চট্টগ্রামে দীর্ঘ যানজটের কবলে যাত্রীরা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেইটের তীব্র যানজট। ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেইটের তীব্র যানজট। ছবি: বার্তা২৪.কম

ঈদ ঘনিয়ে আসতেই চট্টগ্রামের প্রধান প্রধান সড়কে পথচারী ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে অসহনীয় দুর্ভোগ। প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার যানজটের রেশ ছড়িয়ে পড়ে উপসড়কগুলোতে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে রাস্তায় এবং পরিবহনে ইফতার সারতে হচ্ছে রোজাদারদের। তবে সংকট কমিয়ে আনতে যাত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সহায়তা চেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে নগরীর অক্সিজেন, মুরাদপুর, ষোলশহর, দুই নম্বর গেইট, কোতোয়ালিসহ বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে যানজটের এমন চিত্র চোখে পড়ে। দীর্ঘ যানজট সামলাতে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশকে বেগ পোহাতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

নুরুল হক নামে এক ব্যবসায়ী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ইফতার করার জন্য দোকানপাট বন্ধ করে বাসায় রওনা দিয়েছি। কিন্তু রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট রয়েছে। আর এই যানজটের কারণে পরিবহন চালকরাও যেতে চায় না। অনেক সময় যেটা পাই, তাও আবার বাড়তি ভাড়ায় চলে।’

মূলত ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে নগরীর অভিজাত শপিং মল, নিউ মার্কেট, জহুর হকার্স মার্কেট, রিয়াজ উদ্দিন, তামাকমুণ্ডি লেইনে বাড়তি মানুষের সমাগম ঘটে। তাই ওই রুটে মার্কেটকে ঘিরে আশপাশে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় যানজট লেগে থাকে। যানজট এড়াতে উপায় না পেয়ে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে যেতে হয় পথচারীদের। এছাড়া এই যানজটে পরিবার নিয়ে শপিং করতে আসা ক্রেতাদেরও দুর্ভোগের সীমা থাকে না।

বিজ্ঞাপন

তমালিকা খন্দকার নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কী আর শপিং করব? আগ্রাবাদ থেকে নিউ মার্কেট মোড়ে আসতে দুই ঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকতে হয়েছে। যে যেভাবে পারছে রাস্তা, ফুটপাত দখল করে গাড়ি পার্কিং করে রেখেছে। এ বিষয়ে পুলিশের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।’

তবে যানজট নিরসনে পথচারী, পরিবহন চালক ও যাত্রীদের সহায়তা চেয়েছেন নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) হারুনুর রশিদ হাজারী। তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, সবাই এক সঙ্গে কর্মস্থল শেষে বের হওয়ায় যানজট সৃষ্টি হয়। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে মানুষজন বিভিন্ন মার্কেটে যায়। এতেও যানজটের সৃষ্টি হয়।

যানজট কমিয়ে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক ট্রাফিকের বিষয়টি মনিটরিং করছি। যেসব এলাকায় বেশি যানজট হয়, সেখানে আরও পুলিশ সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা করব। পুলিশের একার পক্ষে এটি সমাধান করা সম্ভব নয়, সবাইকে আরও সচেতন হয়ে এগিয়ে আসলে যানজটের মাত্রা কমে আসবে।’