ভয়ঙ্কর খুনি ছিলেন অমিত

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অমিত মুহুরী, ছবি: সংগৃহীত

অমিত মুহুরী, ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের খাতায় এরশাদ সিকদার থেকেও ভয়ঙ্কর ও নৃসংশ খুনি অমিত মুহুরী। ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরের এনায়েতবাজার রানীরদিঘি এলাকা থেকে একটি ড্রাম উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে বোমা রয়েছে ভাবা হলেও ড্রাম কেটে ভেতরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ গলে যাওয়ায় তখন পরিচয় বের করা যায়নি।

পরে পুলিশ জানতে পারে লাশটি যুবলীগকর্মী ইমরানুল করিমের। তাকে খুন করে লাশ রেখে রাতভর গান শুনেছিলেন অমিত মুহুরী।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে একই বছরের ৩১ আগস্ট ইমাম হোসেন ও শফিকুর রহমান নামের দুজনকে গ্রেফতারের পর রহস্য জানতে পারে পুলিশ। পুলিশের মতে ভয়ঙ্কর নৃসংশ ও ঠান্ডা মাথার খুনি এই অমিত মুহুরী।

যুবলীগকর্মী ইমরানুল করিম খুন ছাড়াও অর্ধডজন হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ অমিত মুহুরীর বিরুদ্ধে। তার হাত থেকে রেহাই পায়নি ঘনিষ্ঠ বন্ধুও।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৯ মে) দিনগত রাতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় খুন হন সেই অমিত।

২০১২ সালে নারীঘটিত বিষয় নিয়ে অমিত মুহুরীর সঙ্গে মারামারি হয় বন্ধু রাসেলের। পরে প্রতিশোধ নিতে অমিত মুহুরী তার সহযোগীদের নিয়ে রাসেলকে তুলে নিয়ে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি।

২০১৩ সালের ২৪ জুন চট্টগ্রাম নগরের সিআরবি সাত রাস্তার মোড় এলাকায় অমিতের হাতে খুন হয় শিশু মো. আরমান (৮) ও যুবলীগকর্মী সাজু পালিত (২৫)। চাঞ্চল্যকর এ জোড়া খুনের মামলায় অন্যতম আসামি অমিত মুহুরী।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে কয়েদিদের মধ্যে মারামারিতে নিহত হন অমিত। ৩২ নম্বর সেলে রিপন নামের অপর এক কয়েদির ইটের আঘাতে অমিত গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডা. মনোরঞ্জন মুহুরি চেয়ারম্যান বাড়ির অজিত মুহুরীর ছেলে অমিত মুহুরী। নগরের ওমর গণি এমইএস কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হলেও তার গণ্ডি পেরোতে পারে নি।

এদিকে পুলিশের খাতায় অমিত এরশাদ সিকদার থেকেও ভয়ঙ্কর ও নৃসংশ খুনি হিসেবে পরিচিত। কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী অমিত। গত ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার অমিতকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন নগর গোয়েন্দা পুলিশ ( ডিবি)। তার বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় অন্তত ১৫ টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারের পর থেকে কারা অভ্যন্তরে রয়েছেন অমিত।