‘কক্সবাজারকে পর্যটক বান্ধব করা যায়নি'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কর্মশালায় বক্তব্য দেন সচিব মো. মহিবুল হক / ছবি: বার্তা২৪

কর্মশালায় বক্তব্য দেন সচিব মো. মহিবুল হক / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ হলেও এটিকে পর্যটক বান্ধব করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক।

তিনি বলেছেন, ‘এখনো পর্যন্ত কোনো পর্যটক কক্সবাজার বেড়াতে গেলে সমুদ্র দেখা ছাড়া তার আর কিছু করণীয় থাকে না। এই সমস্যা দূর করার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশের সমস্ত অঞ্চলকে নিবিড় পর্যটন অঞ্চল ঘোষণা করেছে। সেখানে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনার আওতায় পর্যটন শিল্পের বিকাশে যথাযথ সহায়তা প্রদান করা হবে।’

বুধবার (০৩ এপ্রিল) সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত ‘উন্নয়ন ভাবনায় পর্যটন’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সচিব বলেন, ‘কক্সবাজারে আমাদের পর্যটকদের বিনোদনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর মোহনায় দেশি এবং বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে বিশেষ পর্যটন অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে পর্যটকদের বিনোদনের সমস্ত সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।’

পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের যে সমস্ত পর্যটন স্পট আছে তা এখনো দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের কাছে পূর্ণরূপে তুলে ধরা যায়নি। আমাদের পর্যটন স্পটগুলোকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আমাদের সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে আমরা কাজ করছি। দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনকে নিয়ে আমরা মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছি। সুন্দরবনের কাছে পর্যটন বিকাশে একটি নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করা হবে। তার উন্নয়নে মন্ত্রণালয় বেসরকারি সকল স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একত্রে কাজ করবে।’

মহিবুল হক বলেন, ‘বান্দরবান রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে পর্যটন বিকাশে বিশেষ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই তিন পাহাড়ি জেলাকে পর্যটনবান্ধব করার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই জেলা তিনটির পাহাড়, নদী এবং লেকের যে সৌন্দর্য, তা পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সকলের কাছে আকর্ষণীয় উপজাতীয় সংস্কৃতিকে পর্যটকদের কাছে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরার ব্যবস্থা থাকবে সেই পরিকল্পনায়।’

সচিব বলেন, ‘আমাদের ধর্মীয়, ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক যেসব পর্যটন স্থাপনা রয়েছে তাতে পর্যটকদের সকল সুবিধা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের পর্যটন শিল্পের বিকাশে আমাদের যে সম্পদ রয়েছে তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পর্যটন শিল্পের বিকাশে যথাযথ প্রচার নিশ্চিত করতে হবে। প্রচার ছাড়া আমাদের পর্যটন শিল্পকে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের নিকট যথাযথভাবে উপস্থাপন সম্ভব নয়।’

তাই তিনি সরকারি সংস্থাগুলোর পাশাপাশি সকল বেসরকারি সংস্থাকে ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আতিকুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডক্টর ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস।
এতে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের।

   

সংকট-সমস্যায় জর্জরিত সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল



রাজু আহম্মেদ ও গুলশান জাহান সারিকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোর কয়েক কোটি মানুষের স্বল্প মূল্যে চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান এটি। প্রতিদিন দিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসা নেয় হাসপাতালটিতে। শুধুমাত্র বহির্বিভাগেই চিকিৎসা নেয় অন্তত ২০ হাজার মানুষ।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ কম খরচে চিকিৎসা সেবা নিতে আসলেও এ হাসপাতালে নানা ভোগান্তিতে পড়েন রোগী ও স্বজনরা। হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ওষুধ সংকট, ডাক্তার সংকটের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের পরীক্ষানিরিক্ষায় পোহাতে হয় ভোগান্তি। পরীক্ষানিরিক্ষায় অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, পর্যাপ্ত ওষুধ না দেওয়া, স্যানিটেশন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভিযোগ আছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ।

এছাড়া দালাল ও সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। পাশাপাশি সিট বাণিজ্য, রোগীর সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণ ও অর্থের বিনিময়ে ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভদের দৌরাত্ম্যে সহযোগিতা করার অভিযোগ আছে সেখানে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে। আনসারদের সাথে সিন্ডিকেটে জড়িয়ে আছে আউটসোর্সিং ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বলেও অভিযোগ আছে সেখানে।

অভিযোগগুলোর বিষয়ে খোঁজ নেওয়া চেষ্টা করে টিম বার্তা২৪। খোঁজ নিয়ে মেলে হাসপাতালটির বিভিন্ন সংকট ও সমস্যার চিত্র। সাথে সিন্ডিকেট ও দালালের দৌরাত্ম্যের চিত্রও ওঠে আসে অনুসন্ধানে।

সংকটে জর্জরিত সোহরাওয়ার্দী

দেশব্যাপী চিকিৎসা জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া ও দক্ষ ডাক্তার গড়ে তোলার জন্য ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় হাসপাতালটি। গেল বছরে ৮৭৫ শয্যা থেকে উন্নীত হয়ে ১৩৫০ শয্যার সেবা দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালটিতে।

ঢাকা ও আশপাশেরর বেশিরভাগ জেলার কয়েক কোটি মানুষের বিপরীতে ১৩৫০ সিট হওয়ায় সব সময় সিট সংকট থাকে হাসপাতালটিতে। এছাড়া চিকিৎসার ওষুধ বিনামূল্যে পাওয়ার কথা থাকলেও বেশিরভাগ ওষুধই মেলে না হাসপাতালে। ফলে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে রোগীদের। অ্যান্টিবায়োটিক, স্যালাইন, ইনজেকশনসহ বেশ কয়েক ধরনের ওষুধ সংকট আছে হাসপাতালটিতে।

রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, প্যারাসিটামল, নাপা, গ্যাসের ওষুধ ছাড়া বেশিরভাগ ওষুধই বাইরে থেকে কিনতে হয়। এতে অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে বাঁচা তো দূর, এমন সংকটে বেশি টাকা খরচ হচ্ছে তাদের।

মায়ের অপারেশনের জন্য ১০ দিন ধরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আছেন নোয়াখালীর জিসান। প্রথমদিন ভর্তির পরেই প্রায় ১৮ হাজার টাকার ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে তাকে।

জিসান বলেন, আমার মায়ের অপারেশন। কম খরচ হবে ভেবে নোয়াখালী থেকে ঢাকায় এসেছি চিকিৎসা নিতে। এখানে এসে আরও বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। সবখানে দুর্নীতি। টাকা দিলে সেবা মেলে। ওষুধ শুধু নাপা দেয়। যে ওষুধের দাম বেশি সেটাই স্লিপ ধরায় দিয়ে বলে বাইরে থেকে আনতে। প্রথম দিন এসেই আমার ১৮ হাজার টাকার ওষুধ কেনা লাগছে। আমরা তো অসহায়।

ফাতেমা নামের এক নারী জানান, বাবাকে নিয়ে ১৬ দিন ধরে আছি হাসপাতালে। বেশিরভাগ ওষুধেই আমাদের বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে। প্যারাসিটামল ও গ্যাসের ট্যাবলেট দিচ্ছে এখান থেকে। নাপাটা দেয়। ওষুধ নাকি সাপ্লাই নেই বলে। থাকলেও দেয় না, নাকি জানি না।

এদিকে, কাগজেকলমে হাসপাতালটিতে ৩২৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছে ২৯৮ জন। নন-মেডিকেল কর্মকর্তাসহ মোট ২৭ জন, ডাক্তার সংকট আছে হাসপাতালটিতে। এতে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে হাসপাতালের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসক দিয়ে সেবা দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ বলছে বিপুল জুনিয়র ডাক্তার প্রয়োজন হাসপাতালে।

নন-মেডিকেল কর্মকর্তা ৩ জন, উপ-সেবা তত্ত্বাবধায়ক ১ জন, নার্সিং সুপারভাইজার ৩ জন, সিনিয়র স্টাফ নার্স ১২ জন, স্টাফ নার্স ৪ জনসহ মোট ২৩ জন দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির ১০১ জন কর্মচারীর সংকট রয়েছে হাসপাতালটিতে।

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংকট থাকায় টয়লেট ও বহির্ভাগের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। নোংরা আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে হাসপাতালের নিচতলার বেশিরভাগ টয়লেট। পুরুষ ও মহিলার ওয়ার্ডের কিছু টয়লেটেও দেখা গেছে একই চিত্র। এছাড়া বাহিরে রোগী অপেক্ষার বেঞ্চের পাশেই রাখা হয়েছে ডাস্টবিন। ডাস্টবিনগুলো পরিষ্কার না করায় গন্ধ ছড়াচ্ছে। তবে ওয়ার্ডগুলোতে স্বাভাবিক পরিবেশ লক্ষ করা গেছে।

অন্যদিকে হাসপাতালে ভিতর ও বাহিরের বেশিরভাগ ড্রেনের অবস্থা নাজুক। ময়লা পানি ও আবর্জনা জমে গেছে। এতে ডেঙু ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের বেডের কাপড় অপরিষ্কার ও ছারপোকার উপদ্রব আছে হাসপাতালে এমন অভিযোগ ও করেছেন রোগীরা।

আবু বক্কর নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, হাসপাতালের টয়লেটের অবস্থা খুব খারাপ। ওয়ার্ডের পরিবেশ ভালো থাকলেও টয়লেট ব্যবহার করা যায় না। এছাড়া বিছানায় ছারপোকার জন্য রাতে রোগীরা ঘুমাতে পারেন না। মাসে অন্তত একবার বিছানাপত্র পরিষ্কার করা উচিত।

টাকা দিলে মেলে সিট, টাকা ছাড়া মেলে না হুইল চেয়ার ও স্ট্রেচার সেবা

বহু চাহিদার বিপরীতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ হাসপাতালে মাত্র ১৩৫০ সিট থাকায় সব সময় পূর্ণ থাকে বরাদ্দের সিট। তবে দালাল মারফতে টাকা দিলে সংকটের মধ্যেও ব্যবস্থা হয় সিটের। এছাড়া টাকা ছাড়া হাসপাতালে মেলে না ট্রলি, স্ট্রেচার ও হুইল চেয়ার সেবা।

রোগীর স্বজন সেজে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়েছে টিম বার্তা২৪। মূলত সিট বাণিজ্য ও সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণের সহযোগিতা করেন এই ট্রলি ও হুইল চেয়াররের দায়িত্বে থাকারা। আড়াল থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ করে আনসার সদস্যরা। তাদের সাথে জড়িত হয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব থাকা কর্মচারীরা।

হাসপাতালে বিনামূল্যে স্ট্রেচার ও হুইল চেয়ার সেবা মেলার কথা থাকলেও। হাসপাতালের বাহিরে মেলে না সে সেবা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, জেবিসি ও অন্বেষা নামের দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সেবা নিশ্চিত করছেন তারা। তবে হুইল চেয়ারধারী ও স্ট্রেচার মালিকরা বলছেন রোগী বহনের সামগ্রী তাদের নিজস্ব কেনা। কোনো বেতন পান না হাসপাতাল কিংবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে। অথচ হাসপাতালে হুইল চেয়ার ব্যবসার জন্য সকাল বিকাল ও রাতে ৩ ধাপে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করতে হয় তাদের। আর এ সুযোগ নাকি তাদের দিয়েছেন খোদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে জানান হুইল চেয়ারধারী নারী হ্যাপি বেগম।

রোগীর স্বজন সেজে জানতে চাইলে হ্যাপি বেগম জানান, তার মতো ৩০ জন হুইল চেয়ারধারী আছেন হাসপাতালে। তিন ধাপে ১০ জন করে হুইল চেয়ারের রোগী বহনের কাজ করেন তারা। বিনিময়ে ১৫০-২৫০ টাকা নেন। তবে ৫০০ টাকা দিলে কোন ঝামেলা ছাড়াই ‍সিট ম্যানেজ করে দেবেন তিনি। আমাদের (রোগীর স্বজনদের) কোনো কাজই করতে হবে না। ৫০০ টাকার বিনিময়ে রোগী বেডে তোলা পর্যন্ত সব দায়িত্ব তার।

তবে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই ও ওষুধ সংকট অভিযোগ মিথ্যা জানিয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শাফিউর রহমান বলেন, হাসপাতালের কোন স্টাফ, কর্মচারী হোক আর আউটসোর্সিং হোক রোগীর কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার সুযোগ নাই। এক সময় এমন পরিস্থিতি ছিল। আমরা অভিযান চালিয়ে সেটা বন্ধ করেছি। সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সার্ভিস দিয়ে কেউ টাকা নেবে এটা আমরা কখনোই বরদাস্ত করব না। আমরা ইতিপূর্বে ব্যবস্থা নিয়েছি, আগামীতেও নেবো।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা জন্য তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট আছে। এখানে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ আসে। প্রায় ১ হাজার টয়লেট আছে। সেগুলো পরিষ্কার করে রাখার মতো জনবল আমাদের নেই। জনবলে ব্যাপক ঘাটতি আছে।

ডাক্তার সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের ব্যাপক ডাক্তার সংকট আছে। বিশেষ করে মিড লেভেলের ডাক্তার সংকট আছে। জুনিয়র ডাক্তারের সংকটের কারণ পদ সৃষ্টি না করেই ডিপার্টমেন্ট খোলা হয়েছে। ফলে সেবা দেওয়া ক্ষেত্রে সেখানে একটা গ্যাপ রয়ে গেছে। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। সার্বক্ষণিক ভাবে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ আছে। সংকট নিরসনে কাজ করছি।

;

প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৭-৮ শতাংশ: ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোট শুরুর প্রথম ২ ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল পৌনে ১১টার দিকে ইসির অতিরিক্ত সচিব এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় সকাল ৮টায় সুষ্ঠুভাবে ভোট শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার ঘটনা ঘটেনি। তবে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় এক আনসার সদস্য শারীরিক অসুস্থতায় হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায়।

অশোক কুমার বলেন, ভোট শুরু হয়েছে মাত্র দু'ঘণ্টা। বিভিন্ন জেলার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী একেক অঞ্চলে বিভিন্ন হারে ভোট পড়ছে। কোথাও বেশি কোথাও কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই হার আরও বাড়বে।

১৫৬ উপজেলায় মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩ হাজার ১৬টি। ভোট কক্ষ রয়েছে ৯১ হাজার ৫৮৯। অস্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে আট হাজার ৮৪১টি। এই ধাপের মোট ভোটার তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন এক কোটি ৭৯ লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৪ জন। নারী ভোটার রয়েছে এক কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২৩৭ জন।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এর মধ্য কিছু উপজেলায় তফশিল ঘোষণায় মামলা জটিলতা ও বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে জানান সংস্থাটি।

;

হবিগঞ্জে জাল ভোটের অপরাধে একজনের কারাদণ্ড, আটক ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, হবিগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় দুর্জয় কর্মকার নামে একজনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজোলার কামাইছড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত এই আদেশ দেন। ‌

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে কামাইছড়া ভোটকেন্দ্র থেকে দুর্জয় কর্মকারকে এক বছরের সাজা প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আলিম। এ ঘটনায় আরো দুজনকে আটক করা হয়। তাৎক্ষনিক আটককৃত দুজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

তাদের দণ্ডবিধির ১৮৬০-এর ১৭১ ‘চ’ ধারার দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ড ঘোষণা করেন। এর মধ্যে আরো দুজনকে আটক করে থানায় পাঠানো হয়। কামাইছড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার রিংকু দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ১২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) সকাল ছয়টা থেকে মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৩৫ পিস ইয়াবা, ৫০ গ্রাম হেরোইন, ২ কেজি ৩৬০ গ্রাম গাঁজা ও ১০ পিস ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।
ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১২টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।
;