সাবেক উপদেষ্টা ধীরাজ কুমার নাথ আর নেই



সেন্ট্রাল ডেস্ক ২

  • Font increase
  • Font Decrease
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ধীরাজ কুমার নাথ মারা গেছেন। শুক্রবার বিকেল সন্ধ্যা পৌঁনে ৬টায় ল্যাবএইড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। প্রয়াতের ভাগনি জামাই নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ সাবেক উপদেষ্টার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ‘গুরুতর’ শ্বাসকষ্ট হতে থাকলে তাকে (ধীরাজ কুমার নাথ) ল্যাবএইডের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার বিকেলে অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় ওনাকে লাইফ সাপোর্টে পাঠানো হয়। ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা ছিলেন ধীরাজ কুমার নাথ। এর আগে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব অবস্থায় ২০০৩ সালে দীর্ঘ ৩৪ বছর সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যান তিনি। ধীরাজ কুমার নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার রসুলপুর ইউনিয়নের রফিকপুর গ্রামে ১৯৪৫ সালের ৯ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে বাণিজ্য বিভাগে ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর ১৯৬৬ সালে নোয়াখালী সরকারি কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন তিনি। তিনি ১৯৬৯ সালে পুর্ব পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন এবং পাবনা ও পটুয়াখালী জেলায় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োজিত হন। ১৯৭৮ সালে গাজীপুর মহকুমার প্রথম মহকুমা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চাকরিজীবনে ১৯৯৮-১৯৯৯ সময়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন তিনি। ধীরাজ কুমার নাথের সম্পাদিত ১২টি বই প্রকাশ পেয়েছে। এর মধ্যে ভ্রমণকাহিনি, প্রবন্ধ সংগ্রহ, উপন্যাস উল্লেখযোগ্য। তিনি নিয়মিত কলাম লেখক ছিলেন। কয়েকটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন সরকারের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
   

ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে গেছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

শনিবার (১৮ মে) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আসেন তিনি।

বিষয়টি ডিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারের সময় জব্দকৃত নিজের মোবাইল ফোন নিতে ডিবি কার্যালয়ে আসেন মাওলানা মামুনুল হক।

গত ৩ মে সকাল ১০টার দিকে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পান।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় কারাগারেই ছিলেন মামুনুল হক।

;

পশুর প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ মন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়নোর তাগিদ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই তাগিদ দিয়েছেন।

ইউএসডিএ (ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার) এবং এসিডিআই/ ভোকা (এগ্রিকালচারাল কোওপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল/ভলেন্টিয়ারস ইন ওভারসিজ কোওপারেটিভ এসিস্ট্যান্স) এর যৌথ উদ্যোগে গৃহীত বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট লাইভস্টক প্রকল্প এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে আমাদের প্রাণিজ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তবে এ উৎপাদন বৃদ্ধি হতে হবে পরিবেশসম্মতভাবে। পশু খাদ্যের প্রকৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে পশু খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিকভাবে গো খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো গেলে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমে আসবে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সাথে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এসময় উল্লেখ করেন। এক সাথে কাজ করার মাধ্যমে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পশুর খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনার জন্য খামারিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের গবাদিপশুর শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না। বরং পরিবেশসম্মতভাবে তা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহারযোগ্য ঘাসের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন এবং ঘাস চাষের ওপর জোর দেওয়ার জন্য খামারিদের প্রতি আহবান জানান।

মন্ত্রী বলেন, পশু থেকে যে বর্জ্য বের হয় তা কিভাবে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে। গোবর থেকে যে গ্যাস উৎপন্ন হয় তা সঠিকভাবে কাজে লাগানোর উপায় বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি আহবান জানান।

;

বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে পুলিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে পুলিশ

বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে পুলিশ

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ'র (বিএমপি) ট্রাফিক পুলিশ।

শনিবার (১৮ মে) বিকেলে বরিশাল নগরীর সাগরদী এলাকার মেসার্স ডোস্ট ট্রেডার্স ফিলিং স্টেশন ও এলপিজি কনভারসন সেন্টারে এ অভিযানের উদ্বোধন করেন বিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা।

এসময় হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকদের জরিমানা করা হয়।

এছাড়াও পেট্রোল পাম্পগুলোতে জনসচেতনতামূলক লিফলেট ও স্টিকার সাঁটানো হয়েছে। পাম্প কর্তৃপক্ষকে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালকদের জ্বালানি না দিতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিএমপির ট্রফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা বলেন, সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু করেছে বিএমপির ট্রাফিক পুলিশ। হেলমেট ছাড়া জ্বালানি দেওয়া হবে না। পাশাপাশি মোটরসাইকেলে চালকসহ দুজনের বেশি বহন করা যাবে না। আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএমপির ট্রাফিক পুলিশের টি আই আঃ রহিম, টি আই পল্লব, সার্জেন্ট জাকির, পুলিশ সদস্য সোহেল সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা।

;

শিগগিরই মাগুরায় রেলপথ চালু হবে: রেলমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিগগিরই মাগুরায় রেলপথ চালু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে মধুখালি হতে কামারখালি হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করে এ কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী। 

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিদের্শ দিয়েছেন মাগুরায় নির্মিতব্য রেলপথ মাগুরা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে না। এই রেললাইনটি মাগুরা থেকে সম্প্রসারিত হয়ে কালীগঞ্জ অথবা ঝিনাইদহের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে মধুখালি হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণের প্রায় ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ যত দ্রুত শেষ করা যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে ফরিদপুর অংশে জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়েছে।

প্রকল্পের মাগুরা অংশের জমি অধিগ্রহণের জটিলতা নিরসনের জন্য সরেজমিনে দেখার জন্য এসেছি। জমি অধিগ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। সব কিছু সমাধান করে আমারা যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির, মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, প্রকল্প পরিচালক মো. আসাদুল হক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু প্রমুখ।

;