মসিকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ময়মনসিংহ, বার্তা২৪.কম
মসিক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান, ছবি: বার্তা২৪

মসিক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের (মসিক) প্রথম নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ৩৩ টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১ টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) নগরীর টাউনহলস্থ এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মো. আলীমুজ্জামান ফলাফল ঘোষনা করেন।

বেসরকারিভাবে নির্বাচিত সাধারণ কাউন্সিলর যারা:

১ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে আসাদুজ্জামান বাবু ৩৪৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম লাটিম প্রতীকের আব্দুল ওয়াদুদ ১৩৮০ ভোট পেয়েছেন।

২ নং ওয়ার্ডে মিষ্টি কুমড়া প্রতীক নিয়ে মোঃ গোলাম রফিক দুদু ১৮১৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকের এম এ মতিন পেয়েছেন ১৫৯৩ ভোট। 

৩ নং ওয়ার্ডে ঘড়ি প্রতীক নিয়ে মোঃ শরীফুল ইসলাম পেয়েছেন ২৯৮১ ভোট, তার নিকটতম রেডিও প্রতীকের মোঃ রফিকুল ইসলাম শাহীন পেয়েছেন ৪২৯ ভোট।   

৪ নং ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীক নিয়ে মোঃ মাহবুবুর রহমান ১৯১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ী প্রতীকে মোঃ রাসেল পাঠান ১৪৫৯ ভোট পেয়েছেন।   

৫ নং ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীক নিয়ে মোঃ নিয়াজ মোর্শেদ ১৩৭২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে মোঃ মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৮২৯ ভোট।

৬ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু ২৮৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম রেডিও প্রতীকে মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান ১৭২ ভোট পেয়েছেন।

৭ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে আসিফ হোসেন ডন ১৪৯০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম রেডিও প্রতীকের বিপ্লব কুমার সরকার ৩৯৮ ভোট পেয়েছেন।  

৮ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীকের ফারুক হাসান ১৮৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম রেডিও প্রতীকে বিকাশ সরকার পেয়েছেন ১৪৭৫ ভোট।

৯ নং ওয়ার্ডে মিষ্টি কুমড়া প্রতীক নিয়ে শীতল সরকার ২২৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ী প্রতীকের মোঃ আল মাসুদ পেয়েছেন ১৬৫৯ ভোট। 

১০ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে মোঃ তাজুল ইসলাম ১৮২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম লাটিম প্রতীক নিয়ে রতন চৌধুরী পন্ডিত পেয়েছেন ১৭৪৪ ভোট।  

১১ নং ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীক নিয়ে মোঃ ফরহাদ আলম ১৩৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম ঘুড়ি প্রতীকে খন্দকার আনিসুজ্জামান এলিছ ৪২৯ ভোট পেয়েছেন।  

১২ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে ২০১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আনিসুর রহমান, তার নিকটতম লাটিম প্রতীকে হানিফ মোঃ ওয়ালিউল্লাহ ১৩৭৭ ভোট পেয়েছেন।  

১৩ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে দেলোয়ার হোসেন ১৬২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ি প্রতীকে মোঃ আব্বাস আলী তালুকদার ১২৬৫ ভোট পেয়েছেন।  

১৪ নং ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীক নিয়ে মোঃ ফজলুল হক ১৩৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ি প্রতীকে মোঃ আাতিকুর হাসান মাসুম ১০৭২ ভোট পেয়েছেন।

১৫ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে মোঃ মাহবুব আলম হেলাল ২০৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম লাটিম প্রতীকে মোঃ রফিকুল ইসলাম ১৫৬৪ ভোট পেয়েছেন।  

১৬ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে মোঃ আব্দুল মান্নান ১৯২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ী প্রতীকে মোঃ শরাফ উদ্দিন ১৫৭১ ভোট পেয়েছেন।  

১৭ নং ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে মোঃ কামাল খান ২০৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম ঘুড়ি প্রতীকের মোঃ নজরুল ইসলাম ১৮৩৭ ভোট পেয়েছেন।  

১৮ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে হাবিবুর রহমান হবি ২৮১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম ঘুড়ি প্রতীকে মোঃ জামাল হোসেন রোজ ২২১৫ ভোট পেয়েছেন।

১৯ নং ওয়ার্ডে মিষ্টি কুমড়া প্রতীক নিয়ে মোঃ আব্বাস আলী মন্ডল ৩২০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম করাত প্রতীকে মোঃ মাহবুবুর রহমান ২৭৯৭ ভোট পেয়েছেন।  

২০ নং ওয়ার্ডে লাঠিম প্রতীক নিয়ে মোঃ সিরাজুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন  ২১১৩ ভোট পেয়ে, তার নিকটতম ঘুড়ি প্রতীকে মোঃ সাইদুর রহমান তারু ১০৫৫ ভোট পেয়েছেন।

২১ নং ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীক নিয়ে মোঃ মোস্তফা ফারুক ৯৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ি প্রতীকে মোঃ লাল মিয়া লাল্টু ৩৯৮ ভোট পেয়েছেন।  

২২ নং ওয়ার্ডে ট্রাক্টার প্রতীক নিয়ে মোঃ মোস্তফা কামাল ১০১১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম ঠেলাগাড়ী প্রতীকে মোঃ আবুল হাসেম ৬৩৯ ভোট পেয়েছেন।

২৩ নং ওয়ার্ডে করাত প্রতীক নিয়ে মোঃ সাব্বির ইউনুস ১৭৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ট্রাক্টর প্রতীকে মোঃ নাজমুল হাসান ৯৫৩ ভোট পেয়েছেন।  

২৪ নং ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ৯৪৫ ভোট পেয়ে  নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম কাটা চামচ প্রতীকের মোঃ আসলাম হোসেন পেয়েছেন ৫৬৫ ভোট।

২৫ নং ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে মোঃ মনোয়ার হোসেন ১১২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম  মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে মোঃ ওমর ফারুক ১০৩২ ভোট পেয়েছেন।

২৬ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে মোঃ শফিকুল ইসলাম ১৯৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে মোমিন রুবেল পেয়েছেন ৭৯১ ভোট পেয়েছেন।

২৭ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে মোঃ শামসুল হক ১৯৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে মোঃ খায়রুল ইসলাম ১৪৭৮ ভোট পেয়েছেন।

২৮ নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে কায়সার জাহাঙ্গীর আকন্দ ১৯৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম রেডিও প্রতীকে মোঃ গোলাম হোসেন হামিদ ৮৬৮ ভোট পেয়েছেন।

২৯ নং ওয়ার্ডে এয়ার কন্ডিশন প্রতীক নিয়ে মোঃ রফিকুল ইসলাম ১০২১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে, তার নিকটতম ঝুড়ি প্রতীকে মোঃ আবুল হোসেন ৭০৯ ভোট পেয়েছেন।

৩০ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে আবুল বাসার ১৫৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম এয়ার কন্ডিশনার প্রতীকে মোঃ শাহ আলম ১০২৫ভোট পেয়েছেন।

৩১ নং ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে মোঃ আসাদুজ্জামান ৩১০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ট্রাক্টর প্রতীকে মোঃ সেলিম উদ্দিন ২৭৪৪ ভোট পেয়েছেন।

৩২ নং ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীক নিয়ে মোঃ এমদাদুল হক মন্ডল ২৩৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ঝুড়ি প্রতীকে আবু বক্কর সিদ্দিক ১৬১৩ ভোট পেয়েছেন।

৩৩ নং ওয়ার্ডে ট্রাক্টর প্রতীক নিয়ে মোঃ শাহজাহান ৪৫১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম মিষ্টি ঘুড়ি প্রতীকে মোস্তফা কামাল পেয়েছেন ২২১১ ভোট।

সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নির্বাচিত যারা:

১/২/৩ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে স্টীল আলমারী প্রতীক নিয়ে সেলিনা আক্তার ৩৮০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম চশমা প্রতীকে আকিকুন নাহার ৩৭৫২ ভোট পেয়েছেন।

৪/৫/৬ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে শাম্মী আক্তার মিতু ৪৮৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম আনারশ প্রতীকে খোদেজা আক্তার ৩২৭৫ ভোট পেয়েছেন।

৭/৮/৯ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে মোছাঃ হামিদা পারভীন ৩৩০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম ডলফিন প্রতীকে আরতী গুপ্তা ২৯৭০ ভোট পেয়েছেন।

১০/১১/১২ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে রোকসানা শিরিন ২৩১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছের, তার নিকটতম জীপগাড়ি প্রতীকে রীতা পাল ২১০৭ ভোট পেয়েছেন। 

১৩/১৪/১৫ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে চশমা প্রতীক নিয়ে রোকেয়া হোসেন ৪৫৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম আনারশ প্রতীকে স্বপ্না খন্দকার ৩৪৬৩ ভোট পেয়েছেন। 

১৬/১৭/১৮ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে রোকসানা পারভীন কাজল ৪৪০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম মোবাইল ফোন প্রতীকে মোছাঃ রানী বেগম ৩৫৭৪ ভোট পেয়েছেন। 

১৯/২০/২১ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে চশমা প্রতীক নিয়ে শামীমা আক্তার ৯৫৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম বই প্রতীকে ইসমত আরা বানু  ৩৬৮৪ ভোট পেয়েছেন। 

২২/২৩/২৪ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে শাহনাজ বেগম ৪৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম আনারশ প্রতীকে মোছাঃ হাজেরা খাতুন ৩৮০৬ ভোট পেয়েছেন। 

২৫/২৬/২৭ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে চশমা প্রতীক নিয়ে আইরিন আক্তার ৪৯৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম মোবাইল ফোন প্রতীকে মোছাঃ রিনা আক্তার ৪৭৫৮ ভোট পেয়েছেন। 

২৮/২৯/৩০ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে কাউসার ই জান্নাত ৫৭২১ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম বেহালা প্রতীকে মোছাঃ হামিদা ৫০১৫ ভোট পেয়েছেন।

৩১/৩২/৩৩ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে মোছাঃ ফারজানা ববি কাকলী ৬৫৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম হেলিকপ্টার প্রতীকে মোছাঃ কুলসুম বেগম ৪৮৯৩ ভোট পেয়েছেন। 

আর আগে, ১২৭ টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে সকাল ৮ টা থেকে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। এতে ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪২জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।  

মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বি কোনো প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক পৌর মেয়র ও মসিক প্রশাসক ইকরামুল হক টিটু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় ভোট হয় শুধুমাত্র কাউন্সিলর পদে।

   

রংপুরে হিটস্ট্রোকে কৃষকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে তীব্র তাপদাহে হিটস্ট্রোকে ফজু মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি মৃত্যু হয়েছে। ফজু মিয়া বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর বালাচওড়া এলাকার বাসিন্দা।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে স্থানীয় চাপড়ার দোলায় (বিল) নিজের জমিতে ধান কাটতে গিয়ে প্রচণ্ড গরমে সেখানেই মৃত্যুর হয় তার।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফজু মিয়ার ছেলে রোকছানুল হক।

রংপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, গত দু’দিন ধরে রংপুর অঞ্চলে ফের মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। শুক্রবার রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন আবহাওয়া আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে।

;

কবুতরপ্রেমীদের মিলনমেলা যেন গুলিস্তান



খন্দকার আসিফুজ্জামান, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তাপদাহের এই সময়ে রোদের প্রখরতায় জ্বালা করছে শরীর, কিন্তু সেদিকে যেন কারো কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। সবার নজর রাস্তার দুই ধারে খাঁচায় সারিবদ্ধ করে রাখা রঙ-বেরঙের নানা প্রজাতির কবুতরের দিকে। এ যেন কবুতরপ্রেমীদের এক মিলনমেলা। বলছি, গুলিস্তান হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে রাস্তায় গড়ে ওঠা কবুতরের হাটের কথা।

হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে কাপ্তান বাজার এলাকায় রাস্তার দুই ধারে প্রতি শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় কবুতরের এই হাট। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে কবুতরপ্রেমীরা বিক্রির জন্য তাদের পোষা নানান প্রজাতির কবুতর নিয়ে আসেন এই হাটে। সকাল থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে থাকা এই হাট, চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ক্রেতা, বিক্রেতা ও স্থানীয়দের মতে শহরের সবচেয়ে পুরনো এবং সর্ববৃহৎ কবুতরের হাট এটি।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাপ্তান বাজার এলাকার রাস্তার দুই ধারে কবুতর ভর্তি খাঁচা সাজিয়ে বসে আছেন অনেকেই। আবার কেউ সাইকেল, মোটরসাইকেল ও ভ্যানে করেও কবুতর নিয়ে দাড়িয়ে আছেন। দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারা এসেছেন পছন্দ অনুযায়ী কবুতর সংগ্রহ করতে।

গুলিস্তান কবুতর হাটে এত উপস্থিতির কারণ জানতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দামে কম, মানসম্পন্ন উন্নত জাতের সব ধরনের কবুতর এই হাটে পাওয়া যায়। জোড়াপ্রতি সর্বনিম্ন ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে জোড়াপ্রতি ২০ হাজার টাকার কবুতর মেলে এই হাটে। যে কারণে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে থাকে গুলিস্তানের কবুতরের এই হাট।

কবুতরপ্রেমীদের ভাষায়, এই বাজারে বিভিন্ন জাতের কবুতর যেমন, মিলি রেসার, সিরাজী, বোম্বাই, সবুজ গোল, লক্ষা, গ্রিজেল, বোগদাদি, সবজি রেসার, আর্মি, গিরিবাজ, পোটার জাতের কবুতর (সাদা, কালো ও হলুদ), জগা পিনসহ দেশি বিভিন্ন জাতের কবুতর পাওয়া যায়।

এই বাজারে মিলি রেসার কবুতর বিক্রি করা হচ্ছে ১২০০/১৫০০ টাকা, লাহোরি সিরাজী ২৫০০/৩০০০ টাকা, বোম্বাই ৫০০/৭০০ টাকা, লক্ষা ১০০০/১৫০০ টাকা, গ্রিজেল রেসার ১৫০০ টাকা, বোগদাদি হোমা ৮০০/১৫০০ টাকা, সবজি রেসার ১৮০০/২০০০ টাকা জোড়াপ্রতি বিক্রি হচ্ছে।


এছাড়া, জাত, আকার আকৃতি, রঙ অনুযায়ী একজোড়া সবুজ গোল কবুতরের দাম ৫০০/৫০০০ টাকা ও আর্মি রেসার জোড়া প্রতি ৪০০০/২০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয় বলেও জানান গুলিস্তান কবুতর হাটের বিক্রেতারা।

বর্তমানে কবুতরের দাম একবারেই কমে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, যে কবুতরে দাম ছিল আকাশচুম্বী, তার আজকের বাজারে দাম নাই বললেই চলে।

৩৬ বছর যাবত কবুতর পোষেন যাত্রাবাড়ীর গোপাল ঘোষ বার্তা২৪.কমকে বলেন, শখের বসে কবুতর পালন শুরু করেছিলাম। নেশা হইয়া গেল, আর ছাড়তে পারলাম না। তবে কবুতরের আর সম্মান নাই। গত দুই এক বছর আগেও যে কালা বিউটি একজোড়া কবুতর বিক্রি করেছি ৫০,০০০০ থেকে ৬৫,০০০ টাকায় আজকের বাজারে সে কবুতরের দাম ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা।

দাম কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কবুতরের খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ার পর আমাদের অজান্তেই কবুতরের দাম হুট করে নেমে গেছে; সম্ভবত ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে।

সানারপাড়ের বাসিন্দা মো. মনির হোসেন। মোটরসাইকেলে করে তিনিও খাঁচায় বেশকিছু কবুতর নিয়ে হাটে এসেছেন। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি কবুতর পালন করেন। পেশায় তিনি চাকরিজীবী। শখের বসেই তার কবুতর পালন। এই কবুতর পালন করেই সানারপাড় এলাকায় বাড়ি করেছেন বলে জানান তিনি।


মনির হোসেন বলেন, শখের বসে কবুতর পালতে এসে একসময় নেশা হয়ে যায়। তারপর থেকে বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা বাদ দিয়ে অবসরে কবুতর পালনে সময় দিই। কষ্ট আছে, কিন্তু শ্রম দিতে পারলে লাভও আছে। এই কবুতর পালনের টাকা দিয়াই সানারপাড় বাড়ি করছি, ৩টা মোটরসাইকেল কিনছি। যে মোটরসাইকেলের উপর কবুতর রাখা দেখতাসেন, এটাও এই কবুতর বিক্রির টাকায় কেনা।

রাজস্থানের খিলগাঁও থেকে কবুতর কিনতে এসেছেন শিক্ষার্থী আবির রহমান। আলাপচারিতায় আবির জানান, তার সংগ্রহে বর্তমানে ১৫০ জোড়া কবুতর রয়েছে। যার বাজার মূল্য ২,৫০,০০০ থেকে ৩,০০,০০০ টাকা।

আবির বলেন, আমার সংগ্রহে যে কবুতরগুলো রয়েছে তা খুব দামি না। আমার ইচ্ছা এখন থেকে দামি কবুতর সংগ্রহে নেওয়া। আজকে এই হাটে আসার কারণও তাই। আমার হাতে যে কবুতরটা দেখছেন এটা আর্মি রেসার। এই জোড়াটা কিনেছি ৫,৫০০ টাকায়। কবুতর পালা এখন নেশার মতো কাজ করে। এখন আর আড্ডা ভালো লাগে না। কবুতর নিয়াই থাকি সারাদিন।


গুলিস্তান কবুতর হাটের ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও তাদের ভেতরে হাট ব্যবস্থা নিয়ে চাপা কষ্ট রয়েছে বলে জানান কিছু ব্যবসায়ী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী বার্তা২৪.কমকে জানান, কবুতর বিক্রি হোক বা না হোক, এই হাটে বসতে হলে ব্যবসায়ীদের খাঁচা প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, আবার কখনও তার বেশি ইজারাদারকে দিতে হয়। যা ব্যবসায়ীদের উপর অনেকটা জুলুম হয়ে দাঁড়ায়। শুধু তাই নয়, যারা এই হাট থেকে কবুতর কিনবে তাদেরও কবুতরের দাম অনুযায়ী শতকরা ১০% হারে ইজারাদারকে হাসিল দিতে হয় বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।

এই অব্যবস্থাপনার কারণে দিন দিন রাজধানীর পুরনো এবং সর্ববৃহৎ কবুতর হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে বলেও বার্তা২৪.কমকে জানান হাটে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে ইজারাদারের সাথে কথা বলতে চাইলে তাদের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি এবং ইজারাদারের পক্ষে হাট থেকে টাকা আদায়কারীর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনিও কথা বলতে রাজি হননি।

;

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১২ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ জন। এ নিয়ে জানুয়ারি থেকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ৫৮১ জনে দাঁড়িয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া একজন রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯ জন। আর ঢাকার বাইরের ৩ জন। 

আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৫ জন ও নারীর সংখ্যা ৭ জন। 

এ সময়ের মধ্যে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩৩ জন। আর মোট বাড়ি ফিরেছেন দুই হাজার ৪১৩ জন। 

;

ধর্মান্ধরা সমাজকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে: ভূমিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আজকে ধর্মান্ধরা সমাজকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যার যার ধর্ম তার তার কাছে থাকবে এটা নিয়ে হিংসা করার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন ভূমিমন্ত্রী শ্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

শুক্রবার (১৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ৩৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। আলোচনা সভায় ভূমিমন্ত্রী বলেন, ৭৫ এর পরে মৌলবাদের যে প্রভাব শুরু হয়েছে সেটি এখনো পর্যন্ত কন্ট্রোলে নিয়ে আসা যায়নি। আজকে তারা পহেলা বৈশাখকে বিতর্কিত করতে চায়। আমাদের নতুন প্রজন্ম এই পহেলা বৈশাখকে গ্রহণ করতে চায়; কিন্তু তারা এটা চায় না।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৮৮ সালে যে পরিমাণ সাম্প্রদায়িকতা ছিল, বর্তমানে সেটির অবস্থা আরও ভয়াবহ। বর্তমানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে মিথ্যাচার করা হচ্ছে সেটি অসাম্প্রদায়িকতার পরিপন্থী। নির্বাচনের সময় যে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরী হয় সেটি আমরা কখনোই চাই না। রাজনীতির ক্ষেত্রে আমরা যা-ই বলি না কেন; কিন্তু বাস্তবে তা ভিন্ন। সামাজিক শক্তি আমাদের এখানে খুবই দূর্বল হয়ে গেছে। সমাজ এখন মৌলবাদের হাতে চলে গেছে। অসাম্প্রদায়িকতা এখন আর নেই। সরকার যেভাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স হয়েছে, আমরা চাইবো এই অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন চাই। আমাদের যে শক্তি আছে আমরা কখনোই চাই না সেটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাক

বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুর সংখ্যা এখন একেবারেই কম। আমরা প্রায় পাকিস্তানের সমানে হয়ে এসেছি। আমাদের উপরে যে আচরণ করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে সেগুলোর বিচার তেমন হয় না। অসাম্প্রদায়িকতা এখন আর নেই। এদেশে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করে সাম্প্রদায়িক দেশে তৈরি করার প্রচেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাস গুপ্ত, নাট্যকার শ্রী রামেন্দু মজুমদার, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. বিরেন সিকদার, অর্থনীতিবিদ ড. দেব প্রিয় ভট্টাচার্য, প্রফেসর ড. মেজবাহ কামাল প্রমুখ।

;