চট্টগ্রামে সবজির দাম কমেছে, গরুর মাংস চড়া
রমজানের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে সবজির দাম কমে আসায় স্বস্তি বিরাজ করছে চট্টগ্রাম নগরীর ক্রেতাদের মাঝে। তবে বেঁধে দেওয়া দামের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত দামে গরুর মাংস বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
শুক্রবার (১৭ মে) সকালে চট্টগ্রামের অভিজাত কাজীর দেউড়ি, চকবাজার ও দুই নম্বর গেইট কাঁচাবাজার ঘুরে দামের এমন চিত্র দেখা যায়।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, একদিনের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে এসেছে। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, করলা ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা।
পেঁপে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, কাঁচা কলা ২৫ টাকা, লেবুর হালির ২০, কচুর লতি ৪০ টাকায়। শাকের মধ্যে পুঁইশাক প্রতি আঁটি ২৫ টাকা, ডাটা শাক ২০ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দাম স্বাভাবিক থাকায় খুশি ক্রেতারা। মোহাম্মদ নাজির হোসেন নামের এক ক্রেতা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত সবজির দাম আমাদের ক্রয়ক্ষমতার মাঝে রয়েছে। মাছ আর মাংসের দাম ক্রমেই বাড়ছে, এখানে কিছুটা তদারকির প্রয়োজন রয়েছে।’
এদিকে সরকারিভাবে বেঁধে দেওয়া দামের থেকে বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গরু মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অথচ মূল্য তালিকায় গরুর মাংসের দাম ৫২৫ থেকে ৫৫০ টাকা। অপরদিকে খাসির মাংস ৮৫০, ব্রয়লার মুরগি ১৫০, সোনালি ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জানতে চাইলে দুই নম্বর গেইটের কাঁচাবাজারের বিক্রেতা আব্দুর রহিম বার্তা২৪.কম-কে জানান, ‘নির্ধারিত দামে গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব না, এতে অনেক লোকসান গুণতে হবে। এজন্য বাড়তি দামেই গরু মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে।’
আর মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, কাতল ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, পাবদা, বোয়াল, মাগুর ৬০০ টাকা, শিং ৮০০ টাকা, ইলিশ ১২০০ টাকা, দেশি কই ৩৫০ টাকা, চাষের ২৫০ টাকা, পোয়া ৬০০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।