প্রেসক্লাবে মাহফুজ উল্লাহ’র জানাজা সম্পন্ন
জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট মাহফুজ উল্লাহ’র দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বাদ আসর মাহফুজ উল্লাহ’র জানাজা শেষে সহকর্মীরা তাকে শেষ বিদায় জানান। জানাজা শেষে তার মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাব ও রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মরহুমের পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রেসক্লাবে জানাজা শেষে মরহুমের ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, ‘মাহফুজ উল্লাহ অমায়িক একজন মানুষ ছিলেন। তিনি একাধারে লেখক, গবেষক, সাংবাদিক ছিলেন। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’
মাহফুজ উল্লাহ কে স্মরণ করে তার ভাই ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সাথে আমাদের সম্পর্ক ছিল চমৎকার। আমি কোনো বিষয়ে চিন্তিত হলে তার পরামর্শ নিতাম, সে কোনো বিষয়ে চিন্তিত হলে আমার পরামর্শ নিত। আপনারা আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন আল্লাহর কাছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ, বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, ডা. জাফরুল্লাহসহ সাংবাদিক ও রাজনৈতিকব্যক্তি সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ’র প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রিনরোডের ডরমেটরি মসজিদে।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। গত ২ এপ্রিল মাহফুজ উল্লাহকে দেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সে সময় তাঁর ফুসফুসে পানি জমে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১০ এপ্রিল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমানে তাকে ব্যাংককে নেওয়া হয়।