চট্টগ্রাম ট্রাফিক পুলিশের বাণিজ্য নিয়ে ক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিচ্ছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (সার্বিক) মাশহুদুল করিব, ছবি: বার্তা২৪

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিচ্ছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (সার্বিক) মাশহুদুল করিব, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম: পথচারীদের অসচেতনতা আর পরিবহন চালকদের আইন না মানার কারণে সরকারের একার পক্ষে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে মনে করেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানিয়েছেন, কেবল হাত উঁচিয়ে তাড়াহুড়ো করে রাস্তা পার হওয়ার সময় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে চালককে দোষ দিলে হবে না। লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ, অযোগ্য, নেশাগ্রস্থ চালকদের হাতে পরিবহন তুলে দেওয়া যাবে না।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর নীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মিলনায়তনে সড়ক নিরাপত্তা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক সেমিনারের আয়োজন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠানে গণপরিবহনের মালিক, চালক ও সহযোগীরা এসব কথা বলেন।

তবে সেমিনারে ট্রাফিক পুলিশের নানা হয়রানি আর চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে আসে বারবার। এ নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা পরিবহন বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমেদ বলেন, আমরা চালকদের ওভারলোড, ওভার টেকিং না করতে নিষেধ করেছি। কেবল আমাদের দোষী করা হয়, বিআরটিএ -এর চট্টগ্রাম অফিসের সামনে ১২ কি ১৩ বছরের ছেলে ড্রাইভিং করছে, তারা কোনোদিন গাড়ি থামিয়ে যাচাই-বাছাই করেননি। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান মুরাদপুর, অলংকারে দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল করে এমন কোনো টার্মিনাল নেই। যাত্রীদের বিশ্রমাগার নেই। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমাদের পরিবহন সেবা দিতে হয়।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সরকার গত বছর সড়ক আইন পাশ করে। এই আইনে চালকদের লাইসেন্স প্রদানের কঠিন শর্ত দেওয়া হয়েছে। অনেক চালক আছে যাদের পড়াশোনা নেই, কিন্তু তারা এই পেশায় দক্ষ। পড়াশোনায় না থাকায় তারা পরীক্ষায় বাতিল হয়ে যাচ্ছে। আমরা বিআরটিএ -এর কাছে অনুরোধ করব, চালকদের লাইসেন্স প্রদান যেন আরও সহজতর করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, পাঁচ থেকে সাত বছর ধরে কোনো গাড়ির ডকুমেন্ট নাই, তথ্য হালানাগাদ নেই, ফিটনেস নেই, অদক্ষ চালক, রুট পারমিট না থাকা সত্ত্বেও কেবল টিআই সার্কেলের পুলিশের সাথে চুক্তি করে গাড়িগুলো চলাচল করছে। ২২ সিট রাতারাতি হয়ে যায় ৪০ সিট। মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। উল্টো রং পার্কিং, সংকেত না মানার অজুহাতে বৈধ চালকদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমার কাছে এমন অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে, বিগত কয়েক মাসে বৈধ চালকরা সবচেয়ে বেশি হয়রানি আর মামলার শিকার হয়েছেন। অসাধু কিছু ব্যবসায়ীর যোগসাজেশে টিআই পুলিশ এমন রমারমা ব্যবসা আর চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক বলেন, পথচারী এবং চালকরা যদি সচেতন না হোন, বিআরটিএ কেন; সরকারের পক্ষেও সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের জিডিপির দুই শতাংশ চলে যাচ্ছে এই পরিবহন খাতে। ১৮ কোটি মানুষ এর সাথে সম্পৃক্ত। সড়কে শৃঙ্খলা বিষয়টি দেখভালের কথা ট্রাফিক পুলিশের। তারা পারছেন বলে ক্ষণিক সময়ে আমরা দায়িত্ব নেই। দায়িত্বের সময় আমরা প্রশাসন, চালক, সহযোগী এবং পথচারীদের অনিয়ম এবং অসচেতনতা লক্ষ্য করি। তারা অর্থ লেনদেনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছেন, এমন প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। মামলা করার সময় নিচ্ছেন দুই হাজার টাকা, স্লিপে লিখছেন দুই শত টাকা! বিশাল পরিমাণ বাণিজ্য হচ্ছে। এমন বাণিজ্য আর ধান্দা বন্ধ করা সম্ভব না হলে সভা-সেমিনারে মুখরোচক আলোচনা করে সড়কে শৃঙ্খলা আসবে না।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামকে দেখলে মনে হয়- ফুটপাত দখলের শহর। যে যেভাবে পারছে দখল করে বসে আছে। পথচারী বাধ্য হয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন। অনেক নারী হাত তুলেই রাস্তা পার হচ্ছেন। কেন তিনি ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করছেন না? এতটুকু ধৈর্য না থাকলে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতেই পারে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (সার্বিক) মাশহুদুল করিব বলেন, আমরা সব সময় মনে করি- আইন অন্যের জন্য, আমার জন্য নয়। কেবল পরিবহন চালকদের আইন মানতে হবে, একজন নাগরিক হিসেবে আপনি কতটুকু আইন মানছেন? আমরা অতিমাত্রায় অসহিষ্ণুতায় বোধ করি, মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হই। নিজে আত্মহত্যা করছি, পরিবারকে বিপদে ফেলছি। এক্ষেত্রে সবাইকে এক সাথে আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে।

সেমিনারে পরিবহন মালিকদের পক্ষ থেকে লাইনেন্স সহজরতর বিষয়টি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে জানানো হবেও বলেও জানান মাশহুদুল। তিনি বলেন, গত বছর সড়ক আইন হলেও এটি এখনও কার্যকর হয়নি। আমরা প্রয়োজনে শ্রমিকদের স্বার্থে অষ্টম পাশ কমিয়ে প্রাইমারি করে দেব। একদম পড়ালেখা না জানলে তিনি স্বাক্ষর এবং রাস্তার সাইনবোর্ড পড়তে পারবেন না।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআরটিএ চট্টগ্রাম জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক শাহ আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআরটিএ সার্কেল-২ এর সহকারী পরিচালক উসমান সরওয়ার আলম। হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুমও বক্তব্য দেন।

   

পেনশন স্কিমে নিবন্ধন না করলে আশ্রয়ণের ঘর বাতিলের হুমকি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন না করলে বরাদ্দকৃত ঘর বাতিলের হুমকি দিয়েছেন ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন। অভিযোগ উঠেছে তিনি বলেছেন, পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করো; নয়ত আশ্রয়ণের ঘর বাতিল করে দেব।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৩ মে) উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের রাজষপুর আশ্রয়ণে গিয়ে বাসিন্দাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করতে বলেন ভূমি কর্মকর্তা সাহাবউদ্দি। এ সময় তিনি ওই আশ্রয়ণের সর্দার মো. শাহাদাতকে মঙ্গলবারের (১৪ মে) মধ্যে বাসিন্দাদের নিয়ে পরশুরাম সোনালী ব্যাংকে গিয়ে ছবি ও আইডি কার্ড দিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করতে নির্দেশনা দেন। পেনশন স্কিম চালু না করলে বরাদ্দকৃত ঘর বাতিল করবেন বলেও জানান তিনি। একইসময় তার সঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য পেয়ার আহম্মদও আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের দ্রুত পেনশন স্কিম চালু করতে বলেন। 

রাজষপুর আশ্রয়ণের বাসিন্দা পারভীন আক্তার বলেন, ঘরবাড়ি না থাকায় আমরা আশ্রয়ণে থাকি। সেখানের সবারই আর্থিক অবস্থা খারাপ। তারমধ্যে যদি এমন কিছু করে আমাদের আর যাওয়ার জায়গা থাকবে না। গরিব মানুষ কাউকে কিছু বলতেও পারিনা। খুব কষ্টে দিন পার করেছি।

আরেকজন বাসিন্দা বিজলি আক্তার বলেন, আশ্রয়ণের সর্দার শাহাদাত ও ইউপি সদস্য পেয়ার আহাম্মদ একটি লিফলেট দিয়ে ব্যাংকে পাঠিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের কথা মতো ছবি, এনআইডি আর লিফলেট নিয়ে সোনালী ব্যাংকে গিয়েছি। কিন্তু সঙ্গে ৫০০ টাকা না নেওয়ায় ব্যাংকের কর্মকর্তারা ফিরিয়ে দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনমতে বেঁচে আছি। এসব পেনশন স্কিমের বিষয়ে কিছু জানিনা। ভূমি অফিসের একজন স্যার পেনশন স্কিমে নিবন্ধন না করলে আমাদের ঘর বাতিল করে দেবেন বলেছে। এখন কিভাবে কি করব জানিনা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য পেয়ার আহম্মদ বলেন, আমি ভূমি কর্মকর্তার সঙ্গে সেখানে গিয়েছি। তাদের পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চিথলিয়া ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন বলেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করতে বলেছি। কাউকে জোর করা বা ঘর বাতিলের কথা বলিনি৷  

পরশুরাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, পেনশন স্কিম নিবন্ধন করতে সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। আশ্রয়ণের বাসিন্দারা নিবন্ধন না করলে বরাদ্দকৃত ঘর বাতিলের বিষয়টি সঠিক নয়। 

পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ভালো কাজের জন্য মানুষকে বলতে হয়। কিন্তু খারাপ কাজের জন্য বলতে হয় না। পেনশন স্কিম চালু করলে তাদের ভবিষ্যতের জন্যই উপকার হবে। তবে নিবন্ধন না করলে তাদের ঘর বাতিল করে দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। 

;

লিচুর ফলনে ধস, হাজার টাকা শ’



ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লিচুর ব্যাপক চাহিদা থাকলেও এবার ফলন বিপর্যয় ও অধিক দামের কারণে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন মানুষ। তাপপ্রবাহ দীর্ঘমেয়াদী হওয়ার কারণে বেশিরভাগ লিচু বাগানের লিচুর গুটি রোদে পুড়ে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে; ধারণ করেছে কালো রঙ।

গত কয়েক দিনের অতি তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে লিচু বাগানের অধিকাংশ গাছের লিচু ঝরে পড়েছে; যার ফলে এখন লিচুশূন্য হয়ে পড়েছে বাগানগুলো অথচ কিছুদিন আগেও এলাকার লিচু বাগানগুলো লিচুর গুটিতে ভরপুর ছিল।

কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার লিচু উৎপাদনকারী গ্রামের নাম মঙ্গলবাড়িয়া। দেশ এবং বিদেশে এই মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের লিচুর বেশ খ্যাতি রয়েছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, অল্প কিছু গাছে সামান্য পরিমাণ লিচু টিকে আছে। গাছের নিচে অনেকেই লিচু বিক্রি করছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছে মানুষ। ১০০ লিচু এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেউ অল্প হলেও নিচ্ছেন আবার কেউ দাম শুনে কিনার আগ্রহ হারিয়েছেন। 

লিচুর গুটি রোদে পুড়ে, শুকিয়ে কালো রং ধারণ করেছে

মনোহরদী থেকে আসা শাহ বকুল বলেন,' আগ্রহ নিয়ে এসেছিলাম দেখতে কিন্তু হতাশ হলাম। এবার লিচু কম। যাও আছে চড়া দাম। এর চেয়ে এলাকা থেকে লিচু কিনব ভাবছি।'

কাপাসিয়া থেকে আসা রাজিব মাহমুদ বলেন, দাম বেশি তাই ৫০ টি লিচু পাঁচশো টাকা নিয়ে নিলাম। শুধু খেয়ে দেখার জন্য৷ নেওয়ার ইচ্ছে ছিলো কিন্তু সিদ্ধান্ত বদল করতে হলো দামের কারণে৷ 

জানা যায় প্রায় দুইশত বছর পূর্বে সুদূর চীন দেশ থেকে মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের একজন পুলিশ কর্মকর্তা সর্বপ্রথম এ জাতের লিচুর চারা নিয়ে এসেছিলেন এই গ্রামের । পরবর্তীতে এ লিচুর সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ার পর কলম পদ্ধতিতে সংগৃহীত চারা উক্ত গ্রামের ছড়িয়ে পড়ে এবং শুরু হয় লিচুর আবাদ।

মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের এক লিচু চাষী আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব দুইশত লিচু গাছ আছে। এছাড়াও আমি শতাধিক লিচু গাছ কিনে রেখেছিলাম। লিচু গাছগুলোতে মৌসুমের শুরুতে মকুলে ভরপুর ছিল। কিন্তু এবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও গত কয়েকদিনের অতি গরমের কারণে লিচু বাগানের অধিকাংশ গাছের লিচু ঝরে পড়েছে। এর ফলে এখন লিচু বাগানের গাছগুলো লিচু শূন্য হয়ে পড়েছে। এর ফলে এখন আমাদের মাথায় হাত পড়েছে।’

তিনি বলেন, প্রতিবছর এই গ্রাম থেকে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার লিচু বিক্রি হলেও এবার লিচু চাষীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

লিচু আকারেও বেশ ছোট

এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর ই আলম জানান, মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে প্রায় ৫ হাজার লিচু গাছ রয়েছে। এই গ্রাম থেকে ৮ থেকে ১০ দশ কোটি টাকার লিচু বেচাকেনা হতো তবে এবার প্রাকৃতিক প্রচণ্ড গরমের কারণে অন্যান্য ফসলাদীর ন্যায় লিচু চাষিরা অনেক ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছেন। আমরা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই এলাকায় লিচু চাষীদের নিয়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে লিচু চাষের করণীয় বিষয় নিয়ে প্রচারপত্র বিতরণ করেছি। এছাড়াও ৪ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে লিচু বাগানের খোঁজখবর নেওয়া এবং লিচু চাষীদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এবার লিচু চাষীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (খামার বাড়ি) উপপরিচালক মো. আবদুস সাত্তার বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহ এবং উপযুক্ত সেচ সুবিধার অভাবে এবার মঙ্গল বাড়িয়া জাতের লিচুর ফলনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সেচ সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখে চাষীদের কৌশলী ভূমিকা পালন করতে হবে।

;

রংপুরে তুলা গবেষণা কেন্দ্রে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে নগরীতে তুলা গবেষণা কেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশকিছু তুলার বস্তা পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

বুধবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তুলার গুদামে এ ঘটনা ঘটে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তুলার  গোডাউনে আগুন জ্বলে উঠে। এতে প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। 

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শওকত আলী জানান, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের দোতলায় একটি পাকা গোডাউন ঘর ছিল, সেখানে আগুন লাগলে আমাদের খবর দেয়। খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। তুলার বস্তা ছাড়া অন্য কিছু পোড়া যায়নি।

তিনি বলেন, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।

;

রেস্তোরাঁয় নেই রান্নাঘর, চলে অসামাজিক কাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর শিক্ষাপাড়া খ্যাত চকবাজার থানার অদূরে গুলজার মোড়ে অবস্থিত 'কফি ম্যাক্স' রেস্তোরাঁ। নামে রেস্তোরাঁ হলেও তার আসল কর্মকাণ্ড ধরা পড়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি অভিযানে। এসময় ওই রেস্তোরাঁ রান্নার কোনো আলামত না পেলেও পাওয়া যায় অসামাজিক কাজে বেশকিছু উপকরণ। পরে এই রেস্তোরাঁকে সার্বিক বিষয় বিবেচনায় সিলগালাসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেয় আভিযানিক দল।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে চকবাজার এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মাদ ফয়েজ উল্লাহ। এরপর পৃথক একটি অভিযানে একই থানার কেয়ারি মোড়ে অবস্থিত দাবা রোস্তারাঁকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার উৎপাদন এবং পরিবেশনের দায়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়।

এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ, সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ আনিছুর রহমানসহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সহযোগিতা করেন।

ভোক্তা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মাদ ফয়েজ উল্লাহ জানান, কফি ম্যাক্স রোস্তোরাঁয় অভিযানের সময় আমরা বেশ কিছু অসামাজিক কার্যকলাপের আলামত ও উপকরণ পাই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধের আদেশসহ সিলগালা করা হয়েছে। এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মালিক জনাব নজরুল ইসলাম নামক ব্যক্তি। কিন্তু অভিযান পরিচালনার সময় প্রতিষ্ঠানটির কর্তব্যরত কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, অন্যদিকে দাবা নামক ফাস্টফুড আন রেস্টুরেন্টে খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা পরিবেশে খাবার উৎপাদন ও পরিবেশন করা হচ্ছে। যেখানে পূর্বের দিনের নষ্ট খাবার গুলোও নতুন করে পরিবেশন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। যিনি মেসার্স কফি ম্যাক্স নামক প্রতিষ্ঠানটিরও স্বত্বাধিকারী। দাবা নামক রেস্টুরেন্টে সার্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধের নোটিশ প্রদানসহ সিলগালা করা হয়েছে।

;