কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অগ্রাধিকার দি‌তে হ‌বে: কৃষিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাসিক এডিপি সভায় কৃষি মন্ত্রী, ছবি: সংগৃহীত

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাসিক এডিপি সভায় কৃষি মন্ত্রী, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অগ্রাধিকার ভিত্তিক খাত হিসেবে বিবেচনা করে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

মঙ্গলবার (২৮ মে) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাসিক এডিপি সভায় কৃষিমন্ত্রী এ আহ্বান ব‌লেন।

তিনি বলেন, 'কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অগ্রাধিকার ভিত্তিক খাত হিসেবে বিবেচনা করে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিষ্ঠা,আন্তরিকতা ও সততার সাথে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রভাব, প্রত্যাশা ও ফলাফল বিবেচনা করে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। একটি কৃষি প্রকল্প, একটি চিন্তা, অনেক স্বপ্ন।'

নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের তাগিদ দি‌য়ে কৃ‌ষিমন্ত্রী বলেন, 'সরাসরি কৃষির সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন কোন প্রকল্প যেন গ্রহণ করা না হয়। বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪০০ কেজি কেসুনাট বীজ আমদানির জন্য ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ভারত এসব দেশ থেকে ভালো বীজ সংগ্রহ কর‌তে হ‌বে।'

কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান সভার সঞ্চলনা ক‌রেন এবং সভায় মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭২ টি প্রকল্পে ১ হাজার ৮ শত ১২৬ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরিতে ১ হাজার ৩ শ ৫৭ দশমিক ৫১ কোটি টাকা অবমুক্ত করা হয়েছে। বৃহৎ বরাদ্দ প্রাপ্ত ৩৩ টি প্রকল্পের অনুকুলে মোট ১ হাজার ৪শ ৫০ দশমিক ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় এবং এবছর এপ্রিল পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ৯ শ ৬ দশমিক ৫২ কোটি টাকা। যেখা‌নে চল‌তি বছ‌র এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পের মোট জাতীয় গড় অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ।

   

ঘূর্ণিঝড়ের নাম যেভাবে ‘রিমাল’ হলো!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের নাম আমরা বিভিন্ন রকম হতে দেখেছি। এবারও তেমনি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’! এর আগেও দেখেছি বিভিন্ন সময় ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে, ‘আইলা’, ‘আমফান’, ‘মোখা’ ইত্যাদি।

২০০৪ সালে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের জন্য ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণে একটি কমিটি করা হয়। ৮টি দেশ নিয়ে তখন একটি কমিটি গঠন করা হয়। এগুলি হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড। পরে ২০১৯ সালে ইরান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন নামকরণ কমিটিতে যুক্ত হয়।

যখন একটি ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়, তখন এই ১৩টি দেশ তাদের ক্রম অনুসারে নাম নির্ধারণ করে। সোমালিয়ায় যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে, তার নামকরণ করেছিল ভারত, যার নাম ছিল ‘গতি’।

একই সঙ্গে ২০২৩ সালের ঘুর্ণিঝড় বিপর্যয়ের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। এবার ২০২৪-এ ‘রিমাল’-এর নামকরণ করেছে ওমান।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘রিমাল’ নামটি ওমানের দেওয়া। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের আনুষ্ঠানিক নামকরণের দায়িত্ব ছিল ওমানের। ‘রিমাল’ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে-‘বালু’।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীনে আরব মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ এমনভাবে করা করা হয়, যাতে সাধারণ মানুষ ঘূর্ণিঝড়ের নাম মনে রাখতে ও শনাক্ত করতে পারেন।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) এশিয়ার জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের নাম নির্ধারণের জন্য জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড মেট্রোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন’ (ডব্লিউএমও) কিছু নিয়ম তৈরি করেছে। ১৯৫৩ সাল থেকে আটলান্টিক মহাসাগর অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নাম নির্ধারণের অনুশীলন শুরু হয়। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ২০১৪ সাল থেকে নামকরণের অনুশীলন শুরু হয়

;

বাগেরহাটে 'রিমালে'র আঁচ পড়তে শুরু করেছে, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুঁটছে মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর ফলে মোংলা বন্দরে নিজস্ব এলার্ট -‘৪’ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। বন্ধ রয়েছে মোংলা বন্দরে অবস্থান করা জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ। এছাড়া ঝড়ের কবলে পড়ে দুর্ঘটনা এড়াতে বন্দরে ৬টি বাণিজ্যিক জাহাজ নিরাপদে নোঙ্গরে রাখা হয়েছে। 

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রোববার (২৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দমকা বাতাসও বইছে। ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে ছুঁটছেন দুর্গতরা।

মোংলা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন ও পশুর নদের পাড়ে বসবাসকারী উপকূলবাসীদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনার জন্য সব কিছুই করা হচ্ছে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবারেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখনও যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি তাদেরকে আনার জন্য তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলে সতর্ক মাইকিং প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। তারা সুন্দরবনের পাশেই বসবাস করেন। এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হেসেন বলেন, 'তার ইউনিয়নে ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রের প্রায় সবগুলোতেই উপকূলবাসীকে আনা হচ্ছে। ২৫টি কেন্দ্রের জন্য খিচুড়িসহ শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছি'।

মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মুনতাসীর ইবনে মহসীন জানান, 'শনিবার (২৫ মে) থেকেই আমরা সতর্ক রয়েছি। উপকূলবাসীকে প্রতি মুহূর্তে সচেতন করার লক্ষ্যে সতর্কমূলক প্রচার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

রোববার (২৬ মে) ভোর থেকে মোংলার পশুর নদে ও সুন্দরবন তীরবর্তী এলাকায় আমাদের সদস্যরা অবস্থান করছে। যে কোন পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।'

;

সাতক্ষীরা উপকূলে ৮-১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রোববার (২৬ মে) সকাল থেকেই সাতক্ষীরায় শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। সেই সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাতক্ষীরা উপকূলে ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, সাতক্ষীরায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত পাওয়ার পর থেকে উপকূলীয় এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে মাইকিং। মোড়ে মোড়ে ওড়ানো হয়েছে লাল পতাকা। প্রস্তুত রয়েছে সিপিপি, আনসার, নৌপুলিশ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

;

চন্দনাইশ-ঈশ্বরদী উপজেলার দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহম্মেদ চৌধুরী ও পাবনার ইশ্বরদী উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমদাদুল হকের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এই তথ্য জানান।

ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, আজকে দু'জন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম জেলার চান্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমেদ চৌধুরী (ঘোড়া প্রতীক) তিনি উপস্থিত হয়েছেন। তিনি অভিযোগের দফা অনুযায়ী জবাব দিয়েছেন। কমিশনও তা শুনেছেন। শেষে তার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন কমিশন।

অন্যদিকে মো. এমদাদুল হক, পাবনার ঈশ্বরদীর চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। তিনি প্রতীক বরাদ্দের দিন আচরণবিধি ভঙ্গ করেন। জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন কমিশন।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের মাত্রার ক্ষয়ক্ষতির ওপর নির্ভর করবে ভোট বাতিলের। মাঠ পর্যায়ে যোগাযোগ রাখছি। ঝড় এখনো আঘাত হানেনি। আঘাত হানার পর সিদ্ধান্ত হবে। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন ঝড়টা মারাত্মক আঘাত না হানে।

;