সিলেট বিভাগের ওরা বিদ্রোহী, ওরা বিজয়ী



নূর আহমদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, সিলেট, বার্তা২৪.কম
বিজয়ী প্রার্থীরা, ছবি: বার্তা২৪

বিজয়ী প্রার্থীরা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়েও বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন ৫ প্রার্থী। সম্পূর্ণ স্রোতের বিপরীতে গিয়ে পড়েছেন বিজয়ের মালা। বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে যারা পরাজিত হয়েছেন তারাও ছিলেন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রদীপ রায়ের জন্য মাঠে সরব ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তা। নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে এলাকা ছাড়ার জন্য তাকে বারবার সতর্ক করেছিলেন নির্বাচন কমিশন। তারপরও মাঠে ছিলেন জয়া। তবুও জয় এনে দিতে পারেননি প্রদীপ রায়কে। এই উপজেলায় মাত্র ৬২ ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী।

তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২০ হাজার ৯২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রদীপ রায় নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৬০ ভোট।

সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদীয় আসনভুক্ত উপজেলা ধর্মপাশা। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ৪ শত ৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মোজাম্মেল হোসেন রোকন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম আহমদ মুরাদ নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৩শত ৭২ ভোট। স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন তার নির্বাচনী এলাকাভুক্ত উপজেলায় নৌকার প্রার্থীর জন্য সরব ছিলেন। তাকে বারবার সতর্ক করেছিলেন নির্বাচন কমিশন। তাতেও কাজ না হওয়ায় নির্বাচনের ঠিক দুই দিন আগে স্থগিত করা হয় জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এই আসনের সংরক্ষিত আসনের এমপি এডভোকেট শামীমা শাহরিয়ারকেও সতর্ক করেছিলেন নির্বাচন কমিশন। সেখানেও বিদ্রোহী প্রার্থীর বিজয় ঠেকানো যায়নি।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে ২৩ হাজার ২শত ৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী সফর উদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৭ হাজার ৬ শত ১ ভোট।

হবিগঞ্জ জেলায় দুটিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। এরমধ্যে সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাচ্ছিরুল ইসলাম (আনারস) ৩৫ হাজার ২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমুদুল হক (ঘোড়া) পেয়েছেন ২৮ হাজার ৪০ ভোট। এই উপজেলায় নৌকা প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীয় আসতে পারেননি।

জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম (ঘোড়া)। প্রাপ্ত ভোট ৪৭হাজার ২৩০। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী (নৌকা)। প্রাপ্ত ভোট ২৬ হাজার ১১৩। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থীর সাথে পরাজিত প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান প্রায় ২১ হাজার। 

অন্যদিকে অনেকস্থানে স্থানীয় এমপিদের অব্যাহত চাপ উপেক্ষা করে বিজয়ী হন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। প্রায় সবকটা উপজেলায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ছিলেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

   

জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ পেলেন ৭ উদ্যোক্তা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

পণ্য উৎপাদন, বিপনন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৭ বর্ষসেরা শিল্পোদ্যোক্তাকে জতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার প্রাপ্তদের নগদ পুরস্কার, ট্রফি ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার পেলেন যারা

বর্ষসেরা নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা স্বপ্না রাণী সেন, বর্ষসেরা পুরুষ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মো. শাফাত কাদির, বর্ষসেরা পুরুষ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মো. ওয়ালিউল্লাহ ভূঁইয়া, বর্ষসেরা ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা তাসলিমা মিজি, বর্ষসেরা পুরুষ মাঝারি উদ্যোক্তা আশরাফ হোসেন মাসুদ, বর্ষসেরা মাঝারি নারী উদ্যোক্তা সীমা সাহা ও বর্ষসেরা স্টার্ট আপ মদিনা আলী।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।

;

কুকুরের কামড়ে যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে কুকুরের পাল ইজাজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবককে কামড়ে হত্যা করেছে।

রোববার (১৯ মে) ভোররাতে পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারানিপাড়া নদীর পাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ইজাজুল ইসলাম উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের মৃত সমির উদ্দিনের ছেলে।

নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত ইজাজুল ইসলামের মা বাবা কেউ নেই। সে বিয়ে করেনি। তিনি পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারানিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে এসিআই কোম্পানীর মালামাল এক দোকান থেকে কিনে অন্য দোকানে বিক্রি করতেন। তিনি নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন।

ঘটনার দিন ভোররাতে ভাড়া বাসা থেকে নামাজ পড়ার মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কুকুরের পাল তাকে একা পেয়ে কামড়ে পেটের নাড়িভুড়ি বের করে ফেলে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশ কামড়ে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। এসময় একজন নারী টের পেয়ে লাঠি নিয়ে তাড়া করলে কুকুরের পাল চলে যায়। পরে ওই নারী আশপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করে নিয়ে আসার আগেই ইজাজুল মারা যায়।

নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

জনপ্রিয়তা বাড়ছে গোয়ালন্দ ইউএনও’র গণশুনানি



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজের জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীর সাথে দ্বন্দ্ব রয়েছে হাজেরা বেগমের। অনেক দিন ধরে স্থানীয়ভাবে সমাধান করার চেষ্টা চালালেও কোনো ফল আসেনি। গ্রামের মাতব্বর থেকে শুরু করে স্থানীয় সুধীজনরা সমাধান করতে পারেনি হাজেরা বেগমের সমস্যার। তিনি লোক মারফত জানতে পারেন প্রতি সপ্তাহের একদিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরাসরি সবার সমস্যার কথা শোনেন ও সমাধান করে দেন।

বিষয়টি জানার পরই তিনি দ্বারস্থ হন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গণশুনানিতে। গণশুনানিতে উপস্থিত হয়ে হাজেরা বেগমের সমস্যার কথা নিজে শোনেন ইউএনও। এরপরই তিনি সমাধানের পথ খুলে দেন। হাজেরা বেগমের সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

শুধু হাজেরা বেগমই নয়। হাজেরা বেগমের মতো রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার শত শত মানুষের সমস্যা, অভিযোগ ও আপত্তি গণশুনানিতে শুনে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। তার এই গণশুনানি দিনদিন স্থানীয় নাগরিকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

জানা যায়, প্রতি সপ্তাহের যে কোনো একদিন সেবাপ্রত্যাশী স্থানীয় নাগরিকদের সমস্যা, অভিযোগ ও আপত্তি শুনতে গণশুনানি কার্যক্রম পরিচালনা করতে ইউএনওদের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সপ্তাহের প্রতি বুধবার তিনি তার নিজ অফিস কক্ষে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই গণশুনানি পরিচালনা করে থাকেন।

গণশুনানি পরিচালনার সময় বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের সহায়তায় দ্রুত সেবাপ্রত্যাশী মানুষদের বেশির ভাগের সমস্যার সমাধান তাৎক্ষণিক করে থাকেন। কিছু সমস্যার সমাধান ডকুমেন্ট নির্ভর হওয়ায় সেগুলো সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের দ্রুত সমাধানের নির্দেশনা প্রদান করে থাকেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক সেবাপ্রত্যাশী নাগরিকদের বিভিন্ন সমস্যা, অভিযোগ ও আপত্তি নিয়ে সাপ্তাহিক গণশুনানি শুরু করেছি। প্রতি বুধবার এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেবা প্রত্যাশীদের সমস্যার কথা শুনে তাৎক্ষণিক বেশিরভাগ সমস্যা সমাধান করা হয়। অন্যান্য সমস্যাগুলো দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে থাকেন। গণশুনানির এই কার্যক্রম চলতেই থাকবে।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ২০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ছয়টা থেকে রোববার (১৯ মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৭৩ পিস ইয়াবা, ২ গ্রাম হেরোইন ও ১২ কেজি ৩০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৪টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;