গ্রাহকদের আস্থা ফেরাচ্ছে বীমা মেলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম, বার্তা২৪.কম
গ্রাহকদের আস্থা ফেরাচ্ছে বীমা মেলা। ছবি: বার্তা২৪.কম

গ্রাহকদের আস্থা ফেরাচ্ছে বীমা মেলা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মো. দেলোয়ার হোসেন। পেশায় একজন চালক। পাঁচ বছর আগে স্ত্রী মরিয়ম বেগম লুকিয়ে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আগ্রাবাদ শাখায় বীমা করেছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী মারা যাওয়ার কয়েকদিন পরে ঘরের আলমারিতে বীমার কাগজপত্রের সন্ধান পান তিনি।

এরপর কাগজপত্র নিয়ে বীমা অফিসে কয়েকবার ধরনা দিলেও মেলেনি কোনো সুরাহা। উল্টো বীমার কাগজপত্র নিয়ে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। মাসিক ভিত্তিতে পরিশোধ করা পাঁচ বছর মেয়াদি এই বীমার টাকা পরিশোধ হওয়ার কথা এ বছরে। এর মাঝে স্ত্রীর এই বীমা খুলে দিতে সেই সহায়তাকারীও লাপাত্তা।

দেলোয়ার শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে নগরীর জিমনেসিয়াম হলের মাঠে বীমা মেলার কথা জানতে পারেন এক সহকর্মীর মাধ্যমে। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় ছুটে আসেন মেলায়। দীর্ঘদিনের ভোগান্তি আর হয়রানির কথা তুলে ধরেন স্টলে থাকা কর্মকর্তাদের কাছে। কিন্তু সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় ওই প্রতিষ্ঠানের শাখার একজন কর্মকর্তার কার্ড দিয়ে তাকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কাগজপত্র ছাড়া কীভাবে বীমার টাকা পরিশোধের কাজ করবেন সে সম্পর্কে কোনো পরামর্শ দেওয়া হয়নি।

দুপুর সাড়ে ১২টায় মেলার এক পাশে হতাশাগ্রস্ত দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা হয় বার্তা২৪.কমের এই প্রতিবেদকের। এমন সময়ে মাঠ পর্যায়ের অনেক কর্মী দেলোয়ারকে ঘিরে ধরেন। তারা দেলোয়ারের সমস্যার কথা শুনতে উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। সাফাই গাইলেন প্রতিষ্ঠানের সুনাম নিয়েও। তার অভিযোগের সত্যতা মিলল স্টলে থাকা প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. ফরিদ উদ্দিন নিজামীর কথায়। তিনি দেলোয়ারকে ডেকে পুনরায় নিজের কার্ড দেন। অফিসে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে কোনো সমস্যা হলে তার সঙ্গে যোগাযোগের কথা জানান।

দেলোয়ারের মতো এমন অসংখ্য বীমাকারী গ্রাহক ঘুরে বেড়িয়েছেন স্টলে স্টলে। তাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। দেলোয়ারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মো. ফরিদ উদ্দিন নিজামী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অনেক গ্রাহক একেবারে বীমা সম্পর্কে অজ্ঞ। এ সুযোগে অনেকে তাদের বিভিন্নভাবে প্রলোভিত করে টাকা হাতিয়ে নেয়। বীমার কিছু কাজ নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগ রয়েছে। আমরা আশা করব তারা চিন্তা ভাবনা করে বীমার কাজ করবেন। এক্ষেত্রে আমরা হেল্প ডেস্কসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণা করছি।’

মেলায় ৮০টি স্টল গ্রাহকদের সেবা প্রদান করছে। এর পাশাপাশি বীমার নিষ্পত্তি এবং প্রতিষ্ঠান নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

শনিবার মেলা প্রাঙ্গণে বীমা নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বীমা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। এ নিয়ে অনিয়ম, হয়রানি, বিশৃঙ্খলার অন্ত নেই। এ বিষয়ে সচেতনতা, আস্থার জায়গা তৈরি না হলে বীমা ব্যবসায় সফলতা আসবে না। গ্রাহকদের ভোগান্তি নিরসনে ক্যাম্পিং এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রমে জোর দেন উপাচার্য।

বীমা শিল্পের প্রসার ও প্রচারণার জন্য মেলার আয়োজন করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। ঢাকা, সিলেটের পরে তৃতীয়বারের মতো চট্টগ্রামে এই মেলা শুর হয় শুক্রবার। মেলার পর্দা নামছে আজ। এ নিয়ে কথা হয় মেলা উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (ইদরা) সদস্য গকুল চন্দ্র দাশের সঙ্গে।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বীমা নিয়ে বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের কোম্পানিগুলোর কাজের সমন্বয়হীনতা রয়েছে। আমরা অ্যাসোসিয়েশন এবং কোম্পানির কাজের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করছি। এছাড়াও বীমা নিয়ে মানুষের আস্থার সংকট রয়েছে। মানুষ প্রতিনিয়ত নানাভাবে হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছে। এসব বিষয়ে মেলায় কাজ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে গ্রাহকরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহায়তা করছে। আমরা আশা করব মানুষ এখন থেকে বীমা করতে সাহস পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের বীমা সংক্রান্ত কাজগুলো এখনো সময়সাপেক্ষ এবং পুরনো পদ্ধতির চালু রয়েছে। এ বছর বিশ্ব ব্যাংক থেকে ৬৩২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পেয়েছি। এর মাধ্যমে অটোমেশন পদ্ধতির আওতায় আনা হবে। এতে কাজের গতি ও হয়রানি কমে আসবে।’

   

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;