তীব্র দাবদাহে আমে বালাইয়ের উপদ্রব, লক্ষ্য পূরণে শঙ্কা



হাসান আদিব, রাজশাহী, তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আমের জন্য বিখ্যাত উত্তরবঙ্গের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এ দুই জেলার আম দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয়। চলতি বছর আমের মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুল ও কড়ি আসার লক্ষণ দেখে বাম্পার ফলনের আশায় স্বপ্ন বুনছিলেন এ অঞ্চলের আমচাষিরা। তবে তাদের সেই প্রত্যাশায় চিড় ধরাচ্ছে বৈশাখের তীব্র দাবদাহ।

এক সপ্তাহ ধরে রাজশাহীতে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ২০১৬ সালের পর উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা এবার ফের ৪২ ডিগ্রিতে উঠেছে। তীব্র এই গরম আমবাগানে বেড়েছে বিভিন্ন বালাইয়ের উপদ্রব। প্রখর রোদে পুড়ছে মাঝারি আকারের আম। বোটা শুকিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক হারে ঝরে পড়ছে আম।

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছর রাজশাহীতে রেকর্ড ১৭ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে দুই লাখ ১৩ হাজার ৪২৬ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর জমির বাগান থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/01/1556712852813.jpg

এদিকে, গত ৯ এপ্রিল রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের যৌথ সভায় হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী দুই জেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সমন্বয়ে ১৫টি পর্যবেক্ষক দল গঠন করা হয়। যাদের কাজ বাগানগুলোতে যাতে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করা হয়, সেদিকে নজর রাখা। ফলে ১২ এপ্রিল থেকে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের নজরদারি থাকায় বাগানে ঠিকমতো পরিচর্যা করতে পারছেন না চাষিরা। ফলে আম উৎপাদনের রেকর্ড পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ‘কেমিক্যাল ব্যবহারের’ কথিত ভয়।

আমচাষিরা বলছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রখর রোদ ও তীব্র গরমে আম শুকিয়ে যাচ্ছে। বোটা নরম হয়ে হালকা বাতাসে তা ঝরে পড়ছে। একই সঙ্গে গরমের কারণে বিভিন্ন ধরনের বালাইয়ের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। ফলে পাকার উপযোগী হওয়ার আগেই ব্যাপক হারে আম ঝরে পড়ার শঙ্কার কথা বলছেন চাষি ও বিশেষজ্ঞরা।

আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হাইকোর্টের আদেশের কারণে সবার মধ্যে ভয় ঢুকে গেছে। কেউ চাইলেও কীটনাশক বা বালাইনাশক দিতে পারছে না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/01/1556712836489.jpg

বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে দাবি করে রাজশাহীর পুঠিয়ার কয়েকজন আমচাষি জানান, তারা বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। পোকামাকড়ের আক্রমণ ঠেকাতে বালাইনাশক স্প্রে করা আর আম পাকানোর জন্য রাসায়নিক ব্যবহার করা আলাদা জিনিস। কিন্তু তা না বুঝেই প্রশাসন কোনো স্প্রে করতেই দিচ্ছে না। এতে এ অঞ্চলের আমের যে উৎপাদন ও ব্যবসা তাতে ভাটা পড়তে পারে বলে দাবি করেন তারা।

রাজশাহীর আমচাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, গত তিন/চার বছরে রাজশাহী অঞ্চলে এবারের মতো এতো গরম পড়েনি। সূর্যের যে তাপ, তাতে মানুষ বাইরে বের হতে পারছে না। তাহলে আমের কী অবস্থা তা বুঝতেই পারছেন!

তিনি বলেন, গরমে পোকামাকড় বেশি হয়। দ্রুত তা বাগানে ছড়িয়ে পড়ে। মৌসুমের শুরু থেকে যতো যত্নই করা হোক, হঠাৎ পোকা লাগলে সব শেষ হয়ে যায়। তখন স্প্রে করেও তা ঠেকানো যায় না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/01/1556712820670.jpg

বানেশ্বর এলাকার আম ব্যবাসয়ী রাজেকুল ইসলাম এবার সাড়ে চার বিঘা বাগান লিজ নিয়েছেন। তিনি বলেন, কীটনাশক দিয়ে আম পাকানো হয় না, পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচানো হয়। কখন রাসায়নিক ব্যবহার করে আম পাকানো হয়, তা না বুঝে আদালতে ভুলভাবে রিট করে আমচাষিদের ক্ষতি ডেকে আনা হয়েছে। এতে দেশেরও ক্ষতি হবে।

রাজশাহীর মোহনপুরের আমচাষি সিরাজুল বলেন, হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনার পর প্রায়ই বাগানে পুলিশ আসে। ধমক দিয়ে যায়, যাতে গাছে বিষ না দেই। কিন্তু স্প্রে না করলে কীভাবে এই রোদ আর গরমে পোকামাকড়ের হাত থেকে আম বাঁচাবো। সব তো নষ্ট হয়ে যাবে।

চাঁপাইয়ের শিবগঞ্জের আমচাষি শাকিল হোসেন বলেন, ‘আমাদের আম দেরিতে পাকে। ক্ষীরসাপাত, ল্যাংড়া, ফজলি আম পাকতে এখনও দেড় থেকে দুই মাস লাগবে। আম পাকার উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত পোকামাকড়ের উপদ্রব থাকবেই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/01/1556712801785.jpg

তিনি বলেন, ‘আম যতো পুষ্ট হচ্ছে, এক ধরনের কাটাপোকা ভেতরে ঢুকে গর্ত করে ফেলছে। গরম বেশি পড়লে এই পোকার আক্রমণও বেড়ে যায়। এখন যদি আমরা বালাইনাশক ব্যবহার না করি, তাহলে যে আম গাছে এসেছে; তা আর কিছুই ভালো থাকবে না।’

কানসাটের শ্যামপুর এলাকার কাইয়ুম হোসেন বলেন, অপুষ্ট আম হলুদ রঙের করে বাজারে বিক্রির জন্য একটি গোষ্ঠী চেষ্টা করে থাকে। সেটা আম বাগানে করা হয় না, আড়তে ব্যবসায়ীরা করে থাকেন। আমে ফরমালিন ব্যবহার ঠেকাতে বাগানে পুলিশ না পাঠিয়ে রাসায়নিক দ্রব্য বা বিশেষ জাতীয় হরমোন বিক্রি বন্ধে অভিযান চালালে বেশি ভালো হবে।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, উত্তরাঞ্চলে গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির নিচে নামছে না। দিনের বেলায় প্রখর রোদ পড়ছে। যাতে আমে বিভিন্ন প্রকারের বালাই উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। এছাড়া বৃষ্টি না হওয়ায় আমের বোটা শুকিয়ে নরম হয়ে পড়ছে। ফলে আম ঝরছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/01/1556712780373.jpg

তিনি বলেন, গরমের কারণে যে সমস্যা হচ্ছে, তা থেকে আম বাঁচাতে স্প্রে করা জরুরি। বিভিন্ন ভিটামিন জাতীয় ওষুধের সঙ্গে কীটনাশক বা বালাইনাশক দিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। কিছু বালাইনাশক রয়েছে, যেগুলো আম বাগান থেকে নামানোর ১২/১৫ দিন আগে না দিলে কোনো ক্ষতি হয় না। সেগুলো দিলে কোনো আপত্তি নেই।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ উদ্যানতত্বের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, বালাইনাশক ব্যবহার আর ফরমালিন ছিটিয়ে আম পাকানো এক বিষয় নয়। আম সংগ্রহের দুই সপ্তাহ আগে বালাইনাশক ব্যবহার করলেও কোনো ক্ষতিকর প্রভাব খাওয়ার জন্য উপযোগী আমে থাকে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ১৫টি পর্যবেক্ষক টিম গঠন করেছি। তারা বাগানগুলোতে নজরদারি করছে। কৃষি অধিদপ্তর যে বালাইনাশক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে, তা কোনো চাষি বাগানে ব্যবহার করলে আপত্তি নেই। বাগানমালিকরা নির্ভয়ে সেসব বালাইনাশক ব্যবহার করতে পারেন। তবে ক্ষতিকর কোনো রাসায়ানিক বা ফরমালিন যাতে ব্যবহার না করা হয়, সেদিকে নজর রাখছে প্রশাসন।

   

ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি

ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহাসড়কে ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চালনা বন্ধ কারণে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

রোববার (১৯ মে) বিআরটিএ সদর কার্যালয় থেকে জরুরি এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

ঢাকাসহ মহাসড়কে লাইট ভাঙ্গা, সিট ভাঙ্গা মোটরযান চলাচলের কারণে প্রায়শঃ সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি উন্নয়নশীল দেশ। ফলে ঢাকা মহানগরে চলাচলরত গণপরিবহনের সৌন্দর্যের উপর নগরের সৌন্দর্য ও দেশের ভাবমূর্তি অনেকাংশে নির্ভর করে। সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন।


মোটরযান চালক, যাত্রী, পথচারীসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ১ জুলাই -এর মধ্যে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানকে ত্রুটিমুক্ত ও দৃষ্টিনন্দন করার জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায়, আগামী ১ জুলাই থেকে ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন এবং বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

;

কর আাদয়ের সক্ষমতার হিসাব না করেই টার্গেট নির্ধারণ হয়: রহমাতুল মুনিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় বাজেটে কর আহরণ সংক্রান্ত লক্ষ্য নির্ধারণের সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এবিআর) অসহায়ত্ব প্রকাশ পেয়ে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের কর সংক্রান্ত সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

তিনি বলেছেন, আাদয়ের সক্ষমতার হিসাব না করেই অর্থমন্ত্রনালয় থেকে বড় একটা টার্গেট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এই টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ইনোভেটিভ কোন কর্মপরিকল্পনা বা রিফর্মের কোন চিন্তা করারও সুযোগ থাকে না।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আয়োজনে "বাংলাদেশে কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন: পরবর্তী করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে সম্মানীয় অতিথি বক্তব্যে রোববার (১৯ মে) তিনি এ সব কথা বলেন।

রাজধানীর একটি হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সিপিডির এই যৌথ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংস্থাটির ডিশটিংগুইশড ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ছাড়াও সরকারের পলিসি মেকার, রাজনীতিবিদ, ব্যক্তিখাতের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন।

স্বচ্ছতার সাথে গুনমান নিশ্চিত করে সরকারি অর্থ ব্যয় হলে কর আদায় বাড়তে পারে মন্তব্য করে সংলাপে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, গণপরিবহণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নিরাপত্তাসহ সরকারি সেবার উন্নতির সম্ভাবনা থাকলে নাগরিকদের কর প্রদানে উৎসাহ বাড়ে।

এক্ষেত্রে শুধুমাত্র কর আহরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন না করে ব্যযের ক্ষেত্রেও আধুনিকায়নের তাগিদ দেন তিনি।

এ অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর বাস্তবায়ন পর্যালোচনায় কত টাকা বরাদ্দের বিপরীতে কত ব্যয় হেয়েছে সেই হিসাব হয়ে থাকে। সরকারি ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন কাজের ভৌত অগ্রগতি, গুনগত অগ্রগতি ও প্রভাবমূল্যায়ন নিশ্চিত করার তাগিদ দেন।

কর ফাঁকিতে সংশ্লিষ্টদের প্রভাবশালী আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, যারা কর দেয় না, দেশ থেকে টাকা পাচার করে, তারা রাজনৈতিকভাবে এবং আর্থিকভাবে আনেক শক্তিশালী। তাদের কাছ রেথকে কর আদায় করতে গিয়ে এনবিআর কর্মকর্তারা ঝুকির মধ্যে পরেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এনবিআর কর্মীদের অসহায় আখ্যায়িত করে তাদের রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে সুরক্ষা দিয়ে কর আদায়ে সমর্থন দিতে তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
বাজেটে রাজস্ব আদাযের টার্গেট নির্ধারণের সময় এনবিআর এর অসহায়ত্ব উঠে আসে মন্তব্য করে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেন, ”তার্গেট একটা দিয়ে দেয়া হল। সক্ষমতা কতটা আছে? এবং তার্গেটটা অলৌকিক।”

তিনি বলেন, সক্ষমতা হিসাব না করেই টার্গেট দেয়া হয়। আবার টার্গেটের সঙ্গে মিল রেখে সরকারের ব্যযের খাত চূড়ান্ত করায় আদাযে তাদিও দেয়া হয়।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আগের অর্থবছরের মোট আদায়ের সঙ্গে একটা প্রবৃদ্ধি ধরে নতুন অর্থবছরের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলে এই লক্ষ্য পূরণের কিছুটা সম্ভাবনা থাকে।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, আগের বছরের লক্ষ্যের সঙ্গে তুলনা করে পরের বছরের রাজস্বের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

”এই টার্গেটের বোঝা থাকার কারণে অনেক সময় ইনোভেটিভ আইডিয়া ও রিফর্মের বিষয়ে চিন্তা করার সুযোগ থাকে না,” বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, চলতি বাজেটে শতভাগ লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করার শর্তে করপোরেট করে বেশ কিছু ছাড় ঘোষণা করা হলেও ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ নিতে পারেননি।

তিনি বলেন, বড় ব্যবসায়ীরাই লেনদেনে নগদ টাকাকে প্রাধান্য দিলে ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তুলা কঠিন হবে।

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কর-জিডিপির অনুপাত বাংলাদেশে সর্বনিম্ন। এর ফলে জিডিপির তুলনায় সরকারি ব্যয়ের হারেও বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। শতভাগ ই ফাইলিং নিশ্চিত করে করের হার জিডিপির পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বা্ড়ানো সম্ভব বলে অনুষ্ঠানে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, শতভাগ ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে অন্যান্য পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও ২০৩০ সালের মধ্যে কর আহরণ ১৬৭ বিলিয়ন ডলারে উঠবে।

আর প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে না পারলে ওই সময়ে কর আহরণ হবে সর্বোচ্চ ৯০ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার কর আহরণ প্রায় ৮৬% বাড়াতে সহায়তা করবে।

কর বাড়াতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অভাব রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এখানে ২৫ পয়সা বিনিয়োগ করলে সরকারের আয় বাড়ে ১০০ টাকা। অন্যান্য দেশে একই পরিমাণে রাজস্ব আদায় বাড়াতে বাংলাদেশের তুলনায় তিন গুন বিনিয়োগ করতে হয়,” মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য কর আহরণ খাতের তুলনায় লাভজনক কোন খাতই থাকতে পারে না।

;

হাতিয়ায় ৩০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
হাতিয়ায় ৩০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ

হাতিয়ায় ৩০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর দ্বীপাঞ্চল উপজেলা হাতিয়া থেকে ৩০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে। এ সময় হরিণের ১টি চামড়া, ১টি মাথা ও চারটি পা উদ্ধার করা হয়।  

রোববার (১৯ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন ঢালচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে কোস্ট গার্ড এ মাংস জব্দ করে। তবে এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড।  

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বিএন এইচ এম এম হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন ঢালচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে শিকারিরা পালিয়ে যায়। পরে জব্দকৃত মাংস হাতিয়া বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।  

;

এবছর ২৪ লাখ বৃক্ষে শোভিত হবে চট্টগ্রাম: ডিসি ফখরুজ্জামান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, গতবারের রোপণ করা ২৩ লাখ হতে যেগুলো টিকেনি সেগুলোর অডিটিং করে পুনঃস্থাপন করা হবে ও গতবারের ২৩ লাখের সাথে আরও ১ লাখ যোগ করে ২৪ সালে ২৪ লাখ বৃক্ষ শোভিত হবে চট্টগ্রাম।

রোববার (১৯ মে) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সম্মেলন কক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় বিনা অনুমতিতে গাছ কাটার ব্যাপারে সম্মানিত জেলা প্রশাসক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রয়োজনে বন আইন কিংবা পরিবেশ আইনে সংশোধনের কথাও বলেন। তিনি ২০২৩ সালের রোপণ করা ২৩ লাখ বৃক্ষের বর্তমান অবস্থা জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দ্রুত অডিট করতে নির্দেশ দেন।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিস্ট্রেশনে চট্টগ্রাম জেলা সর্বাধিক ৪০ হাজারের অধিক রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এক নাম্বারে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ দেন। এই অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয় সেদিকে লক্ষ্য্য রাখার আহ্বান জানান। তবে একই সাথে তিনি জন্ম মৃত্যু নিবন্ধনের ব্যাপারে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেন। এছাড়াও আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে তিনি কোরবানির হাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল মহোদয়, চট্টগ্রাম জেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাসহ অন্যান্য দফতরের কর্মকর্তারা।

;