এসপি পদমর্যাদার ২১ কর্মকর্তার বদলি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ২১ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ১৩ (জুন) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এর আদেশ দেওয়া হয়।

বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীনকে সিলেট জেলার এসপি, রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) উপ-কমিশনার মো. আলমগীর হোসেনকে নোয়াখালীর এসপি, ডিএমপির কুটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগের উপ-কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খানকে পিরোজপুরের এসপি, ডিএমপির উপ-কমিশনার খোন্দকার নুরন্নবীকে ফেনীর এসপি, নোয়াখালীর এসপি ইলিয়াস শরীফকে ডিএমপির উপ-কমিশনার, এন্টি টেররিজম ইউনিটের এসপি সরকার মোহাম্মদ কায়সারকে ভোলার এসপি, ভোলার এসপি মো. মোকতার হোসেনকে বরিশাল মহানগর পুলিশের (বিএমপি) উপ-কমিশনার।

কুড়িগ্রামের এসপি মো. মেহেদুল করিমকে এন্টি টেররিজম ইউনিটের এসপি, ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খানকে কুড়িগ্রামের এসপি, জয়পুরহাটের এসপি মো. রশীদুল হাসানকে আরএমপির উপ-কমিশনার, পুলিশ অধিদপ্তরের এসপি মোহাম্মদ সালাম কবিরকে জয়পুরহাটের এসপি, ডিএমপির উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ আলীকে পঞ্চগড়ের এসপি, পঞ্চগড়ের এসপি মো. গিয়াস উদ্দিন আহমদকে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ঢাকার বিশেষ এসপি, ঝালকাঠির এসপি মো. জোবায়েদুর রহমানকে ডিএমপির উপ-কমিশনার, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার ফাহিতা ইয়াসমিনকে ঝালকাঠির এসপি, সিলেটের এসপি মো. মনিরুজ্জামানকে এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার, ৮ম এপিবিএনের অধিনায়ক সৈয়দ মোসফিকুর রহমানকে এসবির বিশেষ এসপি, নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের এসপি শিহাব কায়সার খানকে ৮ম এপিবিএনের অধিনায়ক, রংপুরের এসপি মো. মিজানুর রহমানকে রাজবাড়ীর এসপি, রাজবাড়ীর এসপি আসমা সিদ্দিকা মিলিকে ডিএমপির উপ-কমিশনার ও ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারকে রংপুর জেলার এসপি পদে বদলি করা হয়েছে।

   

নোয়াখালীর তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিজয়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নোয়াখালীর তিনটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে জয়ী ব্যক্তিদের তিনজনই আওয়ামী লীগের নেতা।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আরা। এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করা হয়।

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহ্বাজ মোরশেদ আলমের ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল আলম দিপু আনারস প্রতীকে ৩২ হাজার ১৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেনবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো.আবু জাফর টিপু পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩৪ ভোট।

চাটখিল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির দোয়াত কলম প্রতীকে ৬৫ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জেড এম আজাদ খান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৬৭ ভোট।

অপরদিকে, সোনাইমুড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাবুল আনারস প্রতীকে ৭৭ হাজার ১৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো.মোমিনুল ইসলাম হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৭৮১ ভোট।

উল্লেখ্য, কেন্দ্র থেকে সকল এজেন্টকে বের করে দেওয়া, ব্যালটে প্রকাশ্যে সিলমারা, ভুয়া এজেন্ট সাজিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী জেড এম আজাদ খান ।পরে দুপুর দেড়টার দিকে আজাদ খানের বাড়ির সামনের চাটখিল টু সোনাইমুড়ী সড়কে জাল ভোট ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে তার সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করে জুতা মিছিল করে। ওই সময় ইসি ও প্রতীদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবিরকে ব্যঙ্গ করে নানা স্লোগান দিতে থাকে তারা। ওই সময় ৩০ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখে ভোটাররা। একই সাথে তারা পুনর্নির্বাচন দাবি করে। সোনাইমুড়ীতে জাল ভোটে সহযোগিতার দায়ে ৬ নির্বাচন কর্মকর্তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং জাল ভোট দেওয়ার দায়ে ২জনকে ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়।

;

কসবায় স্বপন ও আখাউড়ায় মনির নির্বাচিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান স্বপন ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনির হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে রিটার্নি অফিসার এই ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত একটানা আখাউড়া ও কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে কসবা ও আখাউড়ায় বেশকিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান স্বপন চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৮৫ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট। তিনি কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এদিকে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে মনির হোসেন চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৭৩ ভোট।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম দুই উপজেলার দুইজন চেয়ারম্যানের এই ফলাফল সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

;

মাগুরার মহম্মদপুরে আবদুল মান্নান ও শালিখায় শ্যামল কুমার দে বিজয়ী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাগুরার দু’টি উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৮টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।

মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ও শালিখা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার দে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। মহম্মদপুরে এ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কবিরুজ্জামান শালিক প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩হাজার ৯৬২ ভোট।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ঈদুল শেখ চশমা ৩৪ হাজার ২৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহাবুবুর রহমান মাইক প্রতীকে ১৫ হাজার ২৪৬ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামীমা হাসান হাস ২৫ হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম রাহেলা বেগম পদ্মফুল ১৪হাজার ৭৯৬ ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে শালিখা উপজেলা নির্বাচনে শ্যামল কুমার দে আনারস প্রতীকে ৩১ হাজার ১৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল ইসলাম মরটসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৭৮৪ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেসমিন আক্তার শাবানা ফুটবল প্রতীকে ১৮ হাজার ১১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী দিপ্তী রানী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৭ হাজার ৩২৫ ভোট। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে এ্যাডভোকেট সজিব হোসেন ৩৫ হাজার ৬৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল আলম টিউবয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ২২হাজার ৫৩৭ ভোট।

মহম্মদপুর উপজেলায় ৬৪টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ৫৪টি কেন্দ্র ৮৫০টি বুথে ভোটগ্রহণ হয়। মহম্মদপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬২জন ও শালিখা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৫০শতাংশ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কঠোর। ভোট চলাকালে কোন বিশৃংখল ঘটনা ঘটেনি।

;

রংপুরের পীরগঞ্জে নুর মোহাম্মদ, মিঠাপুকুরে কামরুজ্জামান জয়ী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে রংপুরের পীরগঞ্জে নুর মোহাম্মদ ও মিঠাপুকুরে কামরুজ্জামান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা বেসরকারিভাবে এ দুজনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

পীরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য নুর মোহাম্মদ মন্ডল (আনারস) ৪৫ হাজার ৬৪০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এনিয়ে তিনি তৃতীয় বারের মত নির্বাচিত হলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোকাররম হোসেন চৌধুরী জাহাঙ্গীর প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ভোটে হেরেছেন।

এদিকে মিঠাপুকুরে ৭০ হাজার ৮৮২ ভোট পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ কামরুজ্জামান (হেলিকপ্টার) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেন মন্ডল মওলা (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৭৫৮ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সাদমান ইশরাক (আনারস) পেয়েছেন ১ হাজার ২৮৭ ভোট।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসিবুল হাসান রুমি জানান, দুই উপজেলায় তিনস্তরের নিরাপত্তা ছিল। তাই কোথায় কোন গোলযোগ হয়নি।

;