুকুরে বালির ঢিবি তৈরি করা হয়েছে।

এই যুগলের দেখভালে নিয়োজিত চিড়িয়াখানার কর্মীরা জানিয়েছেন, একই পুকুরে থাকলেও দীর্ঘদিন এরা আলাদা ছিল। শঙ্কা ছিল সংসারে বিবাদ বাধে কিনা। এই শঙ্কা থেকে তাদের খাবার দেয়া হত আলাদা।

তবে ধীরে ধীরে এই দূরত্ব কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন এরা একসঙ্গেই খাবার খায়। তাদের মধ্যে মিলনও দেখা গেছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, এই মৌসুমে ডিম দেবে ‘পদ্মা’। পদ্মা’র বয়স ৪০ হয়ে গেছে। ‘গড়াই’ও প্রাপ্ত বয়স্ক।

কিন্তু দীর্ঘদিন ‘যুগল আবাস’ পায়নি এরা। এছাড়া,  গঠনগত কিছু ভিন্নতাও রয়েছে। ফলে তাদের ঘনিষ্ট হতে এই সময় লেগেছে। আশা করা যাচ্ছে, এই মৌসুমেই নতুন অতিথি আসবে ‘পদ্মা’ ও ‘গড়াই’ এর সংসারে। 

   

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, ১ নম্বর সতর্কসংকেত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এ সংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। তবে এ কয়েকদিন চলমান মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

বুধবার (২২ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রকাশিত ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের সই করা ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-একটি জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আর ঢাকা, নেত্রকোণা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, ফেনী, কক্সবাজার, বাগেরহাট, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া উপকূলীয় এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

;

মানুষের দোষ না দেখে ভালো কাজ করার আহ্বান এলজিআরডি মন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

অন্য মানুষের দোষ ত্রুটি না দেখে নিজের ভালো কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বুধবার (২২মে) রাজধানীর একটি পাঁচজন তারকা হোটেলে আয়োজিত একটি কর্মশালায় (Resilient Rural transport Asset Management workshop) তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আরেকজনের দোষ ত্রুটি দেখে আমিও তার সঙ্গে চলে যাই। এটা আমাদের জন্য আসলে কল্যাণকর নয়। যিনি ভুল পথে গেছেন তার পরিণতি ভালো হবে এটা তো ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না। তাই আমরা ওগুলোকে বিবেচনায় না রাখি। কে খারাপ কাজ করেছে সেটা না দেখে, আমি অন্তত ভালো কাজ করি।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে কাজ করি। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যে কর্মসূচি আছে, এগুলোতে তারা অংশগ্রহণ করে। এখানে একটা বিষয় হলো তারা আমাদের লোন দেয়। ব্যাংক যেমন একটা কাস্টমারকে লোন দেয়। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এশিয়ান ডাবলু ওয়ান ব্যাংক, জাইকা, কেএফডাব্লিউ, এ এফ পি অথবা যারাই থাকুক না কেন তারা সবাই লোন দেয়। তারা লোন দেয় তখনই যখন দেখে যে এখানে টাকা দিলে ওই টাকাটা আবার ফেরত আসবে। ব্যাংক যেমন কাস্টমারকে টাকা দেয়ার জন্য পার্সোন করে, কেননা ব্যাংক দেখে যে ওই কাস্টমারের ইনকাম জেনারেশনের একটা স্ট্যান্ডার্ড আছে। ইন্টারনাল গভর্নমেন্ট সিস্টেম অ্যান্ড ইকনোমিকটা এমন আছে। সুতরাং সে তার ব্যাংকের টাকাটা ফেরত দিতে পারবে লাভসহ। তখন তারা তাদেরকে লোন দেয়।

তিনি বলেন, একই বিষয় বাংলাদেশ একসময় লোন পেতো না। আমাদের মহসিন সাহেব একবার আমাকে বলেছিল স্যার আমাদের ১১ বিলিয়ন ডলারের অফার আছে। কিন্তু আমরা এই লোনটা বুঝে শুনে নেই যেটা আমাদের দেশের জন্য লাভজনক হবে। আপনি যখন ব্যাংক থেকে টাকাটা নেন তখন ব্যাংকের সঙ্গে একটা বার্গেনিং করেন তো রেটে ইন্টারেস্টটা নিব। কত দিনে পরিশোধ করব। যেটা আপনার ইনকাম আছে সেটা সঙ্গে সামঞ্জস্য করে।

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সবাই মিলে আন্তরিকভাবে কাজ করি। আমরা কারও মনের ভেতর ভিজিট করি না। কিন্তু আমার মনের ভেতরের ভিজিটিং তো আমার আছে। সে কারণে আমি বিশ্বাস করি এই দেশ আমাদের প্রিয় দেশ। ১৭ কোটি মানুষের দেশ। বঙ্গবন্ধু কত স্বপ্ন আশা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। আমরা একটা গর্বিত জাতি। পৃথিবীতে আমাদের সমসাময়িক দেশ অনেকের পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের পরিবর্তন না হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের মনের ভেতর অঙ্গীকার থাকতে হবে। যে দেশ জাতি মানবতার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তারা কিন্তু পৃথিবীতে কোথাও লং টাইম সাসটেন্ড করে নাই। তাই আমরা ওগুলোকে বিবেচনায় না রাখি কে খারাপ কাজ করেছে, আমি অন্তত ভালো কাজ করি। অসুবিধার কি আছে।

;

সাতক্ষীরায় জলাধার ও পাখির অভয়াশ্রম রক্ষার দাবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
মানববন্ধন

মানববন্ধন

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে জলাধার ও পাখির অভয়াশ্রম রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২২ মে) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে বক্তারা সাতক্ষীরা শহরের প্রাণসায়ের খালকে দখল ও দূষণমুক্ত করে প্রবাহমান করা, সরকারি উদ্যোগে পতিত জায়গায় স্থানীয় জাতের বৃক্ষ রোপণ, পাখির অভয়াশ্রম তৈরি, রক্ষাণাবেক্ষণ এবং পাখি শিকার বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ, সকল প্রাণের জন্য পরিকল্পিত ও বাসযোগ্য শহর তৈরির লক্ষ্যে অন্তত ২০ ভাগ বনভূমি এবং ১৫ ভাগ জলাভূমি নিশ্চিতকরণ, নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মতামত গ্রহণ ও পরিবেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান, প্রাণ-প্রকৃতির প্রতি সদয় আচরণ করার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানানো হয়।

তারা বলেন, মানবসভ্যতা রক্ষা করতে হলে প্রাণ বৈচিত্র্য রক্ষার বিকল্প নেই। আর প্রাণ বৈচিত্র্য রক্ষায় জলাধার ও বনায়নের গুরুত্ব সর্বাধিক।

আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রাণবৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একটি দেশ। দেশে এক সময় ২০ হাজার স্থানীয় জাতের ধান, ৩৬৫ জাতের স্বাদু পানির মাছ, বিস্তীর্ণ হাওর, সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রেভ ফরেস্ট সুন্দরবন, পৃথিবীর বৃহৎ সমুদ্র উপকূল, ৩০টি কৃষি প্রতিবেশ অঞ্চল ও ১৭টি হাইড্রোলজিক্যাল অঞ্চল রয়েছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে ও অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে সবকিছু ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে। তাই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় প্রাণ বৈচিত্র্য রক্ষার গুরুত্ব সর্বাধিক।

মানববন্ধনে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আজাদ হোসেন বেলালের সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, নাগরিক নেতা আলী নুর খান বাবুল, শিক্ষক শহীদুল ইসলাম, ল’ স্টুডেন্ট ফোরামের বিপ্লব হোসেন, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের মুশফিকুর রহিম, বারসিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষার্থী তামান্না খাতুন, বৈশাখী খাতুন প্রমুখ।

;

১২ বছর বিনা টিকেটে রেল ভ্রমণ, অনুশোচনায় বকেয়া পরিশোধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা টিকেটে ১২ বছর ট্রেন ভ্রমণ করে অনুশোচনা থেকে অবসর জীবনে বকেয়া সাত হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন বেলাল উদ্দিন নামে একজন প্রকৌশলী। তিনি উপসহকারি প্রকৌশলী হিসেবে ২০২০ সালে এলজিইডি থেকে অবসর নিয়েছেন। বর্তমানে বসবাস করেন বগুড়া শহরের জহুরুল নগরে।

বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান সাজু এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার (২১ মে বিকেলে) বেলাল উদ্দিন বগুড়া রেলস্টেশনে উপস্থিত হয়ে বিনা টিকেটে ১২ বছর সপ্তাহে কমপক্ষে দুই দিন রেল ভ্রমণের বিষয়টি জানান স্টেশন মাস্টারকে। অবসর জীবনে অনুশোচনা থেকে তিনি বকেয়া ভাড়া রেলের কোষাগারে জমা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। পরে হিসেব করে প্রায় সাত হাজার টাকা বকেয়া নির্ধারণ করা হয়। বেলাল উদ্দিন নগদ সাত হাজার টাকা রেলওয়ে কোষাগারে জমা দিয়ে রশিদ গ্রহণ করেন।

বকেয়া ভাড়া পরিশোধ প্রসঙ্গে বেলাল উদ্দিন বলেন, আমি সোনাতলা উপজেলার সুজায়েতপুর গ্রামের বাসিন্দা। আমি ১৯৮৩ সালে ডিপ্লোমা পাশ করে চাকরি জীবনে প্রবেশ করি। ছাত্র জীবনে ট্রেনযোগে অসংখ্য বার বগুড়া যাতায়াত করেছি। কিন্তু সেই সময় কোনদিন টিকেট সংগ্রহ করা হয় নি। চাকরি জীবনে ট্রেন ভ্রমণ করলেও সেসময় বিনা টিকেটে ভ্রমণ করেন নি। চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর তিনি ছাত্র জীবনে বিনা টিকেটে ট্রেন ভ্রমণ করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। সেই অনুশোচনা থেকেই তিনি বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করেন।

বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান সাজু বলেন, এটা নিঃসন্দেহে ভাল খবর। বেলাল উদ্দিন বকেয়া টাকা জমা দিয়েছেন। সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।

;