সেই তাসফিয়ার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করছে দুদক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মোহাম্মদ আমিন  ও তার মেয়ে নিহত তাসফিয়া আমিন, ছবি: সংগৃহীত

মোহাম্মদ আমিন ও তার মেয়ে নিহত তাসফিয়া আমিন, ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে মোহাম্মদ আমিন ও নাঈমা খানম নামে এক দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়। তারা চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় আলোচিত উদ্ধার হওয়া লাশ তাসফিয়া আমিনের বাবা-মা। গত বছরের ২মে তাসফিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। 

অভিযোগ রয়েছে, তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার মায়ের নামে চট্টগ্রাম নগরেসহ টেকনাফে প্রচুর অবৈধ সম্পদ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর আগে মামলা করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। বুধবার (২২ মে) কমিশন থেকে মামলা করার অনুমতি পেয়েছেন।

দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বার্তা২৪কে বলেন, আগামী রোববার (২৬ মে) মোহাম্মদ আমিন ও তার স্ত্রী নাঈমা খানমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, নাঈমা খানমের নামে নগরীর খুলশীতে দুই কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। কিন্তু সেই সম্পদের উৎস দেখাতে পারেনি তিনি। এছাড়া টেকনাফে তাদের প্রচুর সম্পদ রয়েছে। যা ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে অর্জন করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২ মে সকালে নগরীর পতঙ্গোর ১৮ নম্বর ব্রিজঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীরে তাসফিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাসফিয়া নগরীর সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। এটি হত্যা দাবি করে মোহাম্মদ আমিন পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

তাদের গ্রামের বাড়ি টেকনাফের ডেইলপাড়া এলাকায়। মোহাম্মদ আমিন পরিবার নিয়ে নগরীর ওআর নিজাম আবাসিক এলাকায় বসবাস করতেন। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার আগের দিন মঙ্গলবার (১ মে) সন্ধ্যায় তাসফিয়া তার ছেলে বন্ধু আদনান মির্জার সঙ্গে রেস্টুরন্টে খেতে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ  ছিলেন।

গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক ওসমান গণির আদালতে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এতে তাসফিয়া আত্মহত্যা করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

মামলায় আদনান, আসিফ, ফিরোজ, মিরাজ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও আদনান ছাড়া অন্যরা জামিনে বেরিয়ে আসেন। আদনানকে গাজীপুরের শিশু পরিবারে রাখা হয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পর আদালতে নারাজি দেওয়ার কথা থাকলেও ইয়াবা সংক্রান্ত মামলার কারণে পলাতক থাকায় নারাজি দেন নি তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন।