গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে সংঘবদ্ধ ভয়ঙ্কর ছিনতাই চক্রের ৭ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। র্যাব জানায়, আটককৃতরা সবাই মাদকসেবী। মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে তারা ছিনতাইয়ের কাজ করতেন।
রোববার (২৪ মার্চ) কাওরান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের সম্পর্কে এই তথ্য দেন র্যাব ১'র অধিনায়ক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গাজীপুর মহানগরীর আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া, টঙ্গী-কালিগঞ্জ রুটে দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাই করে আসছে এই চক্র।’
গতকাল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, আব্দুল্লাহপুর এলাকায় অপরাধকর্ম ঘটনার জন্য প্রস্তুতিকালে তাদেরকে আটক করা হয়।
সারোয়ার বিন কাশেম আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে জানা যায়। তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে এই রুটে বাসে যাতায়াত করে এমন সাধারণ যাত্রীদের কাছে থেকে ছিনতাই করতেন। রুমালের মধ্যে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট করে নিতেন তারা।'
এই চক্রের সদস্যরা রুমাল বিক্রির নামে বাসে উঠে। কৌশলে পূর্বে থেকে চেতনানাশক স্প্রে মিশিয়ে রুমাল বের করে যাত্রীদের নাকের কাছে ধরে। তাদের একজন সদস্য সেখানে রুমাল কেনার অজুহাতে দরদাম করতে থাকে। যাতে করে চেতনানাশক স্প্রে দীর্ঘ সময় ধরে যাত্রীর কাছে ধরে রাখা যায়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এই চক্রের প্রতিটি সদস্য মাদকাসক্ত। তারা হিরোইন, ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক সেবন করে। এ চক্রের প্রত্যেক সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।’
সিইসি’কে স্বশরীরে চাটখিলের ভোট প্রত্যক্ষ করার আহবান
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
জাতীয়
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাদের অতি-উৎসাহী আচরণ ও জনগনের মাঝে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের কারণে সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরী হয়েছে দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) স্বশরীরে চাটখিল এসে ভোট গ্রহণ প্রত্যক্ষ করার আহবান জানিয়েছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জেড.এম আজাদ খান।
শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে চাটখিল পৌরসভার নিজ বাসভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সিইসি’কে তিনি এই আহবান জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে জেড.এম আজাদ খান বলেন, তিনি নির্বাচনী কর্মকান্ড শুরু করার পর থেকে তার নির্বাচনী কর্মীদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি এমনকি প্রাণ নাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রিটার্নি কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিয় কর্মকর্তা ও থানা পুলিশে অভিযোগ করেও তিনি কোন প্রতিকার পাননি। দোয়াত কলম প্রতিকের প্রার্থী (বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান) জাহাঙ্গীর কবিরের পক্ষে থানার ওসি সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন। যা তার কর্মকান্ডে প্রতীয়মান হচ্ছে। ওসি তার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। যাহা সুষ্ঠ-নিরপেক্ষ ভোটের পরিবেশে বাধাঁ সৃষ্টি করবে বলে দাবি করেন তিনি। তাই অবাধ, সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থে চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হকের অপসারণের দাবি জানান এই প্রার্থী ।
জেড.এম আজাদ খান আরো বলেন, চাটখিল মহিলা ডিগ্রি কলেজের সভাপতি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান দোয়াত কলমের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির। তাই ওই কলেজের শিক্ষকদের প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দিয়ে নির্বাচনে তাদের মাধ্যমে ভোট জালিয়াতির আশঙ্কা রয়েছে। একইভাবে খিলপাড়া আবদুল ওহাব ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকগণও সরাসরি তার সমর্থনে রয়েছে। ফলে এই দুই কলেজের শিক্ষকদের কোনভাবেই নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে রাখা যাবে না। যদি রাখা হয় তাহলে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদ খানের কর্মী-সমর্থকসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্টনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক কর্মকান্ডের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালীল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে ওসির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠলে নির্বাচনের সময় তাকে প্রত্যাহার করা হবে।
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও নিথর দেহে বাড়ির পথে আলতাবুর!
আল-আমিন রাজু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম ঢাকা
জাতীয়
জামালপুরের মাদারিগঞ্জ থানার গুইনারবাড়ি এলাকার গোলাপ শেখের ছেলে আলতাবুর রহমান (৪০)। রাজমিস্ত্রীর কাজ করে পরিবার নিয়ে রাজধানীর বাসাবো মায়াকানন এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। জীবন যুদ্ধে স্ত্রী আফরোজা বেগমকে সঙ্গে করে ঢাকায় থাকলেও দুই সন্তান থাকতেন গ্রামের বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ঢাকায় ফিরে সকালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন আলতাবুর। কিন্তু দিন পার হওয়ার আগে ফের বাড়ির পথে। তবে এবার নিথর দেহে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে চেপে।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছয় দিন আগে আলতাবুরের বড় বোন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বোনের মৃত্যুর খবরে বাড়িতে যান। পাঁচদিন পর গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকায় ফিরেছিলেন। আজ সকালে কাজে যোগ দিয়ে কাজ শুরুর আগেই ১০ তলা ভবন থেকে পড়ে মারা যান।
শুধু আলতাবুর নয় রাজধানীর সবুজবাগ থানার আহমেদবাগ ফাস্ট লেন মায়াকানন মসজিদের পেছনের একটি নির্মাণাধীন ভবনের ১০ তলায় কাজ করতে গিয়ে তিন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই আলতাবুর ও মো. অন্তরের মৃত্যু হয়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মফিজুল ইসলাম (২০)কে উদ্ধার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করে স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে গিয়ে দেখা যায়, নিহত তিন জনের কারোই স্বজন উপস্থিত নেই। কয়েকজন পরিচিত, বন্ধু ও দূর সম্পর্কের আত্মীয় এসেছেন। তাদের কাছ থেকে নিহত তিন শ্রমিকের সঙ্গে কাজ করা মিন্ত্রী মো. হালিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, গতকাল ভবনের বাইরের দিকে প্লাস্টার করার জন্য বাঁশ দিয়ে মাচা বানানো হয়েছে। আজ সকালে প্লাস্টারের কাজ শুরুর আগে পানি দেওয়ার জন্য আলতাবুর, মফিজ ও শান্ত মাচার ওপরে যান। হঠাৎ মাচার একটি বাঁশ ভেঙে তারা দুই ভবনের মাঝে পড়ে যায়। কপাল খারাপ ছাড়া কিছুই বলার নেই।
তিনি আরও বলেন, আলতাবুর ছয়দিন পর আজ সকালে কাজে আসেন। তার বড় বোন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলো। হঠাৎ তার মৃত্যুর খবর পেয়ে গ্রামের বাড়িতে যান। গতকাল রাতে জামালপুর থেকে ঢাকায় আসেন। আজ সকালে কাজে এসে পানি দিতে গিয়ে বাঁশ ভেঙে নিচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সময়ে আমি নিচে ছিলাম ওরা ওপরের দিকে ছিলো। নিচে পড়ে যাওয়ার পরপরই মৃত্যু হয় আলতাবুর ও অন্তরের। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান মফিজুর।
নিরাপত্তা বেল্ট ব্যবহার করতেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না। আমরা কোনো বেল্ট ব্যবহার করতাম না। কেউ কখনো এগুলো ব্যবহার করতে দেয়নি।
রাজমিস্ত্রীর সহকারীর কাজ করা মফিজুর রহমানের মৃত্যুর খবরে তার কয়েকজন বন্ধু ছুটে এসেছেন ঢামেকের মর্গের সামনে। তারা বন্ধুর লাশের অপেক্ষা করছেন। মফিজুরের বন্ধুরা বার্তা২৪.কমকে বলেন, মফিজুর তিন মাস আগে বিয়ে করেছে। তার বাবাও একজন রাজমিস্ত্রী। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের সদর থানার চরপাড়া এলাকায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে বড়। গতকাল রাত ১০ টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে বাসায় গেছে। সকালে কাজে এসে ভবন থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়।
একই ঘটনায় নিহত অন্তরের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার তাড়াটিয়া চরপাড়া এলাকায়। তিনি রাজমিন্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
তিন শ্রমিকের ঘটনায় সবুজবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা। তিনি বলেন, বাসাবোর মায়াকানন এলাকায় ভবন থেকে পড়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন আলতাবুরের স্ত্রী আফরোজা। মামলায় অবহেলা জনিত কারণে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বান্দরবানের থানচির তিন্দু ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড থুইসাপাড়ার দুর্গম জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এ সময় পাহাড়িদের ১১টি বসত ঘর পুড়ে গিয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মে) ১০ টার দিকে থুইসাপাড়ায় পাহাড়িদের রান্নাঘর থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারনা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, অগ্নিকাণ্ডে থুইসাপাড়ায় বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি পুড়ে যায়। তবে, বিজিবি সদস্যদের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় রক্ষা পেয়েছে পাহাড়ি বাড়িঘর ও তাদের অন্যান্য সম্পদ।
আগুন নেভাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন পাহাড়ি মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের বিজিবি ক্যাম্পের মেডিক্যাল সহকারী তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করেছে।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের (৩৮ বিজিবি) অধীনস্থ জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ থুইসাপাড়ায় পাহাড়িদের রান্নাঘর থেকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্প থেকে বিজিবির সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে গিয়ে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিজিবির কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় সাতটি বসতঘর পুড়ে গেলেও রক্ষা পায় কমপক্ষে ১৫টিরও বেশি বসত বাড়ি ও অন্য সম্পদ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের পক্ষ থেকে দুপুরের খাবারও সরবরাহ করা হয়েছে।
২ নম্বর তিন্দু ইউপি চেয়ারম্যান ভাগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, থুইসা পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১২ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সাধ্যমত সহায়তা করা হবে।
থানচি উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা ইসমাইল মিয়া জানান, তিনি একজনের মাধ্যমে জেনেছেন যে তিন্দু ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা থুইসাপাড়ায় ১১টি বসতঘর আগুনে পুড়ে গেছে। এলাকাটি দুর্গম এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে সময়মতো খবর পাওয়া যায়নি।
বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে সিলেটের জকিগঞ্জে বজ্রপাতে রেদওয়ান আহমদ (১২) নামে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত রেদওয়ান নোয়াগ্রামের মাসুক আহমেদের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে উপজেলার নোয়াগ্রাম এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাবার সঙ্গে রেদওয়ান ও তার আরেক ভাই বাড়ির পাশে মাছ ধরতে যায়। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে রেদওয়ানের শরীরে আঘাত করে। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (মিডিয়া) মফিদুল হক সজল।
তিনি জানান, বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে শিশু রেদওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতে আর কেউ আহত হননি। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।