বিদেশ পাঠানোর নামে টাকা হাতিয়ে নেন তারা
শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য মালয়েশিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র পাঠানোর নামে আট কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দেওয়া একটি প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আটককৃত অনিক ইসলাম মুন্না (৩৪), রফিকুজ্জামান খান রনি (২৭) ও খন্দকার আবুল হাসান সুমন (৩২) দীর্ঘ দিন থেকে চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকায় অফিস স্থাপন করে ১৫০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আট কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকালে চট্টগ্রামের ডিবি কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) এস এম মোস্তাইন হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘নগরীর আগ্রাবাদ আল মদিনা টাওয়ারে ফরচুন গ্লোবাল ইমিগ্রেশন এন্ড এডুকেশন নামক অফিস স্থাপন করে প্রায় ১৫০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আট কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় সংঘবদ্ধ চক্রটি।
তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে ডবলমুরিং থানায় একটি, চান্দগাঁও থানায় একটি, খুলনা সদর থানায় একটি, পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানায় একটি ও ঢাকা বনানী থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
আসামিরা তাদের আসল নাম ঠিকানা গোপন রেখে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করেন। ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ভুয়া পাসপোর্ট ও ব্যাংক একাউন্টে ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যাবহার করেন। এই রূপ প্রতারণার দায়ে বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন নামে তাদের বিরুদ্ধে আরও মামলা আছে।
সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন নামে গ্লোবাল ইমিগ্রেশন এন্ড এডুকেশন সেন্টার খোলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মানুষকে আকৃষ্ট করে কানাডা-আমেরিকা পাঠানোর কথা বলে টাকা নেয়। একটি নিদিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দেয়। নিদিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার কিছুদিন আগেই অফিস বন্ধ করে দিয়ে উধাও হয়ে যায়।
আটককৃত অনিক ইসলাম মুন্না ওরফে মাসুদুজ্জামান খান মুন্না (৩৪) পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার রঘুনাথপুরের মৃত আবদুল রউফখানের ছেলে। তিনি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করতেন। আটক রফিকুজ্জামান খান রনি (২৭) অনিক ইসলাম মুন্নার ছোট ভাই।
খন্দকার আবুল হাসান সুমন (৩২) বাগেরহাট জেলার বাগেরহাট থানার কলাবাড়িয়ার খন্দকার আবদুল মুহিতের ছেলে। তিনিও রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করতেন।