মোহাম্মদপুরে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কিশোর গ্যাং লিডার আটক
রাজধানীর রায়েরবাজারের বোর্ডবাজার এলাকা থেকে ফরহাদ নামে এক কিশোর গ্যাং লিডারকে আটক করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাত আটটার দিকে তাকে আটক করা হয়। তবে তাকে ছাড়িয়ে নিতে স্থানীয় যুবলীগ নেতারা নানাভাবে তদবির করছেন। এই ফরহাদ সাবেক এক কাউন্সিলের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে।
বিষয়টি ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের এসি মিজানুর রহমান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, একজনকে আটক করা হয়েছে। আমি এখন বাহিরে। থানায় ফিরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷ তবে সেই যুবক কোন সাবেক কাউন্সিলের লোক জানি না। কেউ কোনো সুপারিশ করছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার বোর্ড ঘাট এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী বেগী নামে এক মহিলাকে আটক করতে যান। এসময় তাকে ছিনিয়ে নিতে ওই এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার ফরহাদ ও ল্যাংড়া হাসানসহ বেশ কয়েকজন বাধা দেয়। পরে পুলিশ তাদের মধ্যে ফরহাদকে আটক করতে সক্ষম হলেও বাকীরা পালিয়ে যায়। এরপর তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আরও জানা গেছে, তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিতে শাহ আলম জীবন নামে এক যুবলীগ নেতা থানায় বসে আছেন। সাবেক এক কাউন্সিলর কিশোর গ্যাংয়ের এই লিডারকে ছাড়াতে জোর তদবীর করছে।
এসি মিজান আরও বলেন, আমরা কিশোর গ্যাং নির্মুলে কাজ করছি। ফরহাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দেওয়া হয়েছে।
গাংনীতে ফের চেয়ারম্যান খালেক, বাকি পদে নতুন মুখ
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক। ৫ হাজার ৪৩০ ভোটের ব্যবধানে তিনি জয়লাভ করেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এসেছে নতুন মুখ।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাত সাড়ে দশটার দিকে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভা কক্ষে বেসরকারি এ ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারি রির্টার্নিং কর্মকর্তা।
চেয়ারম্যান পদে এমএ খালেক আনারস প্রতীকে ৩৩ হাজার ৭২৩ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল (হেলিকপ্টার) পেয়েছেন ২৮ হাজার ২৯৩ ভোট। অপর প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম জুয়েল (ঘোড়া) ১৫ হাজার ৫৬০ ভোট এবং বিএনপির বহিস্কৃত নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো (কৈ মাছ) ৪ হাজার ৯৫৭ ভোট পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন ফারুক হাসান। টিউবওয়েল প্রতীকে তিনি ৪৭ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি দেলোয়ার হোসেন মিঠু (তালা) প্রতীকে ৩২ হাজার ৬০৪ ভোট পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন নাছিমা খাতুন। ফুটবল প্রতীকে তিনি ৩৫ হাজার ৪০৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন (হাঁস) ৩২ হাজার ৮৫৭ ভোট পেয়েছেন।
খাগড়াছড়ির সদরে আওয়ামী লীগ ও বাকী দুইটিতে আঞ্চলিক সংগঠনের জয়
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সদরে আওয়ামীলীগ ও পানছড়ি এবং দীঘিনালায় আঞ্চলিক সংগঠন সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জোনায়েদ কবীর সোহাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
খাগড়াছড়ি সদরে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে ১৬ হাজার ৮ শ ২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকে পান ৮ হাজার ৫ শ ৬৫ ভোট।
অন্যদিকে, দীঘিনালায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. কাশেমকে হারিয়ে ৩৩ হাজার ২ শ ১৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান বিজয়ী হন আঞ্চলিক সংগঠন সমর্থিত ধর্ম জ্যোতি চাকমা। পানছড়িতে ২৪ হাজার ৮ শ ৩২ ভোট পেয়ে কাপ পিরিচ প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আঞ্চলিক সংগঠন সমর্থিত চন্দ্র দেব চাকমা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিটন চাকমা পান ১৬ হাজার ৩ শ ৫৭ ভোট।
নওগাঁয় ৩ উপজেলার চেয়ারম্যান পুনরায় নির্বাচিত
নওগাঁর তিনটি উপজেলা পরিষদ ২য় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট গণনা শেষে মঙ্গলবার (২১ মে) রাত সাড়ে এগারো টার দিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে বেসরকারিভাবে সাপাহার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. শাহাজান হোসেন মন্ডল। তিনি আনারস প্রতীকে ৩৯ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুল আলম শাহ্ চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪হাজার ৫২৭ ভোট।
বেসরকারিভাবে পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শাহ্ মনজুর মোরশেদ চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে ২৬হাজার ২১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২২হাজার ৪৭৯ ভোট। এবং নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরিদ আহমেদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪৪ হাজার ৭০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ৩৩৯ ভোট। তারা তিন জনই বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন।
তারা তিন জনই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। তারাই আবার নির্বাচিত হলেন। ফলে তাদের দখলেই থাকল উপজেলা পরিষদের চেয়ার।
বেসরকারিভাবে তাদের বিজয়ী ফলাফল ঘোষণা করেন স্ব স্ব উপজেলা সহকারী রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।
এর আগে এদিন সকাল ৮ থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত জেলার সাপাহার, পোরশা এবং নিয়ামতপুরে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে সাপাহার উপজেলায় ভোট পড়েছে ৫৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ, পোরশা উপজেলায় ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৪৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। বিষয়টি রাতে জেলা প্রশাসকের মিডিয়া সেলে এক বার্তার মাধ্যমে নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা।