এসএসসিতে চট্টগ্রামে সেরা কলেজিয়েট স্কুল



রাকিব কামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফলাফলের পর চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উল্লাস, ছবি: বার্তা২৪.কম

ফলাফলের পর চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উল্লাস, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় সেরার হওয়ার মুকুট অর্জন করেছে ঐতিহ্যবাহী কলেজিয়েট স্কুল। সর্বোচ্চ সংখ্যক জিপিএ-৫ পাওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এবার বিদ্যালয়টি থেকে ৪৫৭ শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১১ জন। এর মধ্যে ৪৫৫ জন ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ও অপর দুইজন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। বিজ্ঞানের এক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন।

ব্যবসায় শিক্ষা থেকে জিপিএ ফাইভ ৫ শিক্ষার্থী তানজিম হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'আজকের এমন রেজাল্টের পেছনে বাবা-মা এবং আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। তারা আমাদের পরামর্শ এবং সহায়তা না করলে এত ভালো রেজাল্ট করতে পারতাম না। আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেনো ভালো কলেজে ভর্তি হয়ে আরও ভালো রেজাল্ট করতে পারি।'

বিজ্ঞান শাখা থেকে জিপিএ ৫ পাওয়া আরেক শিক্ষার্থী ইমরান ইব্রাহিম অনুভূতি জানাতে গিয়ে বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'এত ভালো রেজাল্টের পর কেমন আনন্দ হয় বোঝানো সম্ভব নয়। আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমার আব্বু-আম্মু, শিক্ষক আর প্রতিষ্ঠানকে। যারা সহায়তা না করলে এমন ফল পেতাম না।'

এসএসসিতে চট্টগ্রামে সেরা কলেজিয়েট স্কুল

শ্রেষ্ঠত্বের এমন কৃতিত্বে পুরোটাই শিক্ষক আর অভিভাবকদের দিলেন কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত দাশ। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'শিক্ষকরা আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করিয়েছেন বলে শিক্ষার্থীর ভালো রেজাল্টের জন্য উন্মুখ ছিল। আর অভিভাবকরা দায়িত্ব নিয়ে শিক্ষার্থীদের দেখভালের করেছেন বলে প্রতিষ্ঠান সামগ্রিক অর্থে ভালো করেছেন।'

গ্রাম আর নগরীর মধ্যে বরাবরই ফলাফল নিয়ে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। নগরীর অধিকাংশ স্কুল কাঙ্ক্ষিত লক্ষ এগিয়ে থাকলেও গ্রাম অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে থাকেছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ শিক্ষাবিদ জানান, 'আগে গ্রামের অনেক শিক্ষার্থী ভালো ফল করতো, স্ট্যান্ড করতো। এখন কিন্তু সেটা দেখছি না। শহরের স্কুলগুলো ঘুরেফিরে ভালো করতে শুনি। সরকারের এত সুযোগ-সুবিধার পড়েও গ্রাম অঞ্চলে শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষ মুখী নন। তারা অনেকক্ষেত্রে নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে সচেতন নন। এদের আরও বেশি প্রশিক্ষণ এবং নজরদারির আত্ততায় আনা হলে শহর গ্রামের রেজাল্টের ব্যবধান কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

চট্টগ্রাম বোর্ডে সেরা দশ স্কুল

চট্টগ্রাম বোর্ডের সেরা দশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়। ৩৯২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩১২ জন।

এসএসসিতে চট্টগ্রামে সেরা কলেজিয়েট স্কুল

তৃতীয় অবস্থানে থাকা নাসিরবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৬১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৫৯ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২৯৪ শিক্ষার্থী।

চতুর্থ অবস্থান থাকা খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩২৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২২৪ শিক্ষার্থী পাশ করেছেন। এর মধ্যে ২৭১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

পঞ্চম অবস্থানে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) স্কুলের ৪৬৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৬৫ জন পাশ করেছেন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৬৪ শিক্ষার্থী।

ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা নাসিরবাদ বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৩৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৩৫ জন পাশ করেছেন। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২১৮ জন।

সপ্তম অবস্থানে থাকা নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫১৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫০৯ শিক্ষার্থী পাশ করেছেন। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১৮৭।

অষ্টম অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০৯ শিক্ষার্থী পাশ এবং ১৬৩ শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছেন।

নবম অবস্থানে চট্টগ্রাম সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩১৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৯৫ জন শিক্ষার্থী পাশ এবং ১৪৬ শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পান।

এছাড়া দশম অবস্থানে থাকা কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ২৫৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৪৬ পাশ এবং ১১২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

   

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১২ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ জন। এ নিয়ে জানুয়ারি থেকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ৫৮১ জনে দাঁড়িয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া একজন রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯ জন। আর ঢাকার বাইরের ৩ জন। 

আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৫ জন ও নারীর সংখ্যা ৭ জন। 

এ সময়ের মধ্যে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩৩ জন। আর মোট বাড়ি ফিরেছেন দুই হাজার ৪১৩ জন। 

;

ধর্মান্ধরা সমাজকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে: ভূমিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আজকে ধর্মান্ধরা সমাজকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যার যার ধর্ম তার তার কাছে থাকবে এটা নিয়ে হিংসা করার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন ভূমিমন্ত্রী শ্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

শুক্রবার (১৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ৩৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। আলোচনা সভায় ভূমিমন্ত্রী বলেন, ৭৫ এর পরে মৌলবাদের যে প্রভাব শুরু হয়েছে সেটি এখনো পর্যন্ত কন্ট্রোলে নিয়ে আসা যায়নি। আজকে তারা পহেলা বৈশাখকে বিতর্কিত করতে চায়। আমাদের নতুন প্রজন্ম এই পহেলা বৈশাখকে গ্রহণ করতে চায়; কিন্তু তারা এটা চায় না।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৮৮ সালে যে পরিমাণ সাম্প্রদায়িকতা ছিল, বর্তমানে সেটির অবস্থা আরও ভয়াবহ। বর্তমানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে মিথ্যাচার করা হচ্ছে সেটি অসাম্প্রদায়িকতার পরিপন্থী। নির্বাচনের সময় যে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরী হয় সেটি আমরা কখনোই চাই না। রাজনীতির ক্ষেত্রে আমরা যা-ই বলি না কেন; কিন্তু বাস্তবে তা ভিন্ন। সামাজিক শক্তি আমাদের এখানে খুবই দূর্বল হয়ে গেছে। সমাজ এখন মৌলবাদের হাতে চলে গেছে। অসাম্প্রদায়িকতা এখন আর নেই। সরকার যেভাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স হয়েছে, আমরা চাইবো এই অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন চাই। আমাদের যে শক্তি আছে আমরা কখনোই চাই না সেটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাক

বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুর সংখ্যা এখন একেবারেই কম। আমরা প্রায় পাকিস্তানের সমানে হয়ে এসেছি। আমাদের উপরে যে আচরণ করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে সেগুলোর বিচার তেমন হয় না। অসাম্প্রদায়িকতা এখন আর নেই। এদেশে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করে সাম্প্রদায়িক দেশে তৈরি করার প্রচেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাস গুপ্ত, নাট্যকার শ্রী রামেন্দু মজুমদার, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. বিরেন সিকদার, অর্থনীতিবিদ ড. দেব প্রিয় ভট্টাচার্য, প্রফেসর ড. মেজবাহ কামাল প্রমুখ।

;

নওগাঁয় মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা মামলায় প্রধান আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর বদলগাছীতে চাঞ্চল্যকর মাদ্রাসা ছাত্র সাকিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি আকবরকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাহবুবুর রহমান তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামি আকবর হোসেন উপজেলার জাইজাতা গ্রামের মো: হেলাল হোসেনের ছেলে। দীর্ঘ ১০ মাস ২০ দিন পর তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ নিয়ে মামলার পাঁচ আসামিই গ্রেফতার হয়েছে পুলিশের হাতে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আকবরকে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

থানা পুলিশ এবং মামলা সুত্রে জানা যায়, নিহত সাকিব হোসেন মহাদেবপুর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে। সাকিব ফতেপুর মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। গত ১৯ শে জুন সাকিব ভ্যান নিয়ে বাহিরে যায়। বাড়িতে ফিরে না আসলে পরিবার থানায় জিডি করে। তার এক সপ্তাহ পর মাতাজিহাট রোডে গাবনা ভোবন ব্রিজের নিচে স্থানীয়রা একটি লাশ দেখতে পায়। পরে থানায় জানালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরিবার লাশের পরিচয় সনাক্ত করে থানায় এজাহার দাখিল করে। এর ২৪ ঘন্টার মধ্যে থানা পুলিশ সাকিব হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ হত্যায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করে।

ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে মাদ্রাসার ওই ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলেও তারা জানান। মামলার প্রধান আসামি আকবর হোসেন দীর্ঘ দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে থাকে। ফলে আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তথ্য প্রযুক্তি এবং গোপন সংবাদের ভিক্তিতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানতে পারে মামলার প্রধান আসামি আকবর নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

;

সিইসি’কে স্বশরীরে চাটখিলের ভোট প্রত্যক্ষ করার আহবান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাদের অতি-উৎসাহী আচরণ ও জনগনের মাঝে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের কারণে সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরী হয়েছে দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) স্বশরীরে চাটখিল এসে ভোট গ্রহণ প্রত্যক্ষ করার আহবান জানিয়েছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জেড.এম আজাদ খান।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে চাটখিল পৌরসভার নিজ বাসভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সিইসি’কে তিনি এই আহবান জানান।

সাংবাদিক সম্মেলনে জেড.এম আজাদ খান বলেন, তিনি নির্বাচনী কর্মকান্ড শুরু করার পর থেকে তার নির্বাচনী কর্মীদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি এমনকি প্রাণ নাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রিটার্নি কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিয় কর্মকর্তা ও থানা পুলিশে অভিযোগ করেও তিনি কোন প্রতিকার পাননি। দোয়াত কলম প্রতিকের প্রার্থী (বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান) জাহাঙ্গীর কবিরের পক্ষে থানার ওসি সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন। যা তার কর্মকান্ডে প্রতীয়মান হচ্ছে। ওসি তার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। যাহা সুষ্ঠ-নিরপেক্ষ ভোটের পরিবেশে বাধাঁ সৃষ্টি করবে বলে দাবি করেন তিনি। তাই অবাধ, সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থে চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হকের অপসারণের দাবি জানান এই প্রার্থী ।

জেড.এম আজাদ খান আরো বলেন, চাটখিল মহিলা ডিগ্রি কলেজের সভাপতি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান দোয়াত কলমের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির। তাই ওই কলেজের শিক্ষকদের প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দিয়ে নির্বাচনে তাদের মাধ্যমে ভোট জালিয়াতির আশঙ্কা রয়েছে। একইভাবে খিলপাড়া আবদুল ওহাব ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকগণও সরাসরি তার সমর্থনে রয়েছে। ফলে এই দুই কলেজের শিক্ষকদের কোনভাবেই নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে রাখা যাবে না। যদি রাখা হয় তাহলে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

সাংবাদিক সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদ খানের কর্মী-সমর্থকসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্টনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক কর্মকান্ডের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালীল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে ওসির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠলে নির্বাচনের সময় তাকে প্রত্যাহার করা হবে।

;