সেই তাসফিয়ার বাবার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
গত বছরের ২ মে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় আলোচিত উদ্ধার হওয়া লাশ তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা নং ২৮।
বুধবার (১৯ জুন) ডবলমুরিং থানায় দুর্নীতি দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন।
তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, তাসফিয়া আমিনের মা নাঈমা খানমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ তদন্ত করছে দুদক। স্বামীর ইয়াবা ব্যবসার টাকায় নাঈমা খানমের নামেও প্রচুর সম্পদ রয়েছে। শিগগিরই তার বিরুদ্ধেও মামলা হবে।
মামলায় মো. আমিনের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩২ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২০ জুন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন মো. আমিন। সম্পদ বিবরণীতে নিজ নামে মোট ১ কোটি ৪১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ প্রদর্শন করেন তিনি। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার ৯৩৮ টাকার সম্পদের তথ্য পান দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দীন। এছাড়া ৬ কোটি ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্যও পেয়েছেন দুদক কর্মকর্তা।
অভিযোগ রয়েছে, তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার মায়ের নামে চট্টগ্রাম নগরীসহ টেকনাফে প্রচুর অবৈধ সম্পদ রয়েছে।
গত ২২ মে (বুধবার) কমিশন থেকে মামলা করার অনুমতি পেয়েছেন দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন।
আসামি মো. আমিন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডেইলপাড়া এলাকার কালা মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
মো. শরীফ উদ্দিন জানান, নাঈমা খানমের নামে নগরীর খুলশীতে দুই কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। কিন্তু সেই সম্পদের উৎস দেখাতে পারেননি তিনি। এছাড়া টেকনাফে তাদের প্রচুর সম্পদ রয়েছে। যা ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে অর্জন করেছেন তিনিও।
উল্লেখ্য, গত ২ মে সকালে নগরীর পতেঙ্গার ১৮ নম্বর ব্রিজঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীরে তাসফিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাসফিয়া নগরীর সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এটি হত্যা দাবি করে মোহাম্মদ আমিন পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।