স্বাধীনতা স্তম্ভে থাকবে বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের ভাস্কর্য



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মাণাধীন স্বাধীনতা স্তম্ভের নকশা, ছবি: বার্তা২৪

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মাণাধীন স্বাধীনতা স্তম্ভের নকশা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে ‘স্বাধীনতা স্তম্ভ’ নির্মাণ করছে সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভাস্কর্য স্থান পাবে স্বাধীনতা স্তম্ভে। পাশাপাশি স্বাধীনতা সংগঠকদেরও ভাস্কর্য করার প্রস্তাব দিতে চায় সংসদীয় কমিটি।

স্থানটি এমনভাবে নির্মিত হবে যেন মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ের স্মৃতিতে মানুষে ফিরে যেতে পারে। যেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল, সেদিনের চিত্র কেমন ছিল; মুক্তিযুদ্ধে কোথায় কী ঘটেছিল; সব কিছুর প্রতিচ্ছবি এই স্বাধীনতা স্তম্ভে স্থান পাবে।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু পার্কের পেছনেই নির্মিত হচ্ছে এই স্বাধীনতা স্তম্ভ। বাস্তবায়ন করছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদফতরের স্থাপত্য অধিদফতর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। প্রকল্পের প্রাক্কলিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এটি অনুমোদন লাভ করে।

Independent Statue 

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে- মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা। জাতীয় দিবসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কার্যক্রম সংগঠিত করা, যা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের চিরস্থায়ী স্মৃতিকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং এদেশের জনগণের মাঝে ওই যুদ্ধের মর্মস্পর্শী অনুভূতি পুনরুজ্জীবিত করে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কাল রাতের বর্ণনা এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ঐতিহাসিক আত্মসমর্পণকে সংরক্ষণ করা। স্বাধীনতা স্তম্ভের ভূগর্ভস্থ জাদুঘরে বিভিন্ন প্রদর্শনী এক নজরে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রতিফল ঘটানো। শহরের মানুষের জন্য মানসিক বিনোদনের সুযোগ প্রদান।

প্রকল্পে যা যা থাকছে- ভূগর্ভস্থ গাড়ি পার্কিংসহ অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ (৫৬০টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে)। আন্ডারপাস নির্মাণ (শিশু পার্কের ভেতরে প্যাডেসট্রাইন রো এবং ওয়াটার বডির নিচ দিয়ে যাতায়তের জন্য একটি র‌্যাম্প টাইপ এবং একটি সিঁড়ি টাইপের আন্ডারপাস। শিশু পার্কের অভ্যন্তরে প্রবেশের টিকিট কাউন্টার। শিশু পার্কের সামনের মূল রাস্তা হতে স্বাধীনতা স্তম্ভের গ্লাস টাওয়ারের কেন্দ্র বরাবর শিখা চিরন্তনের উত্তর পাশের রাস্তা পর্যন্ত কিঙ্কার ব্রিক পেভিংয়ের ৪০ ফুট প্রসস্ত পেডিস্ট্রাইন রোড নির্মাণ এবং পেডিস্ট্রাইন রোডের দুই পাশে ৩০ ফুট প্রশস্ত জলাধার নির্মাণ। গ্লাস টাওয়ারের চতুর্দিকে থাকবে গ্রিন হেজ বাউন্ডারি। কার ডেকোরেশন বেসহ ফুলের ৪৪টি আধুনিক দোকান, আধুনিক টয়লেট সুবিধাসহ সাতটি খাবারের দোকান থাকবে। ছবির হাট থাকবে এবং জনসভার জন্য স্থায়ী মঞ্চ নির্মাণ করা হবে।

Independent Statue

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে যান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। পরে কমিটি সভাপতি শাজাহান খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আজ আমরা প্রথমমত প্রকল্পের নকশা সম্পর্কে ধারণা নিয়েছি। নকশা দেখে কিছু সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছি। আমাদের সভায় সংশোধনী প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করব। সংশোধনীর মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভাস্কর্যের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের যারা সংগঠক ছিলেন তাদেরও ভাস্কর্যও যেন ছোট করে হলেও স্থান পায়। এছাড়া জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্য করার কথা বলা হয়েছে।’

কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট আছে সময়ের মধ্যেই শেষ করা। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, মাত্র ১০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এ কথা শুনে শাজাহান খান বলেন, ‘তাহলে তো শেষ করতে পারবেন না!’

পরিদর্শনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সব সদস্য থাকার কথা থাকলেও শুধু মঈনুদ্দিন খান বাদল ছিলেন। অন্যরা উপস্থিত না থাকার কারণ জানতে চাইলে সভাপতি বলেন, ‘সকলের থাকার কথা, অনেকে ঢাকার বাইরে আছেন, কেউ ব্যস্ত আছেন। তাই আসতে পারেননি।’

   

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে শুধু আজিজ আহমেদ নয়, তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতের পর) (২০ মে) দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে সাবেক জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে, পূর্বে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এর ফলে আজিজ আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হবেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাঁর (আজিজ আহমেদ) কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, আজিজ আহমেদ তাঁর ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য তিনি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ নিয়েছেন।

আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো। সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের সেবা লাভের সুযোগ তৈরি, ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

;

জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স

জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্স সরকার বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ প্রদান করবে।

এ লক্ষ্যে সোমবার (২০ মে) বাংলাদেশ সরকার ও ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এএফডি) ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করেছে। এই অর্থ মূলত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এএফডির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সেসিলিয় কর্টসি সিএফএ চুক্তিতে সই করেন।

ঋণ চুক্তির আওতায় এই অর্থ জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে কার্যকর ও শক্তিশালী ভিত্তি প্রস্তুত করা এবং জলবায়ু-সহিঞ্চু ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণ ভিত্তিক অগ্রযাত্রায় ব্যয় করা হবে।

;

সিলেটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, মোটরসাইকেলে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের অনুসারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২০ মে) পৌঁণে ১০টার দিকে শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয়েছেন দুজন। এসময় একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর ও তিনটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

এঘটনায় আহত দুজন হলেন -রোহান (৩৮), রাজু (২৪)। তারা দুজনেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের অনুসারী সিলেট সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি পিয়াং সোম ও সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদের অনুসারী রোহানের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে রাত পৌনে ১০টার দিকে হাউজিং স্টেট এলাকায় একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে সোমবার রাত ১০টার দিকে রোহানসহ তার পক্ষের নেতাকর্মীরা নগরীর দাঁড়িয়াপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল করে পিয়াংয়ের খোঁজ নিতে এলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে রোহানের পক্ষের তিনটি মোটরসাইকেল আটকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এসময় রোহান ও রাজু নামে দুজন আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ জানান, তারা দুজনেই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন। সিলেটে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলার বিষয়টি শুনেছেন। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে আগুনে দগ্ধ তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে ও দুজন আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

গফরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ল ২ ভাইয়ের ঘর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
গফরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ল ২ ভাইয়ের ৪ ঘর

গফরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ল ২ ভাইয়ের ৪ ঘর

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে ২ ভাইয়ের ৪ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ১২লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।

সোমবার (২০ মে) রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের পাতলাশি গ্রামের বেপারী বাড়িতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বেপারী বাড়ির পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে আগুন লেগে সালাম বেপারী ও তার ভাই সামাদ বেপারীর বসত ঘরে ছড়িয়ে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে লেগে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই স্থানীয়রা এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে ৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী সালাম বেপারী বলেন, দুই ভাইয়ের পরিবারের প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আসবাবপত্র ও নগদ অর্থ পুড়ে সব শেষ কিছুই উদ্ধার করতে পারিনি।

নিগুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মৃধা বলেন, ওই দুটি পরিবার খুব গরিব। এক জন নরসুন্দা ও অন্যজন রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আগুনে ওদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রামপ্রসাদ পাল বলেন, স্টেশন থেকে ঘটনাস্থল অনেক দূরে। তাছাড়া রাস্তাঘাটের অবস্থা তেমন ভাল না। তাই, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে।

;