বাজারে দ্রব্যমূল্য সহনীয়: বাণিজ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বক্তব্য রাখছেন বাণিজ্যমন্ত্রী, ছবি: বার্তা২৪

বক্তব্য রাখছেন বাণিজ্যমন্ত্রী, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নিত্যপণ্যের বাজারে দ্রব্যমূল্য সহনীয় অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেছেন, বিগত ২০১৭ আর ২০১৮ সালে রমজানের সময় যে দাম ছিল তার চেয়ে এখন দাম অনেকটাই কমেছে। কিছু জায়গায় দাম বেড়েছে, কিন্তু সব জায়গায় না।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে 'জাতীয় ভোক্তা দিবস-২০১৯' উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাজারমূল্য নিয়ে সার্বিকভাবে আমরা সন্তুষ্ট। এবার মানুষের উপর চাপ পড়বে না। চালের দাম কমেছে, তাই কৃষকদের কাছ থেকে চাপ আসছে। রোজাকে সামনে রেখে আমরা যথেষ্ট সচেতন আছি। অনিয়ম হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালাচ্ছে, জরিমানা করছে। চিনির দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তবে দেশের বাজারে বৃহত্তর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ তেলের দাম দুই টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।

টিপু মুনশি বলেন, ‘রোজাকে সামনে রেখে ছোলার দাম বাড়ার সুযোগ নেই। ছোলা বিভিন্ন ধরন রয়েছে, কোন ছোলা ৬০ টাকা আবার কোন ছোলা একশ টাকা। ছোলা যা দরকার তার চেয়েও বেশি মজুদ রয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, সেটি আমরা দেখছি। চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।’

বাজারে মাংসের দাম বেড়ে গেছে জানিয়েছে মন্ত্রী বলেন, ‘সবার সাথে বসে মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। যাতে সেটি ঠিক রাখা যায়, সেটি আমরা দেখব। মাংস আগে বাইরে থেকে আসত, এখন তা বন্ধ আছে। যারা পশু পালন করে তারা সেজন্য উৎসাহিত হয়েছে। শহরেই মাংসের দাম কিছুটা বেড়েছে, গ্রামে বাড়েনি। আমরা সিটি করপোরেশনের মেয়রদের সাথে বিষয়টি নিয়ে বসব।'

উৎসবকে কেন্দ্র করে পথে পথে চাঁদাবাজি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশ ও প্রশাসনকে বলেছি রাস্তার চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। নইলে তা পণ্যের উপর প্রভাব পড়ে। এখনও চাঁদাবাজির অভিযোগ পাইনি। আমরা শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। এবারই প্রথম পুলিশকে এটি নিয়ে চিঠি দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘রমজানে প্রতিদিন মন্ত্রণালয়ের চারটি ও ভোক্তা অধিকারের চারটি দল অভিযান পরিচালনা করবে। এই অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেট না হলেও হয়। তারা জরিমানা করতে পারে।’

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত 'জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর' ১৭ হাজার ১৯০টি বাজারে অভিযানের মাধ্যমে ৫৮ হাজার ৬৭৩ প্রতিষ্ঠানকে ৪৬ কোটি ৭৪ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এরমধ্যে ৪ হাজার ৮১৫ অভিযোগকারীকে ৮১ লাখ ৩০ হাজার ৩০২ টাকা প্রদান করে অবশিষ্ট ৪৫ কোটি ৯৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৮টাকা সরকারি কোষাগারে জমা রাখা হয়।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে আগামী ২মে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্বভোক্তা দিবস উদযাপিত হবে। দিবসটিতে তিন হাজার লোকের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও পহেলা মে থেকে ৩মে ঢাকায় ব্যাপক প্রচারণার স্বার্থে বাউল প্রচার সংস্থা কর্তৃক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর উপর গান প্রচার করা হবে।’

আরও পড়ুন: 'রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমবে'

   

হাতীবান্ধায় বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ফেনসিডিলসহ কুখ্যাত মাদক সম্রাট জয়নুল আবেদীন (৩৫)কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা উপজেলার ভোটমারী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত জয়নাল আবেদীন হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব বিছনদই গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুর র‍্যাব-১৩ এর একটি টহল দল সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই বাজারে অভিযান চালায়। এসময় যানবাহনের জন্য অপেক্ষায় থাকা জয়নুল আবেদীনকে তার সাথে থাকা ৪১০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়।

র‍্যাব-১৩ এর মিডিয়া উইং এর উপ-পরিচালক স্কোয়াড্রন লিডার মাহমুদ বশির আহমেদ বার্তা ২৪ কমকে বলেন, নিয়মিত টহল চলাকালে গোপন সংবাদ পায় র‍্যাব। তার ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জয়নুল আবেদীনকে গ্রেফতার করা হয়। আটক জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছে তিনি।

;

চট্টগ্রামে ৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনও সবজি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীতে সবজির দাম লাগাম ছাড়া। বৃষ্টির পর দাম কমার কথা থাকলেও এখনো তা আকাশচুম্বি। বৃষ্টিতে মাঠে কৃষকদের ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে দাবি করে বাড়তি দরেই সবজি বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। আর তাতে ৫০ টাকার কমে কাঁচা বাজারে লাউ-মিষ্টি কুমড়া ব্যতীত সচরাচর মিলছে না কোনও সবজি। এদিকে বাড়তে থাকা ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, গরু ও খাসির মাংস।

শুক্রবার (১৭ মে) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজার দরের এই চিত্র।

অধিকাংশ সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচ, শসা ও টমেটোর। এরমধ্যে কেজি প্রতি ৩০-৪০ টাকা বেড়ে কাঁচা মরিচ ১২০-১৪০ টাকা, শসার দাম ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৬০-৬৫ টাকা এবং ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে টমেটো। অন্যান্য সবজির মধ্যে লাউ ৪০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা পিস, আলু ৬০, ঢেঁড়স ও চিচিঙ্গা ৫০ টাকা কেজি, বেগুন ৮০ টাকা কেজি, ঝিঙে ৭০ টাকা কেজি, বরবটি, গাজর ও পেঁপে ৮০ টাকা কেজি, পটল ৬০ টাকা কেজি, করলা ৬০ কেজি টাকা, কাকরল ১০০ টাকা কেজি এবং ফুলকপি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

সবজির বাড়তি দরের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, 'প্রচণ্ড দাবদাহে সবজির গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাই ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে। আবার কাঁচা মরিচ ও শসার মতো কিছু সবজির জোগান একেবারে কমে যাচ্ছে, তাই বাড়ছে দাম।'

এই বিষয়ে রিয়াজউদ্দিন বাজার আড়ৎদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক শিবলী বলেন, 'গরমে গাছসহ সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আবার স্থানীয় সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সমস্যা হচ্ছে। এতদিন চকোরিয়ার কাঁচামরিচ আসতো, এখন আর আসছে না। ওইরকম অনেক সবজি উত্তরবঙ্গ থেকে আসছে। তাই খরচ বেশি হওয়ায় দাম বাড়তি।'

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে আকার ও জাতভেদে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৭৫-৮০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৫০ টাকা লিটার, পাম তেল ১৩৪ টাকা লিটার, ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৮০০ টাকা, চিনি ১৩৫ টাকা কেজি এবং মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে গতকাল।

এদিকে বাড়তে থাকা ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০-২৫ টাকা কমেছে। নগরে ২৫ টাকা কমে ২০৫ এবং ২০ টাকা কমে ৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। এর বাইরে ৪৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগি। অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের দাম। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১১’শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে আকারভেদে রুই ২৬০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি, কাতলা ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি, মৃগেল ২০০-২৫০ টাকা কেজি, আকারভেদে পাঙ্গাস ১৮০-২০০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা কেজি, স্যালমন ফিশ ৪৫০ টাকা কেজি, বাগদা চিংড়ি ৮০০ টাকা কেজি, রূপচাঁদা আকারভেদে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া মাছ ২৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, সুরমা ৩৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, টেংরা ৩৭০ টাকা এবং নারকেলি মাছ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

;

সরবরাহের অভাব নেই, তবুও বাড়তি সবজির দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কল্যাণপুরের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন কারওয়ান বাজারে এসেছেন সপ্তাহের বাজার করতে। সাধারণত ছুটির দিনে অন্যান্য দিনের তুলনায় বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি থাকে। সেই সাথে বাজারের চাহিদাকে মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরাও পর্যাপ্ত সবজি সরবরাহ করে থাকেন। কিন্তু সরবরাহের অভাব না থাকলেও ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের পকেট কেটে বাড়তি দাম আদায় করছেন বলে অভিযোগ আমজাদ হোসেনের।

শুক্রবার (১৭ মে ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ট্রাকভর্তি মাল নামিয়ে স্তুপ করে রাখা আছে রাস্তার ধারে। অথচ খুচরা বাজারে প্রবেশ করলে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। খুচরা ব্যাবসায়ীদের দাবি প্রয়োজনের তুলনায় কম পণ্য সরবরাহ হচ্ছে। তাই দাম একটু বেশি। অন্যদিকে ক্রেতাদের দাবি পাইকারি বাজারে দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও খুচরা বাজারে তা হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ।


এদিকে খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা দরে। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে কেজি প্রতি ৭০ টাকা থেকে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। এছাড়া আদা রসুনের দাম আগের দামের চেয়ে কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আদা ২৪০-২৮০ টাকা আর প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৪০ টাকা দরে।

এদিকে শাকসবজির বাজারে দেখা যায়, পর্যাপ্ত সবজি থাকলেও দাম এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে রয়েছে। বাজারে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে, ঢেড়স ৮০ টাকা কেজি, লেবু এক হালি ৪০-৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা কেজি, কাকরল ১০০ টাকা কেজি, পটল ৮০ টাকা কেজি, বেগুন ১০০ টাকা কেজি, মুলা ৬০ টাকা কেজি, পেঁপে ১০০ টাকা কেজি, জালি কুমড়া ৬০ টাকা প্রতি পিস।

মাছ মাংসের বাজারেও একই চিত্র। গরুর মাংস আগের মতোই সরকার নির্ধারিত মূল্যের চাইতে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০-৮০০ টাকা কেজি। খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি। ছাগল ও ভেড়ার মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০৫-২১০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৫০ টাকা।


মাছের বাজারে কেজি প্রতি রুই মাছ আকারভেদে ৪০০-৫০০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, বড় চিংড়ি ১,০০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৭০০ টাকা, রুপচাঁদা ১১০০ টাকা, পুঁটি ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, মৃগেল ৪০০ টাকা, বাটা মাছ ৩০০ টাকা, পাঙ্গাশ ২০০ টাকা এবং বড় ও মাঝারি সাইজের ইলিশ ১৪০০-২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বার্তা ২৪.কম কে জানান, 'সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার তার বাজার করতে হয়। একদিনে মূলত বাসার সকল বাজার তিনি কারওয়ান বাজার থেকেই করেন। তার অভিযোগ দোকানে সকল পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও সবকিছুর দাম বাড়তি।'

এদিকে সবজি ব্যবসায়ী মাসুম জানায়, 'বাজারে অনেক শাক সবজি উঠছে। কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় কম। তাই দাম একটু বেশি। মূলত গরমে উৎপাদন এবং আমদানি দুইটাই কম। তাই কাষ্টমারদের কাছে দাম বেশি মনে হয় সবসময়। '

;

লোকসভা নির্বাচনে ৩ দিন ট্যুরিষ্ট ভিসায় ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা



আজিজুল হক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে নিরাপত্তা জনিত কারণে শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী (২০ মে) ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধু মাত্র মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এসময় বন্ধ থাকবে ট্যুরিষ্ট ভিসায় যাতায়াত। ২১ মে থেকে এ বন্দর দিয়ে স্বাভাবিক হবে সব ধরনের যাত্রী যাতায়াত।

শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৯টায় ভারতীয় ইমিগ্রেশনের বরাত দিয়ে এতথ্য নিশ্চিত করেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আজহারুল ইসলাম।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা নির্বাচন অফিসার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সমস্ত আন্তর্জাতিক রুট সিল করা প্রয়োজন। এজন্য ১৭ মে সন্ধ্যা থেকে ২০ মে ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত লোক ও যানবাহন যাতায়াত সংক্ষিপ্ত করা হলো। ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া আগামী ৩ দিন বন্ধ থাকবে ট্যুরিষ্ট ভিসায় যাতায়াত।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ওপারে নির্বাচনে ৩ দিন ট্যুরিষ্ট ভিসায় ভারত ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তিনি অবগত আছেন জানিয়ে বলেন, ইমিগ্রেশন খেকে তিনি এ বার্তা পেয়েছেন। তবে ট্যুরিষ্ট, ষ্টুডেন্ট ও বিজনেস ভিসায় যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকলেও জরুরী মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা যাতায়াতে বাধা নেই।

জানা যায়, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে মেডিকেল, বিজনেস, ভ্রমন ও ষ্টুডেন্ট ভিসায় প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশে প্রায় ৭ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। ভারত ভ্রমণে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে যাত্রীদের ভ্রমণ কর ১০৫৫ টাকা এবং ৫ বছর থেকে ১২ বছর পর্যন্ত যাত্রীদের ৫৫৫ টাকা পরিশোধ করতে হয়। আর ০ থেকে ৫ বছরের যাত্রীদের বন্দর কর ৫৫ টাকা।

এদিকে চেকপোষ্টের পাশাপাশি সীমান্ত পথে যাতে কোন অবৈধ অনুপ্রবেশ না ঘটে সেখানে সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের টহল জোরদার দেখা গেছে।

;