অ্যাপভিত্তিক যাত্রী পরিবহন নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ



সেন্ট্রাল ডেস্ক ২

  • Font increase
  • Font Decrease
সড়কে অ্যাপভিত্তিক মোটরযান সার্ভিস নিয়ন্ত্রণে ‘রাইড শেয়ারিং নীতিমালা ২০১৭’ করছে সরকার। অ্যাপভিত্তিক এ পরিবহনে যাতায়াতে ভাড়া নির্ধারণ হবে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন ২০১০-এর আওতায়। ব্যক্তিগত যানবাহন বিশেষ করে মোটরযান, জিপগাড়ি, মাইক্রোবাস, অটোরিক্সা, অ্যম্বুুলেন্স নীতিমালার আওতায় আসবে। নীতিমালার আওতায় থাকছে না মোটরসাইকেল রাইড সেবা। অ্যাপভিত্তিক এ পরিবহন সেবায় যাতায়াতে ভাড়া নির্ধারন হবে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন ২০১০-এর আওতায়। সড়ক পরিবহন মন্ত্রনালয় এ নীতিমালা চূড়ান্ত করে সম্প্রতি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রী পরিষদে জমা দিয়েছে। অনুমোদন পেলে চলতি মাসেই কার্যকর হতে পারে নতুন এ নীতিমালা। নির্দিষ্ট পথে যাতায়াতে সাশ্রয়ী ও মানসম্মত চলাচল নিশ্চিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নীতিমালায়। সড়কে বর্তমানে যাত্রী পরিবহনে যুক্ত আছে উবার, পাঠাও, বাহন এবং স্যামসহ বিভিন্ন অ্যাপভিত্তিক মোটরযান। প্রস্তাবিত নীতিমালায় একজন মালিক মাত্র একটি মোটরযান রাইড শেয়ারিংয়ের আওতায় পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাইড শেয়ারিং নীতিমালার কোন শর্ত লঙ্ঘন করলে সার্টিফিকেট বাতিলসহ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। এর ফলে অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবা একটি শৃঙ্খলার আওতায় আসবে। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত যানবাহন কেনার হার কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গেছে, রাইড শেয়ারিং নীতিমালা নিয়ে স্টেকহোল্ডার ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিদের মতামত পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ নীতিমালা চুড়ান্তে অন্যদের মতামত এবং অ্যাপ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, বিশ্বের বহু দেশেই অ্যাপের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস চালু করে ব্যক্তিগত গাড়ি হ্রাস করেছে। এ ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত মোটরযানের মালিক নিজ প্রয়োজন মিটিয়ে অ্যাপ ব্যবহার করে ব্যক্তিগত গাড়ি ভাড়ায় পরিচালনা করতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশেও এ সেবা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই এটিকে নীতিমালার আওতায় আনার উদ্যোগ নেয় সরকার। ব্যক্তিগত মোটরযান ভাড়ায় চালানোয় বর্তমানে দেশে কোন আইন ও বিধিবিধান নেই। সেই ক্ষেত্রে মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর ৫৩ ধারার ক্ষমতাবলে পরীক্ষামূলকভাবে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস চালুর জন্য এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। খসড়া এ নীতিমালায় যাত্রীদের জন্য কিলোমিটার প্রতি ভাড়ার হার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি। তবে রাইড শেয়ারিংয়ে যুক্ত মোটরযানের ভাড়া সিএনজি ও ট্যাক্সিক্যাবের ভাড়ার চেয়ে বেশি হতে পারবে না। শেয়ারিং সার্ভিসে যুক্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে ২০০ মোটরযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকতে হবে। রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান ও মোটরযানের এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট থাকতে হবে। তবে ভাড়ায় চালিত হিসেবে রেজিস্ট্রেশনকৃত রুট পারমিটধারী মোটরযানের ক্ষেত্রে এ শর্ত প্রযোজ্য হবে না। নীতিমালার উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো- ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার পর কমপক্ষে এক বছর ব্যবহারের পর তা রাইড শেয়ারিংয়ের অধীনে পরিচালনার জন্য নিবন্ধন করা যাবে। রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ঢাকায় ন্যূনতম ১০০, চট্টগ্রামে ৫০ ও অন্যান্য শহরে ২০টি গাড়ি থাকতে হবে। এসব গাড়ি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে নিবন্ধিত হতে হবে। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্তির জন্য এক লাখ টাকা, ট্রেড লাইসেন্স, ইটিআইএন, ভ্যাটসহ সংশ্লিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে। লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে ১০ হাজার টাকা দিয়ে নবায়নের আবেদন করতে হবে। আর প্রতিটি মোটরযান ও বাইকের লাইসেন্স গ্রহণ ও নবায়নের জন্য প্রতিবছর যথাক্রমে এক হাজার ও ৫০০ টাকা হারে চার্জ প্রযোজ্য হবে। মোটরযান চালকের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, বর্তমান ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে সংরক্ষণ করতে হবে। যাত্রীদের অভিযোগ জানানোর সুযোগ থাকতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে যোগাযোগের জন্য এসএমএস ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়া প্রতিটি যাত্রা পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখতে হবে। চালক ও অ্যাপে বিশেষ বিধান থাকতে হবে যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে । রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে সার্টিফিকেট বাতিল ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারবে বিআরটিএ। পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণও করা যাবে। একইভাবে শর্ত ভঙ্গ করলে মোটরযান মালিক ও চালকের লাইসেন্সও বাতিল এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। কোনো কারণে ভাড়াসংক্রান্ত যাত্রী অসন্তোষ সৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে সরকার ভাড়া নির্ধারণ বা পুনর্র্নিধারণ করতে পারবে। এছাড়া যাত্রা শুরুর আগে সম্ভাব্য ভাড়া সম্পর্কে যাত্রীকে জানানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। সাধারণ মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করেই এ নীতিমালা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, এতে অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সার্ভিসে শৃঙ্খলার মধ্যে থাকবে।
   

সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে: কৃষিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাজশাহী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেছেন, রাজশাহীতে আমের ফলন কম হওয়ায় দাম বাড়তে পারে। আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর করমপুর গ্রামে আম বাগান পরিদর্শন ও চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আম রপ্তানির জন্য ২৫০-৩০০ জন কৃষককে সহায়তা করা হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড এবং ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে রপ্তানিযোগ্য আমের মান ও গুণগত মান নিশ্চিত করা যাবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া, বেলারুশ, চীন, জাপান ও ভারত বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বছর আমের ফলন ভালো হওয়ায় আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আম রপ্তানির পরিকল্পনা করছি। নতুন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এর আগে মন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলের ফার্মে মাটি বিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফার্মিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বসতবাড়ি বাগান ও কৃষি ক্ষেত পরিদর্শন করেন।

;

বেঁচে থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান অপু, দরকার সাহায্যের



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী রাসেল সিদ্দিক অপু। তারমাথা, পা ও মেরুদণ্ডসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত রয়েছে।

এ অবস্থায় নিজের অবস্থান ও জীবন নিয়ে দুঃস্বপ্নে দিন কাটছে তার।

অপু বরিশাল জেলা স্কুলের ২০০৮ ব্যাচের প্রভাতি শাখার সাবেক শিক্ষার্থী।

পড়ালেখা করেছেন সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে (২০১০ ব্যাচ)। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নিজ কর্মস্থল রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

সারা শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত অপুকে ভর্তি করা হয়েছিল কার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান তার মেরুদণ্ডের কয়েকটি হাড় ভেঙে গেছে।

স্পাইনাল কর্ডের মধ্যে দিয়ে যে নার্ভ সিস্টেম থাকে তা ছিঁড়ে গেছে। ফলে তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত প্যারালাইজড হয়ে যায়।

অপুর স্কুল জীবনের সহপাঠীরা জানিয়েছেন, তার ফিরে আসার স্বপ্ন এখনও শেষ হয়নি। বিদেশে উন্নত সার্জারি, নিউরো-ট্রান্সমিটার চিপ স্থাপন ও অ্যাডভান্সড থেরাপির মাধ্যমে তিনি আবার নিয়মিত জীবনধারায় ফিরে আসতে পারবেন।

অপুর মামাতো ভাই মো. সালাউদ্দীন আহমেদ রিফাত জানান, চিকিৎসার জন্য ৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন। এ পরিমাণ অর্থের সংস্থান করা বাংলাদেশের যেকোনো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যই প্রায় অসম্ভব। অপুর পরিবারের জন্যও তাই।

অপুর বন্ধু মাহামুদ হাসান রাজু (সোহান) জানান, চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছে অপু ও তার পরিবার।

অপুর বিষয়ে যেকোনো তথ্যের জন্য ০১৮২৭৬৯৪০৪৬ ও ০১৬৮৫৫৩৯৩৬৩ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করেছেন তারা।


ডোনেশনের জন্যঃ

ব্যাংকের তথ্যঃ

একাউন্ট নেম: MD SALAHUDDIN AHMED, MAHAMUD HASAN RAJU AND HAFIJ UDDIN AHMED RAIYAN

একাউন্ট নং: 011931100005755

ব্রাঞ্চ নেম: NRBC BANK PLC, Barishal Branch. Or NRB COMMERCIAL BANK, Barishal branch.

রাউটিং নাম্বার: 260060280

সুইফট কোড: NRBBBDDH

একাউন্ট হোল্ডারদের পরিচয়ঃ

১. মো: সালাউদ্দীন আহমেদ (রিফাত), উদয়ন স্কুল ২০০৮ ব্যাচ। (অপুর মামাতো ভাই)

২. মাহামুদ হাসান রাজু (সোহান), বরিশাল জিলা স্কুল ২০০৮ ব্যাচ (দিবা শাখা)। (অপুর বন্ধু)

৩. হাফিজউদ্দিন আহমেদ রাইয়ান, বরিশাল জিলা স্কুল ২০০৮ ব্যাচ (প্রভাতি শাখা)। (অপুর বন্ধু)

মোবাইল ব্যাংকিং তথ্যঃ

১.শান্তনু অঙ্গন। বরিশাল জিলা স্কুল, দিবা শাখা ২০০৮ ব্যাচ।

01689-024978 < পারসোনাল বিকাশ/নগদ দুটোই একই নাম্বারে।


২. মাহামুদ হাসান রাজু (সোহান)। বরিশাল জিলা স্কুল, দিবা শাখা ২০০৮ ব্যাচ

01827-694046< পারসোনাল বিকাশ/নগদ দুটোই একই নাম্বারে।


৩. কাজী মিরাজুল ইসলাম নিশান। বরিশাল জিলা স্কুল, দিবা শাখা ২০০৮ ব্যাচ।

01685-539363 < পারসোনাল বিকাশ/নগদ দুটোই একই নাম্বারে।

৪. তনু মিত্র। বরিশাল জিলা স্কুল, প্রভাতি শাখা, ২০০৮ ব্যাচ।

বিকাশঃ 01719-936837 (পারসোনাল)

নগদঃ 01913-142801

বি.দ্র: বিকাশ/নগদে সেন্ড মানি করতে হবে।

রেফারেন্সে নিজের নাম বা FFO লিখে দিবেন।

paypal: https://www.paypal.com/pools/c/94hEOCK9ZX

www.paypal.com

;

বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ, অব্যাহত থাকবে আরও কিছুদিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ, অব্যাহত থাকবে আরও কিছুদিন

বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ, অব্যাহত থাকবে আরও কিছুদিন

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকদিন ধরে নেই বৃষ্টির দেখা। এ অবস্থায় দেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ইতোমধ্যে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। চলমান তাপপ্রবাহে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৭ মে) আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবিরাজ করতে পারে।

তবে সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

;

তালতলীতে তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলায় বিদ্যুৎ প্রকল্প জন্য তিন ফসলি কৃষিজমি ও বসতভিটা অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এমন অভিযোগ এনে তা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৭ মে) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের আগাঠাকুর পাড়া গ্রামে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা আমাদের তিন ফসলি কৃষি জমি হারাতে চাই না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে দাবি, দেশের উন্নয়ন করতে গিয়ে ১ ইঞ্চিও কৃষি জমি যাতে নষ্ট করা না হয়। আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কবরসহ শত বছরে পুরোনো বসতভিটা আমরা কোন মূল্যেই হারাতে চাই না। কোন ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই ছাড় এসব জমি অধিগ্রহণ করা হলে সাধারণ মানুষসহ কৃষক পরিবারগুলো অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়বে।

মানববন্ধনে আসা কৃষক নেতা শাহজাহান টুকু বলেন, এই এলাকার শতভাগ মানুষ চাষাবাদ ও কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। এখানের কৃষকরা বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন করে এ দিয়েই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এই জমি অধিগ্রহণপ্রক্রিয়া বন্ধ না করা হলে যেকোনো ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

কুদ্দুস মৃধা নামের একজন কৃষক বলেন, সরকারের এক শ্রেণির কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে এসব জমি অধিগ্রহণ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। কৃষি জমিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগাঠাকুর পাড়া ও শিকারীপাড়া গ্রামের কৃষি জমি বলে কিছুই থাকবে না। এই জমি দিয়ে দিলে আমরা খাব কি?

এ সময় বক্তব্য রাখেন, তালতলী উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান, বড়বগী ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর মিয়া আলম মুন্সী, কৃষক নেতা শাহজাহান টুকু প্রমুখ।

ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে কৃষক, নারী, ব্যবসায়ীসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

;