সিলেট যেন মৌসুমি ভিক্ষুকদের হাট!



নূর আহমদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে ভিক্ষুকের ছড়াছড়ি, ছবি: বার্তা২৪.কম

সিলেটে ভিক্ষুকের ছড়াছড়ি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট নগরী এখন যেন মৌসুমি ভিক্ষুকদের হাট। নগরীর সব পয়েন্টে ২-৪ জন করে ভিক্ষুকের দেখা মেলে। ফলে ভিক্ষুকদের নিয়ে চরম বিব্রতকর অবস্থায় ক্রেতারা। তবে ভিক্ষুক নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করছে না প্রশাসন।

নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, কোর্ট পয়েন্ট, কুদরত উল্লাহ মার্কেট, আম্বরখানা, সুবদিবাজার, পাঁচ ভাই, পানসি রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ভিক্ষুকদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। শুকরিয়া মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ভিক্ষুকের উৎপাত এতটাই বেড়েছে যে ভিক্ষা না দিলে কাপড় ধরে টানাটানি করে। ফলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।’

সিলেট যেন মৌসুমি ভিক্ষুকদের হাট!

ব্যবসায়ী রোটারিয়ান আব্দুল মুহিত দিদার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সিলেট শহরে এখন অনেক মৌসুমি ভিক্ষুকের দেখা মেলে। বিভিন্ন পয়েন্টে ঝাঁকে ঝাঁকে ভিক্ষুকরা বসে থাকে। বিশেষ করে নামাজের সময় হলে তারা মসজিদের সামনে ভিড় করে। মুসল্লিরা বেরিয়ে গেলে আবার বিভিন্ন মার্কেটের সামনে চলে যায়। আর রাত হলেই হযরত শাহজালালের (রহ.) মাজারসহ বিভিন্ন কলোনিতে চলে যায়। সকাল হলে আবার ভিক্ষায় নেমে পড়ে।’

মধুবন সুপার মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ভিক্ষুক সালেহা বেগম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমার বাড়ি কুমিল্লায়। থাকি মেজরটিলার একটি কলোনিতে। সামনে ঈদ, টাকা পয়সা দরকার। এ জন্য ভিক্ষা করছি। তবে আমি নিয়মিত ভিক্ষা করি না। মাঝে মাঝে ভিক্ষায় বের হই।’

সিলেট যেন মৌসুমি ভিক্ষুকদের হাট!

পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মদরিছ আলী। তার বেশভূষা দেখলে মনে হবে তিনি একজন দরবেশ। এসেছেন উত্তরবঙ্গ থেকে। তবে জেলার নাম বলতে রাজি হননি। কয়জন একসঙ্গে এসেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বিব্রত হয়ে বলেন, ‘বাবা, সবার কাছে চাই না, দু-একজনের কাছে ১০/২০ টাকা চাই।’

হুইল চেয়ারে বসে টাকার হিসাব করছিলেন কলমদর আলী। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সঙ্গে ছিলেন আরও চার জন নারী। মোবাইল বের করে ছবি তুলতেই অনেকটা বেকায়দায় পড়েন তারা। পরে কলমদর আলী নামে এক ভিক্ষুক বলেন, ‘মহিলারা হিসেব জানে না। তাই আমি টাকা গুনে দিচ্ছিলাম।’

সিলেট যেন মৌসুমি ভিক্ষুকদের হাট!

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর বন্দরবাজারের পরিত্যক্ত ফুট ওভারব্রিজ মৌসুমি ভিক্ষুকদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ব্রিজটি কেউ ব্যবহার না করায় কয়েক ঘণ্টা পর পর ভিক্ষুকরা একত্রিত হয়ে ভাগ বাটোয়ারা করে। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার ভিক্ষায় নেমে পড়েন।

দরগাহমহল্লা রাজারগলির বাসিন্দা স্কুল শিক্ষিকা সায়েরা বেগম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আজকাল ভিক্ষুকরা বাড়িতে হানা দেয়। কাউকে না পেলে সুযোগ বুঝে কাপড় নিয়ে পালায়। তবে ঈদের আগে ভিক্ষুকদের উৎপাত বেড়ে যায়।’

ভিক্ষুকদের নিয়ে কাজ করে পরিবর্তন নামের একটি সংগঠন। সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি শাহানা চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘উৎসব এলে নগরীতে ভিক্ষুক বেড়ে যায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নির্দেশনায় সিলেটে স্থায়ী এবং ভাসমান ভিক্ষুকের জরিপ করা হচ্ছে। শিগগিরই ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের প্রস্তাবনা দেওয়া হবে।’

   

বৈধভাবে ইতালিতে দক্ষ জনবল প্রেরণ করা হবে: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈধভাবে ইতালিতে দক্ষ জনবল প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। এ বিষয়ে দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালি রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রোর সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকায় নিযুক্ত ইতালি রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো জানান, ইতালি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। ইতালি ও বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সেজন্য ইতালিতে বাংলাদেশের দক্ষ জনবলের কাজের সুযোগ তৈরি করতে আগ্রহী।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে ইতালি বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে বাংলাদেশ তার জনবলকে চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে।

প্রবাসী কর্মীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতালি দক্ষ জনবলের চাহিদাপত্র দিবেন, সেই পত্রের বিপরীতে যাতে কম খরচে কর্মী প্রেরণ করবে।

দক্ষ জনবল তৈরির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতালি সরকার চাইলে আমাদের আইএমটি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) গুলোতে তাদের চাহিদা মত জনবলকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, আজকে আমরা আলোচনা করেছি কিভাবে বৈধ অভিবাসন বাড়ানো যায়। ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়ে তিনি বলেন, যারা যোগ্য তাদেরকে আমরা ভিসা দিতে আগ্রহী। দূতাবাস দ্রুত ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া তৈরি করছে। গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার কারণে আমাদের অনেক সময় দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছে।

আমি মনে করি, যারা ইতালি গমনেচ্ছু কর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে সেটি প্রকৃত আবেদনকারীদের ক্ষতির কারণ হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কারণেই প্রকৃত আবেদনকারীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য আপনারা নতুন কোন প্রক্রিয়া হাতে নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি।

;

গ্রাম ও স্বামীর নাম মিলে যাওয়ায় থানায় ১০ ঘণ্টা আটক এক নারী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের গঙ্গাচড়া পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের দায়ের করা মামলায় গ্রাম ও স্বামীর নাম মিলে যাওয়ায় এক নারীকে ১০ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরে সঠিক তথ্য জানার পর ওই নারীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দুঃখপ্রকাশ করলেও পারিবারিক সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই নারী।

ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম হাসিনা বেগম (৪৬) এবং তার স্বামী আব্দুল মান্নান। তার বাড়ি উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের উত্তর পানাপুকুর নগরবন্দ এলাকায়। অভিযুক্ত নারীর বাড়িও একই ইউনিয়নের বড়বিল তেলিপাড়া গ্রামে। তবে ওই নারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোন গ্রাহক নন। স্থানীয় লোকজন বিদ্যুৎ অফিসে এসে এবং সঠিক তথ্য দিলে পরে ওই নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানা গেছে , অভিযুক্ত হাসিনা বেগমের (৫০) কাছে প্রায় ৩৬ মাসের ১৪ হাজার ৫'শ টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি। তাই বকেয়া বিল আদায়ের জন্য দুই বছর আগে তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আইনে মামলা দায়ের করে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর গঙ্গাচড়া জোনাল অফিস।

পুলিশের দাবি, পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের করা মামলায় বিদ্যুৎ আদালত থেকে আসা গ্রেফতারি পরোয়ানার কাগজের ওপর ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই নারীকে আটক করা হয়।

ভুক্তভোগী হাসিনা বেগম জানান, রাত ১টার সময় পুলিশ আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে বলে আপানার নামে ওয়ারেন্ট আছে। আপনাকে থানায় যেতে হবে। তখন আমি বলি আমার নামে কিসের ওয়ারেন্ট? আমি চোর, না ডাকাত, যে আমার নামে ওয়ারেন্ট হবে। আমাকে কাগজ দেখান। তখন কাগজে দেখি আমার স্বামী ও আমার নাম। পরে আমি তাদের সাথে কথা না বলে থানায় চলে আসি। আমার কথা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কি মামলা করার সময় ভালো করে চেক করেনি। আজকে আমাকে থানায় আসা লাগলো আমার মানসম্মান নাই।

গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুল জলিল জানান, একটু তথ্যের ভুলের কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। অনিচ্ছাকৃত ভুলের বিষয়টি জানার পর আমরা থানায় যোগাযোগ করে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। প্রকৃত তথ্য জানতে পেরে পুলিশ তাকে ছেড়েও দিয়েছে।

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বলেন, আদালত থেকে পাঠানো গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এর আগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসের লোকজনের সঙ্গে আমাদের কথাও হয়। তারা তাকে তাদের গ্রাহক হিসেবে নিশ্চিত করার পরই ওই নারীকে আটক করা হয়। গ্রামের পাশাপাশি স্বামীর নাম মিলে যাওয়ায় ওই নারীর ক্ষেত্রে এ ঘটনাটি ঘটে। সকাল ১০ টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ##

;

জেনারেল আজিজের নিষেধাজ্ঞা ভিসানীতির আইনে নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে ভিসানীতির অধীনে নয়, অন্য অ্যাক্টে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে ৩টি ভিসা পলিসি দেওয়া হয়েছিল। ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ভিসা পলিসি’-এর আওতায় এটা (আজিজ আহমেদের) করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’। আমরা মার্কিন সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যেতে চাই। সাবেক সেনা প্রধানের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ইউএসএ মিশনকে আগে জানানো হয়েছে। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চাই। যেহেতু, সেনাবাহিনীর বিষয়, এ নিয়ে আগবাড়িয়ে কিছু বলতে চাই না। আমরা মার্কিন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

বিশ্বের টালমাটাল পরিস্থিতিতেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি টালমাটাল সত্ত্বেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। অনেক দেশের চেয়ে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার বেশি। সারা পৃথিবীতে পণ্যের দাম বেড়েছে, সংকটও বেড়েছে। এ বাস্তবতায় আমাদের এখানেও দাম বেশি। বাংলাদেশ পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দেশ নয়। কোথাও কিছু হলে, তার প্রভাব বাংলাদেশেও এসে পড়ে। বিশ্বের অন্যান্য স্থানে দাম বেশি, আমাদের দেশেও সঙ্গত কারণে জিনিসপত্রের দাম বেশি।

‘বিএনপি এখন পরজীবী হয়ে গেছে’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি রিকশাচালকদের আন্দোলনে ঢুকে গেছে। নিজেদের কিছু করার ক্ষমতা নেই; অন্যের আশ্রিত হয়ে দেশের ভেতরে গণ্ডগোল করার চেষ্টা করছে। বিএনপি নির্বাচনে প্রতিহত করার নাম করে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। দেশবিরোধী অবস্থানে চলে গেছে। নানাজনে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ঠিকই এমন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিকট অতীতে দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ৪২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অনেক দেশে এত ভোটার উপস্থিত হয় না। এখন পর্যন্ত ৮০টা দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায়।

তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে সত্যিকারের ভিসানীতি হলে, যারা বাধাগ্রস্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে যেন এটা কার্যকর করা হয়। যারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চেয়েছে, পুলিশ পিটিয়ে মেরেছে, হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, তাদের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত।

মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

;

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে পাশে থাকতে চায় অস্ট্রেলিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে প্রয়োজনে পাশে থাকতে চায় অস্ট্রেলিয়া বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসব বলেন তিনি।

পেনি ওং বলেন, আমরা অভিন্ন ভাগ্য গড়তে একসাথে কাজ করতে চাই। আন্তর্জাতিক আইন কানুন মেনে ব্যবসা বাণিজ্যকে এগিয়ে নিতে চাই। জলবায়ু পরিবর্তন, বাংলাদেশ একা সমাধান করতে পারবে না। আমরা এই যাত্রায় সাথে থাকতে চাই।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের একা সমস্যা নয়। আমরা এই সংকটের টেকসই সমাধান চাই। বাংলাদেশ এখনও বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা নিয়ে সোচ্চার কণ্ঠস্বর। মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক বাড়াতে চায় দুই দেশ। মেরিটাইম সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে কারিগরি সহায়তা দিতে চায় অস্ট্রেলিয়া। আমরা এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমাদের একটি চমৎকার সম্পর্ক আছে। গেল ৫২ বছরের পথ চলায় অস্ট্রেলিয়ার সাথে একটি মসৃণ ৪ বিলিয়ন ডলারের বিজনেস বাস্কেট। যদিও সাইজে এখনও যথেষ্ট ছোট।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সাথে কোটা ফ্রি ও ডিউটি ফ্রি অ্যাকসেস সুবিধা এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও অব্যাহত থাকবে। আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ, তিনটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা দেবে অস্ট্রেলিয়া। মানবপাচার কমাতে একসাথে কাজ করবে দুই দেশ। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার। মিটিগেশনে সরাসরি যুক্ত থেকে সহযোগিতা করতে চায়। কৃষি প্রযুক্তি বিনিময়ের মতো বিষয়গুলো নিয়েও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলাপ হয়েছে। আমরা দক্ষ জনশক্তি রফতানির পক্ষে। দুই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ শিক্ষা কার্যক্রম বাড়াতে চাই।

;