চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফায়ার ড্রিল সিস্টেমের মহড়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার সরওয়ার-ই-জামান।
বিজ্ঞাপন
বার্তা২৪.কমকে তিনি জানান, আগামী ৩০ এপ্রিল চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফায়ার ড্রিল সিস্টেমের মহড়ার সম্ভাব্য দিন ধার্য রয়েছে। এ অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য ডেমু বিমান বানানো হচ্ছে। ওই ডেমু বিমানে অগ্নি-সংযোগ করে তা নেভানোর মহড়ায় অংশ নেবে সংশ্লিষ্টরা। এতে ফায়ার সার্ভিস, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী, কাস্টমসের সদস্যরা অংশগ্রহণ করবে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর বর্তমানে দেশ ও বিদেশে বেশ আলোচিত ও সমালোচিত। ফ্লাইটের চাকা ওপেন হওয়া ছাড়া ল্যান্ডিং করে আন্তর্জাতিক ভাবে প্রশংসিত। আবার পলাশ-সিমলার ঘটনা নিয়ে বেশ সমালোচিতও হয়েছে বিমানবন্দরটি।
বিজ্ঞাপন
প্রতি দুই বছর পর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এ অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হলে আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি অর্জন করবে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
রংপুরে নাবান্নের আমেজে আমন মৌসুমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে পুরোদমে। নতুন ধান ঘরে তুলতে মাঠে ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষক ও শ্রমিকদের। গ্রামীণ প্রকৃতির চারিদিকে তাকালে চোখে পড়ে বিস্তৃত মাঠজুড়ে যেন হলুদ চাদরে বিছিয়ে আছে সোনালী ফসল। মাঠজুড়ে ফসল কাটার ধুম পড়েছে কৃষকদের।
তবে দ্রব্যমূল্যের সাথে পাল্লা দিয়ে এবছর শ্রমিকদের মজুরি বাড়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। দৈনিক ৬০০-৮০০ টাকা মজুরিতে শ্রমিক কাজে লাগানো নিম্ন-মধ্যবিত্ত কৃষকদের পক্ষে বেশ কষ্টসাধ্য।
রংপুর মহানগরীসহ হারাগাছ, গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা, মিঠাপুকুরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মাঠজুড়ে ধান কাটার ধুম পড়েছে। ভরা মৌসুমে শ্রমিকের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে মজুরি। অন্যান্য সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ মজুরি বেড়ে শ্রমিক সংকটে পড়েছে কৃষকরা।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতার সূত্রে জানা গেছে, রংপুরে চলতি আমন মৌসুমে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ৭২৩ হেক্টর জমিতে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন। রংপুর জেলার মানুষের চালের চাহিদা হচ্ছে প্রায় আড়াই লাখ টন। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাল উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলের পাশাপাশি প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকদের জমিতে এবার খুব বেশি সেচ দেয়ার প্রয়োজন হয়নি। সময়মতো জমিতে বৃষ্টির পানি দিয়ে চারা রোপণ এবং অপেক্ষাকৃত কম সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন চাল সরবরাহ সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।
রংপুরের কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার কৃষক তাজিদুল আমন ধান কাটা ও মাড়াই করা নিয়ে বলেন, ‘ধান কাটা-মারি শুরু হইছে, কিন্তু শ্রমিকরা মজুরি বেশি চায়। এল্যা চারিদিকে কাম বেশি তাগো কামের অভাব নাই। ৫০০-৮০০ টাকা ছাড়া কাম করে না। অত টাকা দিয়া শ্রমিক মাঠে লাগায়া পোষাবো না। তাই নিরুপায় বউ বাচ্চাদের নিয়া ধান কাটিয়া ঘরে নেয়া।’
নগরীর বোতলাপাড়া গ্রামের বেশ কিছু কৃষক বলেন, ‘জিনিস পাতির দাম বেশি সাথে কামলাদের মজুরিও বাড়তি। ধানক্ষেতে একদিনের কামলা হাজিরা ৬০০-৭০০ টাকা। এত টাকা দিয়া কামলা নেয়া সম্ভব না৷ অন্য সময়ের থাইকা এখন বেশি টাকা মজুরি। কাজের চাপ বেশি তাই বেশি টাকার হাজিয়ায় কাজ করে তারা। আমরা চাহিদা অনুযায়ী ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাচ্ছি না।’
রংপুরের বোতলাপাড়া ধান কাটতে ব্যস্ত থাকা শ্রমিক ইউসুফ, সাজ্জাদ, ক্ষুদি মিয়া বলেন, ধানের ফলন ভালো। কৃষক দাম পায় ভালো শুধু আমাদের মজুরি বাড়াইতে তাদের কষ্ট। সব জিনিসের দাম বেশি। সারাদিন মাঠে খাটিয়া যদি ৬০০-৭০০ টাকা না পাই বউ বাচ্চা নিয়া খামো কি। এখন কাজের চাহিদা আছে, দিনে ৫০০ এর কম হাজিরা নিলে লস হয়া যাবে। আমাদের পোষানি লাগবে।
চলতি মৌসুমের ধান কাটা ও মাড়াইয়ের পরপরই কৃষকরা জমিতে আলুর চারা রোপণ করবেন। আবার অনেকেই বোরো ধানের চারা রোপণ করার জন্য প্রস্তুত করবেন জমি। ফলে রংপুরে খাদ্য সংকট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
এ বিষয়ে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, চলতি মৌসুমে অন্যান্য জেলার তুলনায় রংপুরে আমন ধানের ফলন অসম্ভব ভালো হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে জেলার খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন চাল অন্য জেলার চাহিদা মেটাবে। ধান কাটা ও মাড়াইয়ের পরপরই কৃষকরা জমিতে আলুর চারা রোপণ করবেন এবং অনেকে বোরো ধানের চারা রোপণ করার জন্য জমি তৈরি করবেন। ফলে খাদ্য রংপুরে সংকট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানান তারা।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ক্ষতিকারক বিষ প্রয়োগে প্রায় ১৬ শতাংশ জমির অন্তত ৭০টি পেঁপে গাছ বিনষ্টের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বিলকাটিয়া গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম শাহিনের কৃষি ফার্মে এঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিলকাটিয়া গ্রামের পাকা সড়কের ঢালে নিয়ামত আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম শাহিনের হরেক রকম সবজি ক্ষেত। ক্ষেতের বেশকিছু পেঁপে গাছের পাতায় হলদে ভাব। কোনটি আবার শুকিয়ে মরে গেছে।
এসময় শাহিন বলেন, সড়কের ধারে আমার প্রায় চার বিঘা কৃষি জমি। জমি ঘেঁষে প্রায় ১৬ শতাংশ সড়কের ঢালু জমি রয়েছে। সেখানে প্রতিবেশী রুস্তম আলীর কৃষক ছেলে পলাশ হোসেনকে (২৮) বিনা স্বার্থে সবজি চাষ করতে দিয়েছিলাম।
প্রায় তিন বছর ওই জমিতে পলাশ লাউ, মরিচ, বেগুনসহ নানান জাতের সবজি চাষ করেছে। তবে প্রায় মাস দুয়েক আগে পলাশের কাছ থেকে জমি নিয়ে স্থানীয় এতিমখানার জন্য নিজেই সবজি চাষ শুরু করেছি। এতে অখুশি পলাশ।
শাহিনের ভাষ্য, পলাশ শত্রুতা করে তার রোপন করা পেঁপে গাছে ক্ষতিকারক বিষ প্রয়োগ করেছে।
এতে প্রায় অন্তত ৭০টি গাছের পাতা হলুদ হয়ে মরে যাচ্ছে । ইতিমধ্যে কয়েকটির পাতা শুকিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তিনি ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন।
সরেজমিন পরিদর্শন করে পেঁপে গাছের চারা নষ্টের কারণ পরে বলা যাবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাইসুল ইসলাম।
লন্ডনে স্ত্রীর উপহার দেয়া পিয়ানো দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পিয়ানো বাজানো শিখছেন বলে জানিয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে বনানী হোটেল লেকশোরে লেখক জয়নাল আবেদীন এর 'তারিক রহমান: পলিটিক্স এন্ড পলিসিস কনটেমপোরারি বাংলাদেশ' বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি খুব ছোটবেলা থেকে হাওয়াই গিটার কিভাবে বাজাতে হয় লন্ডনে গিয়ে শিখতে চেয়েছিলাম, শিখেও ছিলাম। আসলে আমি কিন্তু গানের শিল্পী। আমাকে অনেকে বাই চান্স সম্পাদক বলে অনেকে অভিযোগ করেন, সেটা করতে পারেন। বলতে পারেন আমি বাই চান্স গিটারও শিখেছিলাম। তেমনি তারেক রহমানও পিয়ানো বাজানো শিখছেন এবং এখনো শিখছেন।
এই সিনিয়র সাংবাদিক তারেক রহমানের বাড়িতে যাবার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, আমি তার (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান) বাড়িতে (লন্ডনে) গিয়ে পিয়ানো দেখে অবাক হয়েছিলাম। আমি তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করি, জুবাইদা রহমানকে এই পিয়ানো কে বাজায়? আমি দেখছি, আমি যে গানগুলো বাজানো শিখছি সে গানগুলো তারেক রহমানের পিয়ানোর এখানে সাজানো। তার স্ত্রী বললো, তারেক কিন্তু ছোটবেলা থেকে গানের অনেক ভক্ত। আমি বললাম, এটা তো কেউ জানে না! গান সে করে না কিন্তু এখানে এসে পিয়ানো শিখতে চেয়েছিলো, আমি তাকে গত জন্মদিনে তাকে উপহার দিয়েছি।
বই প্রকাশনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে অনেকে শেখ হাসিনা পালিয়েছে এমন শব্দ ব্যবহার না করে শেখ হাসিনা চলে গেছে বলায় অনেকটা দুঃখ প্রকাশ করে শফিক রেহমান বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে এটা বলতে এত লজ্জা কেন?
তারেক রহমান দীর্ঘ দিন লন্ডনে বসবাস করায় সেখানকার শাসন ব্যবস্থার আদলে বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও জনবান্ধব করে গড়ে তুলবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জমিরউদ্দীন শিকদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান, উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওবায়দুল ইসলাম, প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, শরিফুল ইসলাম ববি প্রমুখ।
সোনারগাঁও টেক্সটাইল থেকে ছাঁটাই করা শ্রমিক-কর্মচারীদের সকল বকেয়া বেতন অবিলম্বে পরিশোধ করার দাবিতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বরিশালের অশ্বিনী কুমার হলচত্বরে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভে সভাপতিত্ব করেন সোনারগাঁও টেক্সটাইল থেকে ছাঁটাইকৃত শ্রমিক লতিফা বেগম। সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন তাহমিনা বেগম, মামুন খান প্রমুখ।
এছাড়া সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সমন্বয়ক ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ইমাম হোসেন খোকন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক শহিদুল হাওলাদার, সোনারগাঁও টেক্সটাইল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি বেল্লাল গাজী প্রমুখ।
বক্তারা জানান, ২০২০ সাল থেকে সোনারগাঁও টেক্সটাইল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মেয়াদে অর্ধশতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী ছাঁটাই করা হয়। অনেক শ্রমিক ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে সোনারগাঁও টেক্সটাইলে চাকরি করছিলেন, কিন্তু তাদের বকেয়া পাওনা বা হিসাব তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। শ্রম আইন অনুযায়ী, এই শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটি, অর্জিত ছুটি এবং অন্যান্য পাওনা পরিশোধ করার কথা।
এই বিষয়ে ইতোমধ্যে শ্রম আদালতে মামলা করা হয়েছে। সোনারগাঁও টেক্সটাইল কর্তৃপক্ষ, শ্রম আদালতের নির্দেশ অনুসারে, ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের জন্য সিদ্ধান্ত দিলেও সম্প্রতি বিচারক পরিবর্তন হওয়ার পর তারা টাকা পরিশোধ না করার ঘোষণা দিয়েছেন।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে সোনারগাঁও টেক্সটাইল কর্তৃপক্ষকে তাদের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করার জন্য অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। তারা দাবি করেন, ছলচাতুরীর পথ পরিহার করে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা উচিত।