পাস‌পোর্ট অফিসে জাল সত্যায়ন, ফরম পূরণ চক্রের দৌরাত্ম্য



রা‌কিবুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যাত্রাবাড়ী‌ আঞ্চ‌লিক পাসপোর্ট অফিসে ফরম পূরণ করছেন আগতরা

যাত্রাবাড়ী‌ আঞ্চ‌লিক পাসপোর্ট অফিসে ফরম পূরণ করছেন আগতরা

  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি ও কাগজপত্রের জাল সত্যা‌য়ন দিয়েই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী‌ আঞ্চ‌লিক পাস‌পোর্ট অফিসে পাসপোর্টের আবেদন ফরম জমা দি‌চ্ছেন অনেকেই। এসব আবেদনের সত্যায়ন যাচাই-বাছাই ছাড়াই জমা নি‌চ্ছেন কর্মকর্তারা।

গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) কেরানীগ‌ঞ্জে অব‌স্থিত যাত্রাবা‌ড়ী আঞ্চ‌লিক পাস‌পোর্ট অফিসে স‌রেজ‌মিনে গিয়ে দেখা যায়, পাস‌পোর্ট অফিসের ঠিক উল্টো পা‌শে গ‌ড়ে উঠেছে কিছু ফ‌টোক‌পি ও চা-নাস্তার দোকান। এসব ফ‌টোক‌পির দোকা‌নে দাম হেঁকে হেঁকে সত্যা‌য়িত করা হ‌চ্ছে। ছ‌বি আর জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে এনে এখান থে‌কেই কেউ কেউ পূরণ করছেন আবেদন ফরম।

পাস‌পো‌র্টের আবেদন ফরম পূরণ করা কয়েকজনের সঙ্গে আলাপকা‌লে জানা যায়, এখা‌নে ৫০০ থে‌কে ৭০০ টাকায় আবেদন ফরম সত্যা‌য়িত করা হয়। পুরো আবেদন ফরম পূরণ কর‌লে সেই খরচ ভিন্ন। আবেদন ফরম পূরণ ক‌রে পাস করি‌য়ে দেওয়ার অজুহা‌তেও টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন চক্রের সদস্যরা।

সত্যা‌য়িত ক‌য়েক‌টি ফরম অনুসন্ধান ক‌রে জানা যায়, ফরমের সঙ্গে যুক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যা‌য়িত হ‌চ্ছে বি‌ভিন্ন সরকা‌রি মে‌ডি‌কেল ক‌লে‌জের ডাক্তারদের না‌মে। কিছু সত্যায়ন হ‌চ্ছে সরকা‌রি ক‌লেজ বা বিশ্ববিদ্যাল‌য়ের প্রভাষক, সহকা‌রী অধ্যাপক ও অধ্যাপ‌কের না‌মে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/21/1561091231274.jpg
পেশায় প্যাথ‌লজিস্ট এক নারী; থা‌কেন রাজধানীর বনশ্রী‌তে, পাসপোর্টের আবেদন করতে এসে তিন‌দিন যাত্রাবা‌ড়ী আঞ্চ‌লিক পাস‌পোর্ট অফিস থে‌কে ফিরে গে‌ছেন। বি‌ভিন্ন ছুতোয় তা‌কে ফি‌রি‌য়ে দেওয়া হ‌য়ে‌ছে।

বার্তা২৪.কম‌কে ওই নারী ব‌লেনি, আমি আগে যতবার এসেছি আমা‌কে এটা নাই, সেটা নাই ক‌রে ফি‌রি‌য়ে দি‌য়েছেন গে‌টে দা‌য়িত্বরত আনসার সদস্যরা। একদিন এইটা নাই তো আরেক দিন ওইটা নাই বলে, কিন্তু পু‌রোপু‌রি ব‌লে না। আজ বল‌ছে সত্যা‌য়িত কর‌তে হ‌বে। নিরুপায় হ‌য়ে পড়লাম। কিছুক্ষণ পর এক আনসার সদস্য বল‌ল— ৮০০ টাকা দেন সত্যা‌য়িত ক‌রি‌য়ে দি‌চ্ছি। পরে বুঝলাম এখা‌নেও সত্যা‌য়িত ক‌রা‌ যায়। এরপর রাস্তার ওপা‌রের দোকা‌নে গিয়ে সত্যা‌য়িত করতে চাইলে তারা ৫০০ টাকা চাইল। তাদের কাছেই সত্যা‌য়িত করলাম, ফরমও জমা‌ দিয়ে দিলাম।

ত‌বে জমা দেওয়ার আগে নজর পড়ে আবেদন ফরমটিতে। ঢাকা মে‌ডি‌কেল ক‌লে‌জের মীজানুর রহমান না‌মে একজন এম‌বি‌বিএস ডাক্তারের সি‌লে সত্যা‌য়িত দেখা যায়।

এদিকে সম্পূর্ণ আবেদন‌ ফরম পূরণ করার চু‌ক্তি ক‌রে‌ছেন বিথী আক্তার না‌মে দোহার থেকে আসা এক নারী। তিনি কত টাকা দিয়েছেন জানাতে রাজি না হ‌লেও আবেদন ফরম‌টি পূরণ হ‌য়ে‌ছে ব‌লে দেখা‌লেন। তার কাগজ ঢাকা মে‌ডি‌কে‌ল কলেজ হাসপাতালের এম‌বি‌বিএস ডাক্তার উত্তম দেবের সিল ব‌সি‌য়ে সত্যা‌য়িত ক‌রে‌ছেন জা‌লিয়াত চক্রের সদস্যরা।

জাল সি‌ল দিয়ে সত্যা‌য়ন করা চক্রের সদস্যরা নিজেদের নাম-পরিচয় গোপন করে বার্তা২৪.কম‌কে বলেন, আমরা মানু‌ষকে সেবা দিয়ে টাকা নেই। একজন মানুষ বিপদে পড়েছেন, ভুল করে কিছু ফেলে এসেছেন। তা‌তে কী? মূল ভোটার আইডি থাক‌লে বাকি দায়িত্ব আমাদের।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/21/1561091298022.jpg
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এদের সঙ্গে আঞ্চ‌লিক পাস‌পোর্ট অফিসের আনসার সদস্যদের ভালো সখ্যতা র‌য়ে‌ছে। দৈ‌নিক হারে টাকা ঢুকে তাদের পকেটে। কিছু কর্মকর্তাও এসব কা‌জের সঙ্গে জ‌ড়িত। জাল সত্যা‌য়িত আবেদন নি‌য়ে কেউ ঝা‌মেলায় পড়‌লে তা‌দের সমাধা‌নের জন্য আছেন অফিসের ইন্স‌পেকশন অফিসার হূমায়ুন ক‌বির রিফাত। তি‌নি সরাস‌রি নি‌য়ে যান উপ-প‌রিচাল‌কের কা‌ছে। তাহ‌লেই আবেদন ফরমটি আটকা‌নোর কেউ আর থা‌কে না।

প্রধান ফট‌কে দায়িত্বরত আনসার সদস্য আলমগীর ব‌লেন, আমরা মানুষ‌কে হয়রা‌নি করি না‌। কেউ অসম্পূর্ণ আবেদন নি‌য়ে আস‌লে তা‌কে ফি‌রি‌য়ে দেই।

জাল সত্যায়ন করা চক্রের ব্যাপারে কথা বল‌তে গে‌লে রে‌গে যান ইন্স‌পেকশন অফিসার রিফাত। ‌তি‌নি ব‌লেন, এসব আমি জা‌নি না। আপনা‌দের যা কথা আছে স্যা‌রের সঙ্গে বল‌বেন। বড় স্যার ছু‌টিতে আছেন, রোববার এসে কথা বল‌বেন।

উপ-প‌রিচালক ছু‌টিতে থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়‌নি। ত‌বে উপ সহকারী প‌রিচালক হেলাল উদ্দিন ব‌লেন, কে কী ক‌রেন এটা আমার জানার কথা না। আমরা‌ তো সত্যা‌য়ন ভে‌রিফাই কর‌তে পা‌রি না। আবেদনের সব প্র‌য়োজনীয় অংশ পূরণ দেখ‌লে আমরা আবেদন ফরম জমা নেই।

   

সুযোগ পেলেই ওরা সাপের মত ছোবল মারতে চায়: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো সক্রিয় বলে মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সুযোগ পেলেই ওরা সাপের মত ছোবল মারতে চায়। একাত্তরের পরাজিত ঘাতক দালালদের বিরুদ্ধে ইস্পাত কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ৭২'র সংবিধানে ফিরে যেতে সরকার ওয়াকিবহাল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সংবিধানকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে চেয়েছিলেন সেটি করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধরে রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।

স্বাধীনতা বিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জনকে ধ্বংস করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা এখনো দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা আছে বলেই একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রয়োজন রয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীকী ফাঁসি দিয়েছিল এই সংগঠন।

স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে পতাকা উঠলে আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, আমারা কি আর জীবিত থাকি প্রশ্ন রেখে রাষ্ট্রপতি বলেন, এখনো ওরা (স্বাধীনতা বিরোধী) স্লোগান দেয় পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো সক্রিয়। তাই একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রয়োজন রয়েছে। ওরা সুযোগ পেলেই সাপের মত ছোবল মারতে চায়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তখন ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিশন গঠন করে সরকার। ওই কমিশনের আমি প্রধান ছিলাম। এই কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কৃপণতার সঙ্গে মাত্র ৫০ কপি প্রকাশ করেছিল। একটি সংগঠন সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল। সংগঠনটির নাম বলতে চাই না। তাদের মূল এজেন্ডা ছিল আমার প্রতিবেদন। তারা বলেছিল, তারা ক্ষমতায় গেলে আমাকে ফাঁসি দেওয়া হবে। হয়তো তারা আমাকে ফাঁসি দিতে পারবে না। সেই সুযোগটা তারা পাবে না। কারণ আজকে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যেভাবে জেগে উঠেছে তারা আর আমাকে ফাঁসি দিতে পারবে না।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে নিজেদের অবস্থানে থেকেছেন। নিজেদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়নি। এজন্য ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিকে অভিবাদন জানাই।

এ সম্মেলনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলন সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মানবাধিকার নেতা নির্মল রোজারিও, আদিবাসী মুক্তি মোর্চার সভাপতি অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেনসহ প্রমুখ।

;

নোয়াখালীতে পাওয়ার ট্রিলারের চাপায় শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় পাওয়ার টিলারে চাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরপরই ঘাতক চালক পলাতক রয়েছে।  

নিহত মো.রিফাত (৬) উপজেলার চর জুবলি ইউনিয়নের পূর্ব চরজব্বর গ্রামের রেজোয়ানুর রহমানের ছেলে। সে স্থানীয় পূর্ব চরজব্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এলাকার বাঁধের হাট বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম ভূঁইয়া।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁধের হাট এলাকা থেকে মাটি নিয়ে যাচ্ছিলো পাওয়ার টিলার । এ সময় রাস্তায় শিশুটি চলন্ত পাওয়ার টিলারে উঠতে চেষ্টা করে। ওই সময় পাওয়ার টিলারের নিচে শিশুটি চাপা পড়ে মাথা থেতলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে।  

ওসি কাউছার আলম ভূঁইয়া আরও বলেন,নিহতের পরিবার এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাওয়ার ট্রিলারটি জব্দ করে। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

;

নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটিতে টানা ৫ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লোকসভা নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্নিমার ছুটিতে বেনাপোল বন্দর ৫ দিন বন্ধ

লোকসভা নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্নিমার ছুটিতে বেনাপোল বন্দর ৫ দিন বন্ধ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আজ থেকে টানা ৫ দিন বন্ধের কবলে পড়েছে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। 

এদিকে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকায় দুই পার বন্দরে আটকা পড়েছে সহস্রাধিক পণ্য বোঝায় ট্রাক।

বন্দর সূত্রে জানায়, ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা ও পশ্চিমবঙ্গে আগামী ২০ মে অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন। নিরাপত্তার কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা নির্বাচন অফিসার সাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সব ধরনের আন্তর্জাতিক রুট সিল করা প্রয়োজন। এজন্য ১৭ মে সন্ধ্যা  টা থেকে ২০ মে ভোটগণণা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধু মেডিকেল ভিসা ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবে। এ সময় বন্ধ থাকবে ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত। এছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে ১৮ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত আমদানি-রফতানি বাণিজ্য এব্ং ২২ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি।

এত আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় দুই বন্দরে আটকা পড়েছে সহস্রাধিক পণ্য বোঝায় ট্রাক। অন্যদিকে ঢুকতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন ট্যুরিস্ট, বিজনেস ও স্টুডেন্ট ভিসার পাসপোর্টধারীরা। তবে মেডিকেল ভিসার পাসপোর্টধারী ও ভারতীয় ভোটার- এমন নাগরিকদের যাতায়াতে কোন বাধা নেই।

পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক চালক জমির উদ্দীন জানান, ৫ দিন বন্ধের কারণে বন্দরে আটকা পড়েছি। এতে তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর আমদানি,রফতানি সমিতির সাধারণ সমবপাদক জিয়াউর রহমান জানান, ভারতে নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটিতে ৫দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার। এতে তাদের অনেক পণ্যবাহী ট্রাক ওপারে আটকা পড়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের যাত্রী টার্মিনালের ইনচার্জ নাহিদুল ইসলাম নাহিদ জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞায় ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতাযাত বন্ধ আছে। তবে মেডিকেল ভিসা চালু আছে। আগামী ২১ মে থেকে সব ধরনের পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক এবং ২৩ মে থেকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হবে।

;

আমে বাজার সয়লাব, কতটুকু নিরাপদ?



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মধুর মাস। জৈষ্ঠ মাসের আজ চারদিন। এরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় ফল। দেশীয় ফলের পাশাপাশি রয়েছে বিদেশি ফলেরও সমাহার। তবে ক্রেতাদের চাহিদায় প্রথমেই রয়েছে দেশীয় ফলের কদর। আর এই কদর থাকায় একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অপরিপক্ব ফলে ফরমালিন মিশিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সরেজমিন রাজবাড়ীর বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ফলের দোকানেই বিদেশি ফলের পাশাপাশি সাজিয়ে রেখেছে দেশীয় ফল। দেশীয় আমের মধ্যে বাজার দখল করে নিয়েছে সাতক্ষীরা গোবিন্দভোগ। এ আমের পাশাপশি রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির আম। দেশীয় আমের সাথেই রয়েছে ভারত থেকে সংগ্রহ করা আম। যে আমগুলো রাজবাড়ীর বাজারে এসেছে আরো সপ্তাহ দুয়েক আগে।

এতো আগে বাজারে ভারতীয় আম আসায় ক্রেতাদের মনে প্রশ্ন উঠেছে- বাজারে সয়লাব আমগুলো কতটুকু নিরাপদ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন কর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তাদের ভাষ্য- যে কোন ফলই প্রথম দিকে বাজারে আসা ফল না কেনায় শ্রেয়। এতে অপরিপক্ব কিংবা ফরমালিন মিশ্রিত থাকার সম্ভাবনা থাকে অনেকটাই বেশি।

কথা হয় বালিয়াকান্দির মেছুয়া ঘাটার বাসিন্দা নজরুল মোল্লার সাথে। তিনি জানান, পরিবারের জন্য ফল কিনতে দোকানে এসেছিলেন। দোকানে  আম দেখে বেশ লোভ হয় তার। দোকানদারের কথার ওপর ভরসা করে তিনি চড়া দামে কিনে নেন সাতক্ষীরার আম। বাড়ীতে নিয়ে কেটে দেখেন আমের ভিতরের বীজটা অপরিপক্ব। আমের স্বাদ পানসে। কোন মিষ্টি নেই।  তখন তার মনে খটকা লাগে- আমের মধ্যে বীজটা অপরিপক্ব হলে আমের বাইরের দৃশ্য এতো চাকচিক্য কেন?

নজরুল মোল্লার এই প্রশ্নের উত্তর জানতে কথা বলি এক ফলের দোকানদারের সাথে। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, তারা আম সংগ্রহ করেন যশোর ও সাতক্ষীরা থেকে। পাইকারির আড়ৎ থেকে তারা যেভাবে সংগ্রহ করেন সেভাবেই সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। যদি কিছু মিশিয়ে আমগুলো রঙিন করে তাহলে এর সকল দায়ভার আড়তদারদের।

এই সময়ে বাজারে থাকা আমগুলো কতটুকু নিরাপদ- এমন প্রশ্ন করলে রাজবাড়ী জেলার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারি পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে কোন ফলই প্রথম দিকে বাজারে আসলে সেটা না কেনায় ভালো। কারণ প্রথম দিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় অপরিপক্ব ফল বাজারে আমদানি করে। কিছু দিন পর কিনলে সেটাতে ঝুঁকি কম থাকে। এ বিষয়ে আপনার দপ্তরের ভূমিকা কি- এমন প্রশ্ন করলে এই কর্মকর্তা জানান, তারা নিয়মিত ক্রেতার সচেতন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

ভোক্তা অধিকারের পর যোগাযোগ করা হয় কৃষি বিপণন দপ্তরের সাথে। রাজবাড়ীর কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: আকমল হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, রাজবাড়ীতে উল্লেখযোগ্য তেমন আম উৎপাদন হয় না। চাপাই এবং সাতক্ষীরার আমই রাজবাড়ীতে বেশি পাওয়া যায়। এখন বাজারে যে আম পাওয়া যাচ্ছে সেটা কতটুকু নিরাপদ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আপনি নিরাপদের প্রশ্নটা তুললেন সেহেতু বিষয়টি দেখে বলতে হবে। আমরা দ্রুতই বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মহোদয়ের সাথে কথা বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে বাজারে গিয়ে যাচাই করবো। এ বিষয়ে কৃষি বিপণী আইন-২০১৮ বিধিমালা-২০২১ একটি শক্তিশালী আইন রয়েছে। এই আইনের ধারা আমরা বাস্তবায়ন করবো।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস, বৈশাখীসহ স্থানীয় জাতের আম বাজারজাতকরণ করার তারিখ নির্ধারণ করেছেন ৯ মে, গোবিন্দভোগ- ১১ মে, হিমসাগর- ২২ মে, ল্যাংড়া-২৯ মে এবং আম্রপালীর বাজারজাতকরণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন ১০ জুন।

;