জালিয়াতিতে প্রাণ গ্রুপ, বন্দরে আটকা ৩০ কন্টেইনার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিড়ম্বনা পিছু ছাড়ছে না, না কি হাজারো শাস্তির পরও সংশোধন হচ্ছে না প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ? প্রতিদিন নানা অনিয়মের কারণে খবরের শিরোনাম হওয়া প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ সম্পর্কে এমন খেদোক্তি প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা।

রাজস্ব জালিয়াতি, ভেজাল পণ্য বিপণনের কারণে এতোদিন পত্রিকার শিরোনাম হওয়া দেশীয় কোম্পানিটির বিরুদ্ধে এবার আমদানিতেও জালিয়াতির খবর পাওয়া গেছে। প্লাস্টিক দানা ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্কের সিমেন্ট আমদানির চেষ্টা করেছিল এই কোম্পানিটি।

প্লাস্টিক দানার শুল্ককর ৩২ শতাংশ, আর সিমেন্টের হার ৯১ শতাংশ। আমদানিকৃত প্লাস্টিকের দানার বিপরীতে প্রাণ শুল্ক দিয়েছিল ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। সিমেন্টের হিসেবে আমদানি করতে শুল্ক পড়তো প্রায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা ফাঁকি দিতেই এই জালিয়াতির চেষ্টা করা হয়।

আরও পড়ুন: প্রাণ-ড্যানিশের হলুদ গুঁড়াসহ ১৮ পণ্যের লাইসেন্স বাতিল

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, দুবাই থেকে প্রাণ ডেইরি লিমিটেডের নামে ৩০টি কন্টেইনারের চালান আসে ২৬ মে। আমদানিকারক ওইদিনই চালান খালাসের জন্য নথিপত্র জমা দেয়। চালানে পাঁচ লাখ ৬৬ হাজার ডলার মূল্যের ৫১০ মেট্রিক টন প্লাস্টিক দানা আনার ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঈদের ছুটির কারণে বন্ধ থাকায় ৬ জুন রাতে তারা কন্টেইনার খালাসের চেষ্টা করে। এ সময় দু’টি কন্টেইনার খুলে সিমেন্টের বস্তা দেখা যায়। পরে কন্টেইনারগুলো লক করে খালাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে সোমবার ও মঙ্গলবার দুইদিনে কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।

কায়িক পরীক্ষায় দেখা যায়, চালানটিতে সৌদি-আরবের জেবেল আলী ব্র্যান্ডের সিমেন্টের বস্তা। প্রতিটি বস্তায় আছে ৫০ কেজি করে সিমেন্ট। একেকটি কন্টেইনারে এসেছে ৩৪০টি করে বস্তা। ৩০টি কন্টেইনারে ১০ হাজার ২৫০টি বস্তায় মোট সিমেন্ট এসেছে ৫১০ মেট্রিক টন। প্লাস্টিক দানার শুল্ককর ৩২ শতাংশ। আর সিমেন্টের শুল্ককর ৯১ শতাংশ।

চালানটির খালাস স্থগিত করা হয়েছে। আমদানিকারকের বিরুদ্ধে মামলা হবে। আর সিমেন্টের রাসায়নিক পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে কাস্টমস।

আরও পড়ুন: প্রাণের ঘি, রাঁধুনী ধনিয়া-জিরা গুঁড়াসহ ১১ পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত

কন্টেইনার জব্দ করার কথা স্বীকার করেছেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ম্যানেজার (কমিউনিকেশন) তৌহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, সৌদি কোম্পানি আমাদের সঙ্গে জালিয়াতি করেছে। আমরা রেজিন (প্লাস্টিক দানা) আমদানির জন্য কোম্পানিকে অর্ডার করেছিলাম। কিন্তু তারা জালিয়াতি করে সিমেন্ট পাঠিয়েছে। এতে আমাদের কোনো দোষ নেই।

এ বিষয়ে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের জনসংযোগ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউল হক বার্তা২৪.কমকে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের জিপিজি মিডল ইস্ট জেনারেল ট্রেডিং কোম্পনিকে ৫১০ মেট্রিক টন প্লাস্টিক রেজিন কিনে পাঠানোর জন্য বলেছি। সে অনুযায়ী এভারবেস্ট লজিস্টিকস লিমিটেডের মাধ্যমে ৩০ কন্টেইনার পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, ১ জুন পণ্যগুলোর শুল্কায়ন পরবর্তী খালাসের সময় কন্টেইনারের ভেতরে প্লাস্টিক রেজিনের পরিবর্তে সিমেন্টের ব্যাগ পাওয়া যায় বলে আমরা জানতে পারি। সাথে সাথে আমরা সরবরাহকারী, শিপিং লাইন, চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগকে বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে এলসি’র পেমেন্ট বাতিলের জন্য আমরা ৩ জুন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংককে অনুরোধ করি। এলসিটি ১৮০ দিনের ডেফার্ড পেমেন্ট বিধায় এখনো কোনো লেনদেন শেষ হয়নি।

জিয়াউল হক আরো বলেন, এই পণ্য সরবরাহ করতে আমাদের সাথে কোনো এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠান জালিয়াতি করেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরও পড়ুন: প্রাণ-আরএফএলের তিন প্রতিষ্ঠানকে শোকজের সিদ্ধান্ত

কাস্টমস আইন ভঙ্গ করে ৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বন্ডেড পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করায় প্রাণ আরএফএলের ৩টি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে গত ৭ মে। অল প্লাস্ট বিডি লিমিটেডের বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী, ৪ হাজার ১১ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন পণ্য (পিপি, এলডিপিই, এলএলডিপিই, এইচডিপিই, মুদ্রণ কালি ইত্যাদি) মজুদ থাকার কথা থাকলেও সরেজমিন ২ হাজার ৮৭৩ দশমিক ২৪ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। শুল্কসহ ফাঁকি দেওয়া পণ্যের মূল্য ৪৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ফাঁকি দেওয়া শুল্কের পরিমাণ ১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন: টালমাটাল প্রাণ আরএফএল

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ময়মনসিংহ এগ্রো লিমিটেডের বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী, ১৫০ দশমিক ১১ মেট্রিক টন পণ্য মজুদ থাকার কথা থাকলেও অভিযানে ৩০ দশমিক ৭৮ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। ফাঁকি দেওয়া পণ্যের শুল্কসহ মূল্য ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ফাঁকি দেওয়া শুল্কের পরিমাণ ৬৫ লাখ টাকা।

ময়মনসিংহ এগ্রো লিমিটেডের ইউনিট তিন নামীয় প্রতিষ্ঠানে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী, ১ হাজার ৭৯২ দশমিক ৩২ মেট্রিক টন পণ্য (ফিল্ম এলডিপিই ইত্যাদি) মজুদ থাকার কথা থাকলেও সরেজমিন ১ হাজার ১১৩ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। ফাঁকি দেওয়া পণ্যের শুল্কসহ মূল্য ১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ফাঁকি দেওয়া শুল্কের পরিমাণ ৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

সিলেট কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের নিরীক্ষায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের প্রায় ৪০ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির তথ্য বেরিয়ে আসে। কাঁচামাল আমদানির তথ্য গোপন, অনুমোদন ছাড়া রফতানি ও অবৈধভাবে রেয়াত নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ওই কর ফাঁকি দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে ২০১৮ অক্টোবর কোম্পানিটির হিসাব তলব করে এনবিআর।

ভেজালের কারণে পুরো রমজান জুড়ে লঙ্কাকাণ্ড ঘটে গেছে। কোম্পানিটির দু’টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল (প্রাণ গুঁড়া হলুদ ও প্রাণ লাচ্ছা সেমাই) করেছে বিএসটিআই। একই সঙ্গে প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের ঘির মান যথাযথ না হওয়ায় লাইসেন্স স্থগিত ঘোষণা করেছে।

   

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;