সিসি ক্যামেরার আওতায় চট্টগ্রাম ইপিজেড

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সিসি ক্যামেরার আওতায় চট্টগ্রামের ৪১ নম্বর ওয়ার্ড, ছবি: বার্তা২৪

সিসি ক্যামেরার আওতায় চট্টগ্রামের ৪১ নম্বর ওয়ার্ড, ছবি: বার্তা২৪

রাজনৈতিক সহিংসতা, চুরি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধের মাত্রা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সিটি করপোরশেনের ৪১ নম্বরের ওয়ার্ডে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। জনসাধারণের নিরাপত্তা আর ব্যবসায়ীদের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চয়তা প্রদানের লক্ষ্যেই এই ওয়ার্ডের অংশ বিশেষকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি) আওতায় আনা হয়েছে।

সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টায় ইপিজেড থানায় এ উপলক্ষে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী সমাবেশে আয়োজন করা হয়। একইসাথে স্থাপন করা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘চট্টগ্রামসহ দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইপিজেড এলাকাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা। এলাকাটিকে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, বিদেশি অতিথিদের চলাচল বেশি। এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা এবং কর্মরত শ্রমিকদের চলাচলের জন্য দায়িত্ব পালন করতে হয়। এক্ষেত্রে এলাকাটিতে সিসি ক্যামেরা খুবই প্রয়োজন। কোনো ঘটনা এবং বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। এসব কাজে সহায়তা প্রদান হিসেবে বিভিন্ন স্থানীয় প্রতিনিধি এবং প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা কৃতজ্ঞ এবং ধন্যবাদ জানাই এমন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রবণ স্থান হিসেবে সল্টগোলা থেকে সিমেন্ট ক্রস এলাকা পর্যন্ত ২৩টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পরে পুরো ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্পটে ক্যামেরা স্থাপনের এই কাজে স্থানীয় প্রতিনিধি ও পুলিশকে সহায়তায় দিচ্ছেন বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান। এর অংশ হিসেবে ইপিজেড এলাকায় এই ক্যামেরা স্থাপনে তাহমিনা এন্টারপ্রাইজ সহায়তা করেছে।

বিজ্ঞাপন

সিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘নগরীজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির জন্য আমরা ওয়ার্ড ভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এখন থেকে কমিউনিটি পুলিশ জনপ্রতিনিধিদের সাথে উঠান বৈঠকে মিলিত হবে। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক সমস্যা, অপরাধ সনাক্ত করা হবে। এতে অপরাধের মাত্রা কমে আসার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধির কাজেও গতিশীলতা ফিরে আসবেও মনে করেন তিনি।’

অনুষ্ঠানে তাহমিনা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোরশেদ আলম তাজুল বলেন, ‘আমাদের অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত এলাকা করতে এমন একটি প্রয়াস গ্রহণ করার জন্য। পুলিশের সহায়তায় এমন উদ্যোগ ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের উপকার আসবে বলে আমি মনে করি। সামনের দিনগুলোতে সকলের সহযোগিতা পেলে পুরো ওয়ার্ডে এবং অন্য এলাকায় এমন কার্যক্রমে পাশে থাকব।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) হামিদুল হক। এছাড়াও অন্যান্যর মধ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অপারেশন) আমেনা বেগম, বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (বেপজা) জেনারেল ম্যানেজার খুরশীদ আলম, কর্ণফুলী ইপিজেডের জেনারেল ম্যানেজার মসিউদ্দীন বিন মেজবাসহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।