চট্টগ্রাম বন্দরের গতিশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের গতিশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশের সিংহভাগ পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই আমদানি-রপ্তানি হয়। তাই চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও গতিশীল করা হচ্ছে।’
সোমবার (২০ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩২ বছরের পথচলা। এখনো এ বন্দর ভালোভাবে চলছে। ভাবনার কিছু নেই। চট্টগ্রাম বন্দরকে প্রথম অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে। এখানে বে-টার্মিনাল হচ্ছে। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল হচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্যান্টি ক্রেন সংযুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য হচ্ছে আমরা বিশ্বের অন্যান্য বন্দরগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে যাব।’
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিগগির এসব নদী দখলমুক্ত করার জন্য মাস্টারপ্ল্যান হয়েছে। এছাড়া কর্ণফুলী, বালু, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীও দখলমুক্ত করতে মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এসব মাস্টারপ্ল্যান দেখে অনুমোদন দেবেন।’
চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এ লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে। এসডিজির লক্ষ্য ২০৩০ সালের আগেই আমরা পূর্ণ করব। দেশের প্রতি দায়িত্ব আছে, এটা মনে রাখলে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’
এ সময় হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ, পরিচালক কমোডর খন্দকার আক্তার হোসেন, ক্যাপ্টেন শফিউল বারীসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী বন্দরের সিসিটি, এনসিটি, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, বে-টার্মিনালসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেন।