সেবাগ্রহীতাদের দ্বারে ভিজিট ইন্ডিয়া
ভ্রমণ, চিকিৎসা, ব্যবসা-কেনাকাটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কারণেই বাংলাদেশি নাগরিকদের আস্থা এবং পছন্দের প্রতীক বন্ধুরাষ্ট্র ভারত। এসব প্রয়োজন পূরণ করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই তাদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সম্পর্কের প্রসারিত মনোভাব থেকে সেবাগ্রহীতাদের সুবিধার (ভিসা সহজতর) জন্য আঞ্চলিক ভিসা সেন্টারসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেশটি। এর ধারাবাহিকতায় অন্যান্য সেবা মানুষের কাছে তুলে ধরতে চট্টগ্রামে পলোগ্রাউন্ড মাঠে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ‘ভিজিট ইন্ডিয়া’ নামে একটি স্টলের উদ্বোধন করেছে দেশটি।
স্টলে বিভিন্ন ম্যাগাজিন এবং মানচিত্রের মাধ্যমে ভারতের পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুল ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশটির বিভিন্ন স্থানের যাবতীয় তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে স্টলের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুর ১২টায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি এর উদ্বোধন করেন। এ সময় চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম, ফার্স্ট সেক্রেটারি অব ইন্ডিয়ান শুভাশীষ সিং, অনিন্দ্য ব্যানার্জির স্ত্রী রুমা ব্যানার্জি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের সময় অনিন্দ্য ব্যানার্জি বলেন, ‘মূলত তিনটি কারণে বাংলাদেশি মানুষ ভারতে যায়। আগে ভিসা পেতে অনেক দুর্ভোগ পোহাত মানুষ। এ বছর থেকে আমরা চট্টগ্রামের নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভিসা সেন্টার খুলছি। এতে তাদের অনেক কষ্ট দূর হবে। আমরা লক্ষ্য করছি, এখন থেকে আরও অধিক মানুষ ভারতে যাবে। ২০১৭ সালে ১ লাখ সাত হাজার ভিসা দিয়েছি। ২০১৮ সালে ১ লাখ ৮৯ হাজার হয়েছে। অর্থাৎ ১৮ শতাংশ বেড়েছে। আর পুরো বাংলাদেশে সাড়ে ১৪ লাখ ভিসা প্রসেস হয়েছে। ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র সাত লাখ।’
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন খুবই ভালো। সেই ১৯৭১ সাল থেকে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে। গত দুই-তিন দশকে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক, নিরীক্ষা উন্নয়ন, মেয়েদের শিক্ষা, মৃত্যুহার হ্রাসসহ সবক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন দেখে ভারতবাসী খুবই আনন্দিত। আমরা বাংলাদেশের এমন অগ্রযাত্রার সঙ্গী হয়ে থাকতে চাই।’