গ্রাহক হয়রানি বন্ধ করুন, বিমা কোম্পানিগুলোকে তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম, বার্তা২৪.কম
বিমা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী

বিমা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিমার ক্ষতিপুরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। কিছু কোম্পানির জন্য বিমার বদনাম হচ্ছে। আস্থার সংকট দূর করার জন্য হয়রানি বন্ধ করুন।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) বেলা ১২টায় চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম মাঠে দুইদিন ব্যাপী বিমা মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশকে নিরাপদ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই।  এ লক্ষ্যে বিধবা ভাতা, বৃদ্ধ ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আনার চেষ্টা হচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রকে সোশ্যাল নিরাপত্তা নেটওয়ার্কে আনতে চাই। এর জন্য বিমা কোম্পানিগুলো এগিয়ে আসতে হবে। গাড়ি বিমার সাথে গাড়ির চালকের বিমা থাকা প্রয়োজন। দেশ দ্রুত শিল্পায়নের দিকে যাচ্ছে। দেশে শিল্পের উন্নয়ন হচ্ছে। কারকানায় যারা কাজ করে তাদের জন্য গ্রুপ বিমা হয় না। ফলে শ্রমিকদের মালিকের উপর নির্ভর করতে হয়।

তিনি বলেন, সরকারী হাসপাতালে বেশি করে আইসিইউ বেড চালু করার প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। আপনারা স্বাস্থ্য বিমা শুরু করুন। প্রপার্টি বিমা করতে পারেন।  বিদেশে প্রপার্টি বিমা আছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিন আগামী পরশু।  দেশকে নিয়ে তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন।  এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে।  তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে দেশ আরো এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পটোয়ারী বলেন, দেড়শ বছর আগে বিমা শুরু হয়েছে।  এখন আমাদের মিশন ভিশন হলো গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করা।  গত এক বছরে সাড়ে ৬ হাজার চেক দাবি নিস্পত্তি করেছি। জাতীয় অর্থনীতিতে ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির লক্ষ্য রয়েছে। বিদেশে ইন্স্যুরেন্স গ্যারান্টি রয়েছে আমাদের দেশেও তা প্রচলন করতে চাই।

বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, বিমাকে আরো এগিয়ে নিতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিতে হবে। ৭৬টি বেসরকারি কোম্পানি বিমার কাজ করছে। ঝুঁকির জন্য বিমা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জীবন বিমা করপোরেশনের সচিব ড সেলিনা আফরোজা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার  আবদুল মান্নান, মেলা কমিটির চেয়ারম্যান  গোকুল চাঁদ দাস প্রমুখ।

   

নাফনদী থেকে দুই কাঁকড়া শিকারিকে অপহরণ করেছে আরসা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদীতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে দুই বাংলাদেশি চাকমা যুবককে অপহরণ করেছে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসার) সদস্যরা। এমন অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীদের পরিবার।

বৃহস্পতিবার ( ১৬ মে) দুপুর ২ টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং নাফনদী ৫ নম্বর স্লুইচ গেইট এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।

অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ৪ নম্বর ওয়ার্ড লম্বাঘোনা মৃত ওচামং চাকমার ছেলে ছৈলা মং চাকমা (২৯) ও মংথাইংছিং তঞ্চঙ্গ্যা চাকমার ছেলে ক্যমংখো এ তঞ্চঙ্গ্যা (২৫)।

শনিবার (১৮ মে) বিষয়টি জানিয়ে টেকনাফ থানা ও ২ বিজিবি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অপহৃত ক্যমংখো তঞ্চঙ্গ্যার মা ছুছিং ছা তঞ্চঙ্গ্যা।

অভিযোগে তিনি বলেন, আমার ছেলে ও নাতি নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার ১৬ মে সকাল ৯ টার দিকে কাঁকড়া ধরার জন্য নাফনদীতে যায়। সন্ধ্যায় বাড়িতে না আসলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারি নাফ নদী থেকে আরসা সংগঠনের সদস্যরা ছেলে ও নাতিকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এখনো তিনদিন ধরে তারা আরসার সদস্যদের কাছে জিম্মি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ও টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অপহৃত ছৈলা মং চাকমার বড় ভাই সালাও মং চাকমা বলেন- কাঁকড়া আহরণ করতে গেলে হোয়াইক্যংয়ের ৫ নাম্বার স্লুইচগেইট পয়েন্ট থেকে তাদের তুলে নিয়ে যায় একদল সন্ত্রাসী। পরে জানতে পারি তারা আরসার সন্ত্রাসী। এখন পর্যন্ত কোনো মুক্তিপণ দাবি বা কেউ যোগাযোগ করেনি।

এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, দুইজন চাকমা যুবক নিখোঁজের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।

টেকনাফস্থ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ মুঠোফোনে বলেন- বিষয়টি নিয়ে আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। তাদের কারা তুলে নিয়ে গেছে সে বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে।

;

সকাল-সন্ধ্যা অফিস করা নিয়ে আপত্তি ইউপি চেয়ারম্যানদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের প্রান্তিক জনপদে সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের সরকারি কর্মকর্তাদের মতো নিয়মিত অফিস করার জন্য পরিপত্র জারি করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ।

পরিপত্র জারির পর দেশের বিভিন্ন জেলার ইউপি চেয়ারম্যানেরা এরকম সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন।

স্থানীয় সরকারের এই জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের মতো তাদের নিয়মিত সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিস করতে হলে জনগণের ভোগান্তি বাড়বে। কারণ, হিসেবে তারা বলছেন, একটি ইউনিয়ন পরিষদে নয়টি ওয়ার্ড থাকে। প্রতিদিন প্রতি ওয়ার্ডে জায়গা জমিসহ একাধিক বিষয় নিয়ে অভিযোগের মীমাংসা করতে হয় তাদের। এসব অভিযোগ সমাধানের জন্য সালিশি বৈঠকের প্রয়োজন হয়। এখন যদি সকাল-সন্ধ্যা অফিস করতে হয়, তাহলে জনগণের ভোগান্তি কমার বদলে আরো বাড়বে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ইউনিয়ন বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার জানান, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সেবা সহজীকরণ এবং জনগণের দোরগোড়ায় তা পৌঁছে দেওয়া সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। ফলে, পরিষদের চেয়ারম্যানেরা জন্ম–মৃত্যু নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে অন্যান্য সেবা প্রদান, গ্রাম আদালত পরিচালনাসহ নানাবিধ সেবা দিয়ে থাকেন। জনগণ সাধারণত অফিস সময়ে (সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা) ইউনিয়ন পরিষদের সেবা গ্রহণ করে থাকেন। ইউনিয়ন পরিষদের সেবা সহজে এবং যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চেয়ারম্যানদের সরকার নির্ধারিত অফিস সময়ে পরিষদে উপস্থিত থাকা প্রয়োজন।

সরকারের এই কর্মকর্তা আরো জানান, কোনো কারণে ইউপি জনপ্রতিনিধিরা বাইরে অবস্থান করলে বা অফিসে উপস্থিত থাকতে না পারলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অথবা প্রয়োজনে জেলা প্রশাসককে জানাবেন।

এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলার সুন্দরবন ২ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল লতিফ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা তো সরকারি কর্মকর্তা নই যে, সকাল-বিকেল অফিস করতে হবে। সাধারণ মানুষের ঝামেলা সমাধান করতে বাড়ি বাড়ি যেতে হয় আমাদের। তাছাড়া সরকার থেকে আমাদের নামে মাত্র অসম্মানজনক সম্মানী ভাতা দেওয়া হয়। তা দিয়ে কি কোনো পরিবার চলে!

ফলে, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা অফিস কীভাবে করবো বলে পাল্টা প্রশ্ন করেন তিনি।

একই রকম অভিযোগ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ১৮ নম্বর সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, সরকার আমাদের যে সিদ্ধান্ত দেয়, সেটা আমাদের অবশ্যই মেনে চলতে হবে। কিন্তু দেখেন, আমাদের ৪ হাজার টাকা সম্মানীভাতা দিয়ে সকাল-সন্ধ্যা সার্ভিস দেওয়া কতটুকু সম্ভব, সেটা ভাবতে হবে! আমরা চেষ্টা করবো, সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে চলার। তবে মনে হয় না, সরকারের এই সিদ্ধান্ত আলোর মুখ দেখবে।

একই জেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি চেয়ারম্যান বার্তা২৪.কমকে বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের মতো আমাদের বেতন-ভাতা বাড়িয়ে দিক, তাহলে আমরা সকাল-বিকেল অফিস করবো। আমাদের ইউনিয়নের অনেক নারী-পুরুষ আছেন, যারা তাদের অভিযোগ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে পারেন না। বিভিন্ন সময় আমাদের সেবা নিয়ে এই মানুষগুলোর বাড়িতে যাওয়া লাগে। আমরা চাইলেই তো সরকারি কর্মকর্তাদের মতো অফিস করতে পারি না।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যানেরা জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। আমি মন্ত্রী, আমি নিয়মিত অফিস করি। অফিস না করার কোনো সুযোগ নেই। তেমনি চেয়ারম্যান সাহেবদেরও নিয়মিত অফিস করতে হবে। যদি তাদের অন্য কোথাও কাজ থাকে, তাহলে তারা ইউএনও-কে ফোনে জানিয়ে দেবেন। তবে তারা যে একবারে অফিসে আসবেন না, এটা হতে পারে না।

এ সিদ্ধান্তে ‘ইউপি চেয়ারম্যানেরা নাখোশ’ বিষয়ে এমন মন্তব্যে মন্ত্রী বলেন, এখানে নাখোশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমি তো জনপ্রতিনিধি। আমি রাত ১০টা পর্যন্ত অনেক সময় অফিস করি। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, জনগণের সেবা নিশ্চিত করা। চেয়ারম্যানদের নানা সময়ে সাইট ভিজিট থাকতে পারে অথবা জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভা থাকতে পারে। যে সময়টা তিনি বাইরে থাকবেন, তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোনে জানিয়ে যাবেন।

;

নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে নিজেদের নবাব ভাববেন না: সিসিক মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দলের ভেতরে ও বাইরে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে নিজেদের নবাব ভাববেন না। কার দৌঁড় কতটুকু জানা আছে। আমরা এসব বিষয় নিয়ে বলতে চাই না। কে কি বলল, তা দেখার বা শোনার সময় নেই। সবাই ঠান্ডা মাথায় মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন। আপনারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ কর্মী। তাই সবাই মানবতার কল্যাণে কাজ করবেন। আপনারা সবাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বেলা ২টার দিকে নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদ রহমানের উদ্যোগে আয়োজিত শোভা যাত্রার পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সিসিক মেয়র বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই আজ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হয়েছে। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা বিদেশে ছিলেন বলেই প্রাণে বেঁচে যান। নয়তো আজ বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হতো। দেশে যখন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ঘাঁটি শক্ত করে বসে, দেশে পাকিস্তানি শাসন কায়েম হওয়ার ষড়যন্ত্র চলছিল, তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শক্তহাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন। তার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়ক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও নব নির্বাচিত সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা আজ ঐক্যবদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এমদাদ রহমান। তার বলিষ্ট নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা দেশ গড়ার কাজে মনোনিবেশ করবেন। এখন বসে থাকার সময় নেই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদ রহমান বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে কোনো আপোষ নেই। দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়ে কাজ করবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এছাড়া আওয়ামী লীগের ম্যাজিকম্যান মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের নেতৃত্বে সিলেটের নেতাকর্মীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। কেননা, অনেকে কের্মীদের জিম্মি করে নির্যাতন করে নিজেদের রাজা ভাবেন। সেসব নেতাদের দিন ফুরিয়ে আসছে।

এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও নব নির্বাচিত সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. খলিলুর রহমান খলিল, সিলেট জেলা তাতি লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন দেবনাথ, জেলা কৃষক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সালাহ উদ্দিন পারভেজ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রুমেল সিরাজ, জেলা যুবলীগ নেতা তানভীর আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক নীলয় কিশোর ধর জয়, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আহমদ চৌধুরী নয়ন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ফজলে রাব্বি, শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক, আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন শিপলু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য সাব্বির আহমদ বকশী।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামসুল ইসলাম, কানাইঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ ছাড়াও অংগসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী শোভাযাত্রা উপস্থিত ছিলেন।

পরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদ রহমানের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগ ও অংগ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে সমবেত হয়।

এর আগে সকাল থেকে ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠ প্রাঙ্গণে খণ্ড খণ্ড মিছিল আসতে থাকে। সময় যত গড়িয়েছে মিছিলে মিছিলে পরিপূর্ণ হতে থাকে রেজিস্ট্রারি মাঠ প্রাঙ্গণ। নগরীর বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও সব ক’টি উপজেলা থেকে মিছিল এসে জড়ো হতে থাকে রেজিস্ট্রারি মাঠে। শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতিলীগসহ বিভিন্ন অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

;

কিশোরগঞ্জে নারীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করবে র‍্যাব: মুখপাত্র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি মামলায় নারী আটকের পর র‍্যাব হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

তিনি বলেন, র‍্যাব আইনানুগ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে যাবে। পাশাপাশি ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার আরাফাত এ কথা বলেন।

র‍্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া নারীকে থানা থেকে আটকের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ১৩ মে ময়নসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। তার প্রেক্ষিতে মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আইনের আওতায় আনার জন্য ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একজন অসুস্থতা বোধ করলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে আজিজুল ইসলামের ছেলে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে ভৈরবের ভেড়ামারি গ্রামের হাসিম উদ্দিনের মেয়ে রেখার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। গত ২৬ এপ্রিল রেখা মারা যায়। অভিযোগ আছে শ্বশুরবাড়ির লোকদের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। গত ২ মে রেখার মা ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আজিজুল ইসলামসহ তার ছেলে ও স্ত্রীকে আসামি করে মামলা করেন। বিচারক মামলার শুনানি শেষে মামলাটি নথিভুক্ত করে তদন্ত করতে নান্দাইল থানার সাব ইন্সপেক্টর নাজমুল ইসলামকে নির্দেশ দেন। এরপর গত ১৩ মে নান্দাইল থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়।

ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নান্দাইল থানায় গিয়ে পুলিশের মাধ্যমে সুরাইয়া খাতুন, আজিজুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলামকে ডেকে আনেন। এরপর আজিজুল ইসলামকে ছেড়ে দিয়ে বাকি দুজনকে আটক করে ভৈরব ক্যাম্পে নিয়ে আসেন গভীর রাতে। শুক্রবার সকালে মৃত অবস্থায় সুরাইয়াকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান র‌্যাব সদস্যরা।

;