উন্নয়নের সুফল পেতে জনপ্রতিনিধি ও আমলাদের একাত্মতা জরুরি।পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং সমন্বয় না থাকলে কর্মক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হয়।যা কখনো দেশের উন্নয়নের জন্য সুফল বয়ে আনবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
শনিবার (১ জুন) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও এনআইএলজি ভবনে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমাদের দারিদ্র্যের হার একসময় ২৫ শতাংশ ছিল। এখন সেটা ১৮ শতাংশ, অতি দারিদ্র্যতার হার এখন ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এই অর্জন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কাজ করতে গেলে পারস্পরিক সহযোগিতা থাকলে, কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকলে অগ্রগতি থামিয়ে রাখা যায় না।
স্থানীয় সরকারের সত্তাগুলোকে শক্তিশালী করার জোর দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে যে দক্ষিণ কোরিয়াকে আমরা দেখি, এটি পূর্বে এমন ছিল না। এদের অতীতে তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল। তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ছিল না। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল ভঙ্গুর। শুধু তাই নয় মানবিক প্রয়োজনীয়তার সব উপাদান ছিল অনুপস্থিত। কিন্তু পার্ক চুং হি যখন ক্ষমতায় আসেন, তিনি জনগণের সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। সাহসিকতার সাথে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে দেশের সব মানুষকে একটি বিনিসুতোয় বাঁধেন। স্থানীয় সরকারের সত্তাগুলোকে শক্তিশালী করেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে দক্ষিণ কোরিয়া অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। আমাদেরও তাদের থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমাদের গ্রামের কৃষক বা জনপ্রতিনিধির পর্যাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা নাও থাকতে পারে, কিন্তু তাকে উপেক্ষা করা যাবে না। একক প্রচেষ্টায় কখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইন্সটিটিউটের মমহাপরিচালক মনোজ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে উক্ত উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এনপিডি) মোহা. শের আলী, ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দয়ারাত্ন।