তাদের কাছে স্বাধীনতা মানে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া



শিহাবুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিকশাচালক রাজ্জাক শেখ, ছবি: বার্তা২৪

রিকশাচালক রাজ্জাক শেখ, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মহান স্বাধীনতা অর্জনের ৪৮ বছর পার করলো বাংলাদেশ। নানা আয়োজনে দেশব্যাপী সর্বস্তরের মানুষ পালন করছে স্বাধীনতা দিবস। বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হচ্ছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের।

দেশের মানুষ যখন ব্যস্ত স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে, তখন কিছু মানুষ ছুটছেন তাদের নিত্যদিনের কাজে, জীবন সংগ্রামের চাকা সচল রাখতে। স্বাধীনতা দিবসের এই দিনে প্রায় সব শ্রেণী পেশার মানুষ সরকারি ছুটি ভোগ করছেন; কিন্তু কিছু মানুষ আছেন যারা একদিনও যদি কাজ না করেন তাহলে পুরো পরিবার নিয়ে অনাহারে থাকতে হবে।

রাজধানীসহ দেশের সর্বত্রই নিত্যদিনের মত কাজে নেমেছেন দরিদ্র এসব মানুষ। রাত হলেই রেলষ্টেশন, বাসস্ট্যান্ডসহ রাস্তা-ঘাটে দেখা মেলে তাদের। এদের অনেকেরই নির্দিষ্ট বাসস্থান বা মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। দেশের দারিদ্র সীমার নিচে বাস করা মোট জনসংখ্যার প্রায় ২২ শতাংশের মধ্যে বস্তি ও রাস্তাঘাটে বাস করা মানুষের সংখ্যাও কম নয়।

যে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, আজ তার ৪৮ বছর পরও এসব মানুষের কাছে স্বাধীনতা মানে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়া। ঝড়, বৃষ্টি ও তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে জীবন সংগ্রামের চাকা সচল রাখাই যেন তাদের কাছে স্বাধীনতা। এক দিন কাজ না করলে বাসার চুলাটাও জ্বলে না। সন্তান নিয়ে থাকতে হয় অনাহারে।

রাজবাড়ীর কালুখালী থানার রতনদীয়া ইউনিয়নের রাজ্জাক শেখ। রিকশাচালক, রাজধানীর চানখারপুল এলাকার একটি মেসে থাকেন। পরিবারের সবাই গ্রামে থাকেন। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, পেটে ভাত দেওয়ার জন্য কাজে বের হয়েছি। কাজ না করলে চলব কীভাবে। মেসের প্রতিদিন ১২০ টাকা আর রিকশা ভাড়া দিতে হয় ১২০ টাকা, মোট ২৪০ টাকা আয় করার পর যা থাকবে তাই বাড়ি পাঠাতে পারব। বাড়িতে টাকা না পাঠালে ওরা খাবে কী?

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের মো. হাবিব, প্রতিদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শশা ও মুড়ি বিক্রি করেন। ১৯৯৮ সাল থেকে এই পেশায় তিনি। প্রতিদিন আয় হয় চার থেকে ৫০০ টাকা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553598993684.jpg

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, চার মেয়ে দুই ছেলেসহ পরিবারের সদস্য সংখ্যা আটজন। বড় দুই ছেলে দোকানে কাজ করেন। মেয়ে চারটার মধ্যে একটিকে বিয়ে দিয়েছেন। আরেকটি তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। মেজ মেয়ে মেয়ে প্রতিবন্ধী, আর ছোট মেয়েটার পাঁচ বছর। সবাইকে নিয়ে কেরানীগঞ্জে থাকেন।

স্বাধীনতা বলতে তিনি কী বোঝেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যেভাবেই সময় কাটাই, যাই করি; আমি ব্যবসা করি, এটাই আমার কাছে স্বাধীনতা। আমার পরিবার নিয়ে চলছি, একটু কষ্ট হচ্ছে। ব্যবসা বাণিজ্য নাই, খুবই কষ্ট করছি। যা উপার্জন করি সেটা দিয়ে চলে যায়, আবার কোনো কোনো মাসে ঋণ করতে হয়।

আমাদের স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিকভাবে মানুষের স্বাবলম্বী হওয়া, আপনি কি সেটা পেয়েছেন? জবাবে তিনি বলেন, না, আমি পারি নাই। আমার পেছনে কোনো লোক নাই, আমারে সাহায্য করার কেউ ছিল না, আমার ভাগ্যে নাই, হয়তো এই জন্যই পারি নাই।

আপনার মেয়ে প্রতিবন্ধী, সরকারের পক্ষ থেকে কখনো কোনো সুযোগ-সুবিধা পায়েছেন? তিনি জানান, না, কোনো সুযোগ-সুবিধা সরকারের পক্ষ থেকে পাইনি।

আজকে তো বিশেষ একটা দিন, আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। আজকের দিনে আপনি কাজে বের হয়েছেন, বের না হলে কি চলতই না? পেটের ক্ষুধায় বের হতে হয়েছে। আমি যদি আজকে কাজে না বাহির হই, আমার পোলাপান কালকে কী খাবে? কে দেবে? আমার প্রতিবন্ধী মেয়েটার প্রতিদিন ১০০ টাকার ওষুধ লাগে। এটা তো সরকার আমারে দেবে না, কেউই দেবে না। আমারটা আমাকেই জোগাড় করতে হবে। কাজে বের না হলে আমার পরিবার না খেয়ে থাকত।

স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছেন? তিনি বলেন, আমার মতো নিরীহ লোক স্বাধীনতা কেমনে ভোগ করবে! পারছি না, যেমন আজকে আমার টাকা থাকলে আমি একটা বড় ব্যবসা করতে পারতাম। টাকা নাই, একটা ক্ষুদ্র ব্যবসা করি। আজকে কাজে না বের হলে আমার পরিবার না খেয়ে থাকবে। আমার চালান কম, আমাকে কেউ সাহায্য করে না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553599026754.jpg

অভাব অনটনে থাকলেও তার চাওয়া, দেশের মানুষ সবাই ভালো থাকুক, আমিও ভালো থাকি, দেশের মানুষ ভালো থাকলে আমিও ভালো থাকবো। দেশ ভালোমতো চলুক, কোনো ঝামেলা না হোক।

ঢাকার কামরাঙ্গীর চরে থাকেন শরীয়তপুরের আকতার হোসেন। জাতীয় প্রেসক্লাব ও এর আশেপাশে বোতলের পানি বিক্রি করেন। তিনি বলেন, আমি সাত বছর ধরে এই এলাকায় পানি বিক্রি করি। আজও করছি, পেটের দায়ে বাহির হয়েছি, কাজ না করলে খাব কী? একদিন কাজ বন্ধ থাকলে খাওয়া বন্ধ থাকবে।

   

তালতলীতে তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলায় বিদ্যুৎ প্রকল্প জন্য তিন ফসলি কৃষিজমি ও বসতভিটা অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এমন অভিযোগ এনে তা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৭ মে) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের আগাঠাকুর পাড়া গ্রামে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা আমাদের তিন ফসলি কৃষি জমি হারাতে চাই না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে দাবি, দেশের উন্নয়ন করতে গিয়ে ১ ইঞ্চিও কৃষি জমি যাতে নষ্ট করা না হয়। আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কবরসহ শত বছরে পুরোনো বসতভিটা আমরা কোন মূল্যেই হারাতে চাই না। কোন ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই ছাড় এসব জমি অধিগ্রহণ করা হলে সাধারণ মানুষসহ কৃষক পরিবারগুলো অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়বে।

মানববন্ধনে আসা কৃষক নেতা শাহজাহান টুকু বলেন, এই এলাকার শতভাগ মানুষ চাষাবাদ ও কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। এখানের কৃষকরা বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন করে এ দিয়েই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এই জমি অধিগ্রহণপ্রক্রিয়া বন্ধ না করা হলে যেকোনো ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

কুদ্দুস মৃধা নামের একজন কৃষক বলেন, সরকারের এক শ্রেণির কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে এসব জমি অধিগ্রহণ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। কৃষি জমিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগাঠাকুর পাড়া ও শিকারীপাড়া গ্রামের কৃষি জমি বলে কিছুই থাকবে না। এই জমি দিয়ে দিলে আমরা খাব কি?

এ সময় বক্তব্য রাখেন, তালতলী উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান, বড়বগী ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর মিয়া আলম মুন্সী, কৃষক নেতা শাহজাহান টুকু প্রমুখ।

ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে কৃষক, নারী, ব্যবসায়ীসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

;

১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি করেছে যুক্তরাজ্য। এই চুক্তির আওতায় অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের সংখ্যা হতে পারে ১০ হাজারেরও বেশি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

মূলত ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর দেশটির ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছেন শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে দেশটিতে থাকার প্রয়াসে। আর দেশটিতে প্রবেশের পর আশ্রয়ের আবেদন জমা দিয়েছেন তারা।

দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসীরা গত বছরের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় ব্রিটেনে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেছেন। মূলত ব্রিটেনে প্রবেশের ‘পেছনের দরজা’ হিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়াসে এসব ভিসা ব্যবহার করেছেন তারা।

তবে দেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রাথমিক আশ্রয় আবেদনের মাত্র ৫ শতাংশই সফল হয়েছে। অর্থাৎ ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হবে।

এমতাবস্থায় যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বাংলাদেশের সাথে একটি ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।

এই চুক্তির অধীনে কেবল ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীরাই নয়, বিদেশি নাগরিকদের যারা অপরাধী এবং যেসব ব্যক্তি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশের পর বাড়তি সময় অতিবাহিত করেছেন তাদেরও নির্বাসনের কাজ সহজতর হবে।

এপ্রিলে প্রকাশ্যে আসা অফিসিয়াল ডকুমেন্টস অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত রেকর্ড ২১ হাজার ৫২৫ জন ভিসাধারী যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। যা আগের বছরের তুলনায় ১৫৪ শতাংশ বেশি।

;

বাংলাদেশের গণতন্ত্র শেখ হাসিনার হাতেই সুরক্ষিত: খাদ্যমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা। বাংলাদেশের গণতন্ত্র শেখ হাসিনার হাতেই সুরক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকেদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতো না। প্রতিষ্ঠা হতো পাকিস্তান মডেলের গণতন্ত্র। বঙ্গবন্ধু কন্যা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন এবং তার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। বিএনপি ও জাতীয় পার্টি গণতান্ত্রিক রাজনীতির দল নয়। দলগুলোর জন্ম হয়েছে সেনা শাসকদের হাতে। ওই দলগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চাও নেই। এসময় গণতন্ত্র মানেই শেখ হাসিনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

এর আগে দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ও জাতীয় চার নেতার প্রকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করা হয়।

এসময় নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ খালেক, আব্দুল রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিভাস মজুমদার গোপালসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও বাহিনীর সাত জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে  যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

ওয়া‌শিংট‌নের স্থানীয় সময় বৃহস্প‌তিবার স্টেট ডিপার্ট‌মে‌ন্টের নিয়‌মিত সংবাদ স‌ম্মেল‌নে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। এই দাবিগুলো মিথ্যা। নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো আচরণের পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতার প্রচার।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যা হোয়াইট হাউস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে স্বাধীন ও পৃথক। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করে।’

সালমান এফ রহমান বলেন, হোয়াইট হাউস ও স্টেট ডিপার্টমেন্ট র‍্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পক্ষে, তবে তা বিচার বিভাগের ওপর নির্ভর করছে।

গত সপ্তাহে ৩ দিনের ঢাকা সফরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু'র সঙ্গে নৈশভোজের পর সালমান বলেন, ‘বিষয়টি একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।’

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড লু দায়িত্ব পালনের সময় ‘মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা’ দেখানোর ক্ষেত্রে র‍্যাবের ‘অসাধারণ অগ্রগতির’ প্রশংসা করেছিলেন।

সে সময় তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘র‍্যাবের বিষয়ে আমাদের মধ্যে বেশ আলোচনা হয়েছে। আপনারা যদি এ সপ্তাহে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি দেখে থাকেন, তারা স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আমরা র‍্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হ্রাসের ক্ষেত্রে অসাধারণ অগ্রগতির স্বীকৃতি দিয়েছি।’

লু আরও বলেন, ‘যা দারুণ কাজ। এতে বুঝা যায়, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে র‍্যাব সন্ত্রাসবিরোধী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম।’

;