ফেনী নদী থেকে একতরফা পানি তুলে নিচ্ছে ভারত



আবদুস সাত্তার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম, বার্তা২৪.কম
ফেনী নদী। ছবি: সংগৃহীত

ফেনী নদী। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রামগড়-ফটিকছড়ি-মিরসরাই সীমান্তবর্তী ফেনী নদী থেকে একতরফা পানি তুলে নিচ্ছে ভারত। কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই ভারত ফেনী নদীতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প বসিয়ে পানি তুলছে।

জানা গেছে, ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুম মহকুমার ১৭টি সীমান্ত পয়েন্টের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে বিদ্যুৎচালিত উচ্চ ক্ষমতার প্রায় ২৫টি লো-লিফট পাম্প স্থাপন করে এ নদী থেকে পানি তুলে নিয়ে যাচ্ছে তারা। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ থেকে আপত্তি জানানো হলেও কর্ণপাত করছে না ভারত।

পানি উত্তোলন বন্ধে বিএসএফকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে বিজিবির প্রতিনিধি দল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, ফেনী নদী থেকে পানি না নেয়ার জন্য ভারতকে বেশ কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ে আলাপ আলোচনা চলছে।

তিনি বলেন, ‘ভারত শুষ্ক মৌসুমে পানি তুলে। ফেনী নদীর পানি দিয়ে তারা চাষাবাদ ও স্থানীয় জনসাধারনের খাবার পানির চাহিদা পূরণ করে। কিন্তু পানি তোলার ক্ষেত্রে আমাদের আপত্তি আছে বলে তাদের জানিয়েছি।’

এদিকে ভারত ফেনী নদী থেকে পানি তুলে নিয়ে যাওয়ায় হুমকিতে পড়ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প 'মুহুরি প্রজেক্ট'। বিশেষ করে নদীতে পানি কমে গেলে শুষ্ক মৌসুমে ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হয়। পানির অভাবে বন্ধ হয়ে যায় চাষাবাদ।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, ফেনী নদী থেকে এক দশমিক ৮২ কিউসেক পানি নিতে চাইছে ভারত। বিষয়টি বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে চুক্তি হওয়ার আগেই নিয়মিত পানি তুলে নিচ্ছে তারা। ফেনী নদী ১১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এ নদী রয়েছে প্রায় ৭০ কিলোমিটার জুড়ে।

খাগড়াছড়ির রামগড় ও ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুম পাশাপাশি এলাকা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর প্রবাহ থেকে ৩০-৩৫ গজ দূরে পাম্প হাউস স্থাপন করে পানি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাম্প হাউস থেকে নদীর পানির ধারা পর্যন্ত মাটির নিচ দিয়ে ৭-৮ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ লাগানো হয়েছে। এর মাধ্যমে পানি তুলে সাবরুম মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় সেচের মাধ্যমে চাষাবাদ করছে ভারত। দক্ষিণ ত্রিপুরার অমরপুরের শিলাছড়ি থেকে সাবরুমের আমলীঘাট পর্যন্ত পাম্প হাউসগুলো স্থাপিত হয়েছে। সেগুলোকে বেশিরভাগ বাংলাদেশের রামগড়ের সীমান্তবর্তী লাচারিপাড়া থেকে মিরসরাইয়ের অলিনগরের বিপরীত দিকে অবস্থিত।

রামগড় এলাকার স্থানীয় সমাজকর্মী নিজাম উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে জানান, বাংলাদেশের বাধা উপেক্ষা করে বছরের পর বছর পানি নিয়ে যাচ্ছে ভারত। এতে বাংলাদেশের রামগড়, ফটিকছড়ি ও মিরসরাইয়ের সীমান্তবর্তী এলাকার হাজার হাজার একর জমিতে পানির অভাবে চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শত শত ফলের বাগান। এ কারণে পথে বসার উপক্রম হয়েছে এলাকার কৃষকদের। একইভাবে পানির অভাবে হুমকির মুখে পড়ছে মিরসরাইয়ের 'মুহুরি প্রজেক্ট'ও। শুষ্ক মৌসুমে পানি নিয়ে যাওয়ায় ধু-ধু চরে পরিণত হয় ফেনী নদী।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/22/1553206003039.jpg

যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রামের জেলা প্রসাশক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, ফেনী নদীসহ অভিন্ন নদীগুলো নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে, ভারতের সাবরুমে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিজিবির প্রতিনিধি দল। কিন্তু কোনো ধরনের সুফল আমরা এখনো পাচ্ছি না।’

বিজিবি গুইমারা সেক্টর কমান্ডার আবদুল হাই বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে কমপক্ষে ২০টি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প স্থাপন করে পানি তুলে নিচ্ছে। পানি উত্তোলন বন্ধ করতে বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। বৈঠক হয়েছে। পরে বিষয়টি যৌথ নদী কমিশনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা আর এ বিষয় নিয়ে কাজ করছি না।’

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সীমান্ত থেকে ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ অবৈধ। আইন অমান্য করে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবকাঠামো নির্মাণ করে পানি নিয়ে যাচ্ছে ভারত। ২০০৩ সালে বিএসএফের পাহারায় সীমান্ত এলাকার যতীচরের বিপরীতে নদীর জলসীমা থেকে মাত্র ৩০ গজ দূরে প্রথম একটি পাম্প হাউস স্থাপন করে ভারত। সে সময় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বাধা দিলে বিএসএফ তাদের ওপর গুলি ছুড়েছিল।

পরে ভারতের আমলীঘাট, কৃষ্ণনগর, হুয়াংবাড়ি হয়ে সমরগঞ্জ পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সেচ ও সাবরুম মহকুমা এলাকায় পানি সরবরাহের জন্য একটি প্রকল্প নেয় ভারত। ৩৬ ইঞ্চির একটি পাইপ লাগিয়ে পানি নেওয়ার চেষ্টা করলে বিডিআর বাধা দেয়। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নদীরতীর সংরক্ষণ কাজ বন্ধ করে দেয় বিএসএফ। ২০১০ সালে দু'দেশের সচিব পর্যায়ে বৈঠকে এক দশমিক ৮২ কিউসেক পানি দিতে সম্মত হয় বাংলাদেশ। এরপর কাজ করতে দেয় ভারত। তবে ভারত ৫ মিটার ব্যাসের ও ২০ মিটার গভীর পাকা কূপ নির্মাণ করে সিসি পাইপ বসিয়ে পানি নিতে চাইলে রাজি হয়নি বাংলাদেশ। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর দু’দেশের মধ্যে পুনরায় বৈঠক হয়। কিন্তু কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।

   

মালয়েশিয়ায় প্রতারিত হওয়া শ্রমিকরা পাচ্ছেন আড়াই কোটি টাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ ইস্ট এশিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার জোহরবারুতে প্রতারিত হওয়া ৭৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে তাদের পাওনা বেতন বাবদ আড়াই কোটি টাকার বেশি প্রদান করা হবে।

গত ফেব্রুয়ারিতে জোহরবারুতে ৭৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের খোঁজ মেলে। তাদেরকে প্রায় ৪ মাস ধরে বিনা বেতনে কাজ করানো হচ্ছিল এবং প্রতিশ্রুত কাজও দেয়া হয়নি। এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জোহর শ্রম অধিদফতর এই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার জন্য ৪৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ।

শ্রম বিভাগ জানিয়েছে মোট অপরিশোধিত বেতনের পরিমাণ ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৭ বাথ। যা বাংলাদেশি অর্থে আড়াই কোটি টাকারও বেশি।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় শুক্রবার (১৭ মে) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কর্মসংস্থান আইন ১৯৫৫ এর ধারা ৬৯(৪) এর অধীনে জোহর শ্রম অধিদফতর এখন নিয়োগকর্তাকে দায়রা আদালতে এনে শ্রম আদালতের জারি করা আদেশ কার্যকর করবে।

মালিকপক্ষ দোষী সাব্যস্ত হলে, কোম্পানি প্রতিটি অপরাধের জন্য ৫০ হাজার রিঙ্গিত বা ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে এবং শ্রমিকদের পাওনা মজুরি নিষ্পত্তি করতে হবে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোম্পানিটির বিরুদ্ধে চলা মোট ১০টি তদন্তের মধ্যে ৪টিতে মামলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বাকি ৬টি অধিকতর তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও কোম্পানিটিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের কোটা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং নিয়োগকর্তাকে নতুন বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, একটি বিশেষ ‘নিয়োগকর্তা পরিবর্তন প্রক্রিয়া’ (পিটিএম) এর মাধ্যমে মোট ৬৯২ জন ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি কর্মীকে এরই মধ্যে নতুন কর্মস্থলে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

;

সকাল ৯টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা কিছুদিন বৃষ্টিপাতের পর গত ২-৩ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সিলেট বিভাগে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। 

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১১টা থেকে শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার মধ্যে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়, সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে সন্ধ্যায় দেয়া আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, সিলেটে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৩, নওগাঁর বদলগাছী ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ২, বগুড়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় রংপুরেও সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। 

এর পরের ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। 

;

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের আনন্দ শোভাযাত্রা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে চট্টগ্রামের ওমরগণি এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) নগরীর জিইসি মোড় থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে এম.ই.এস কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে যোগ দেয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশে ফিরে আসে তখন থেকে বাঙালি স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যাচেষ্টা করে বাঙালির সেই স্বপ্নকে নষ্ট করতে চেয়েছিল খুনিরা। কিন্তু শত বাধা,ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।

'আজকে শেখ হাসিনা মানেই উন্নত বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানেই তারুণ্যের চোখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন। ১৯৮১ সালে আজকের দিনে বিদেশের মাটি থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা স্বদেশে এসে খুনি, স্বৈরাচার জিয়ার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঘোষণা করেন, আমার হারানোর কিছুই নাই, এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য আমি লড়াই করবো।'

তারা আরও বলেন, আজ বাংলার মানুষ ভোট এবং ভাতের অধিকার ফিরে পেয়েছে, তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। সমুদ্র জয় থেকে মহাকাশ জয় শুধু শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সাহসিকতার জন্য সম্ভব হয়েছে। আজকে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমরা এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ ধন্য।

শোভাযাত্রায় কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইমাম উদ্দীন নয়ন, রাকিব হায়দার, নুরুন নবী সাহেদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাজ্জাদ হোসেন, রবিউল ইসলাম খুকু, আব্দুর রাজ্জাক, সাজ্জাদ আলম, নুর মোহাম্মাদ সানি, আওরাজ ভূইয়া রওনক, নুরুজ্জামান বাবু, তৌফিক চৌধুরী প্রমুখ।

;

লালমনিরহাটে নির্মিত হলো দেশীয় প্রযুক্তির প্রথম টার্ন টেবিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট রেল বিভাগে ব্রিটিশ আমলের প্রযুক্তি সরিয়ে দেশেই তৈরি হলো প্রথম টার্ন টেবিল। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।

ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা লালমনিরহাটে রেলের ইঞ্জিন ও কোচ ঘোরানোর টার্ন টেবিলটি প্রায় তিন দশক আগে বিকল হলে তা ব্যবহার বন্ধ করে রেল বিভাগ। তাই ইঞ্জিন বা কোচ ঘোরানোর জন্য ঢাকায় যেতে হত। লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের সিক লাইন এলাকায় প্রস্তুত দেশে তৈরি এ টার্ন টেবিলটি উদ্বোধন হলে সময় ও অর্থ দু'টোই সাশ্রয় হবে রেলওয়ের।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে দফতর জানায়, রেলের কোচ বা ইঞ্জিনকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর টার্ন টেবিলের ওপর রেখে ঘোরানো হয়। এতে বাঁ দিকের চাকা ডান দিকে, ডান দিকের চাকা বাঁ দিকে চলে যায়। ফলে দুই পাশের চাকা সমানভাবে ক্ষয় হয়। এতে চাকার স্থায়িত্ব বাড়ে ও দুর্ঘটনা ঝুঁকি কমে। ব্রিটিশ আমলে তখনকার কর্মকর্তারা যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে লালমনিরহাটে টার্ন টেবিল প্রস্তুত করেন। যা ১৯৯৩ সালে বিকল হয়ে পড়লে ব্যবহার বন্ধ করে রেলওয়ে দফতর।

'এরপর থেকে লালমনিরহাট বিভাগের কোচ ও ইঞ্জিন ঘোরানোর জন্য কোচ ও ইঞ্জিনগুলো কয়েক মাস পর পর ঢাকায় নেয়া হত। যাতে সময় ও অর্থ অপচয় হত। তাই দেশেই টার্ন টেবিল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে। লালমনিরহাটে সিক লাইন এলাকায় এটি নির্মাণের জন্য ৯শতক জমি নেয়া হয়। নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া ২৫ লাখ টাকা। বিভাগীয় রেলওয়ে দফতরের প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামানের (বাবু) নকশা ও প্রযুক্তিতে এ টার্ন টেবিলটি তৈরি হয়েছে। নির্মাণকাজ শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে আর শেষ হয়েছে গত মার্চ মাসে। খুব শীঘ্রই এটি উদ্বোধন করা হবে।

বিভাগীয় রেলওয়ে দফতরের প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামানের (বাবু) বলেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এ টার্ন টেবিলের কার্যকারিতা সফলভাবে যাচাই করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশে নির্মিত প্রথম টার্ন টেবিল। ৩৫০ টন ওজনের ভার বহনে সক্ষম এ টার্ন টেবিলে ১৪ টন ওজনের একটি ব্রিজ রয়েছে। এটি এই যন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর ওপরে ইঞ্জিন ও কোচ তুলে ঘোরানো হয়। স্থাপনাটির তিন ধাপে পাকা দেয়াল রয়েছে, যা সীমানা প্রাচীর, সুরক্ষা প্রাচীর ও লাইন দেয়াল নামে পরিচিত। এর মেঝে আরসিসি ঢালাই দেওয়া। এতে পানি জমলে পানির পাম্প দিয়ে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, টার্ন টেবিলটি নির্মাণে ৩৫০ টন ভার বহনে সক্ষম একটি রোলার থ্রাস্ট বিয়ারিং, আটটি এক্সেল বিয়ারিং, ব্রিজ নির্মাণের জন্য এমএস লোহার তৈরি এইচবিম, অব্যবহৃত রেললাইন, ট্রেনের অব্যবহৃত চারটি চাকা, এমএস টপ প্লেট, চেকার প্লেট, বলস্টার প্লেট, এমএস অ্যাঙ্গেল ও জিআই পাইপের রেলিং ব্যবহার করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবদুস সালাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সম্পূর্ণ দেশি প্রযুক্তিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্প টাকা ব্যয়ে টার্ন টেবিলটি নির্মিত হয়েছে। এতে অব্যবহৃত লাইন, চাকাসহ অন্য লৌহজাত নির্মাণ উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। রেলের কর্মকর্তারা সব সময় নিজেদের মেধা দিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন। এটি তার উদাহরণ।

;