ইন্টারনেটের ‘ধীরগতিতে’ ট্যাবের সুফল মেলেনি



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভোটের ফলাফল দ্রুত দেওয়ার লক্ষ্যেই ট্যাব কিনেছিলো ইসি/ ছবি: সংগৃহীত

ভোটের ফলাফল দ্রুত দেওয়ার লক্ষ্যেই ট্যাব কিনেছিলো ইসি/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্টারনেটের ধীরগতিতে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও দ্রুত ফলাফল প্রকাশের জন্য কেনা ট্যাবের সুফল মেলেনি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ফলাফল সরবরাহে 'বিগড়ে' যাওয়া সেই ট্যাব পঞ্চম ধাপে ফের ব্যর্থ হয়েছে। দ্রুত ফলাফল দেওয়ার জন্য কেনা সেই ট্যাবের কারণেই উল্টো ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

তবে ট্যাবের যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি নয় ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে ফল প্রকাশে  বিলম্ব হয়েছে  দাবি নির্বাচন কমিশনের।   

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ভুল তথ্যের কারণে সেই ট্যাবের মাধ্যমে পাঠানো তথ্য বাতিল করে পুরনো পদ্ধতিতে ফল সংগ্রহ করা হয়। পরে পরীক্ষামূলকভাবে সর্বশেষ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনের সবগুলো কেন্দ্রে এই ট্যাব ব্যবহার করা হয়। সেই নির্বাচনে সফলতার কারণেই চতুর্থ ধাপে ব্যবহার না করলেও পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে পাঁচটি উপজেলার ভোটে ট্যাব ব্যবহার হয়। কিন্তু সেখানেও ট্যাবের কারণে ফলাফল প্রকাশে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৮ জুন) গাজীপুর সদর, নারায়ণগঞ্চ বন্দর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নোয়াখালী সদর, রাজশাহীর পবায় ট্যাব ব্যবহার করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভোট কেন্দ্রের সার্বিক প্রতিবেদন এবং ফলাফল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। কিন্তু ভোটের ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে সেই ট্যাবের ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে নোয়াখালী সদরে রাত সাড়ে দশটা ও রাজশাহীর পবায় রাত ১১টায় প্রকাশিত হয়। এরমধ্যে নোয়াখালী সদরে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হয়। এছাড়াও বাকি তিন উপজেলায় ইভিএমে ভোট হয়েছে, সেখানেও ট্যাবের কারণে ফল প্রকাশে বিলম্ব হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ইতোপূর্বে উপজেলা নির্বাচনেও ট্যাব ব্যবহার করে ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হয়েছিল। এরপর কমিশন পরের ধাপের ভোটে ট্যাব ব্যবহার করেনি। তখন ট্যাবে সফটওয়্যার ও ইন্টারনেট দুটি সমস্যাই ছিল। কিন্তু এখন সফটওয়্যারে সমস্যা না করলেও ইন্টারনেটের সমস্যা ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব ঘটাচ্ছে। এমনকি ইভিএমে ভোট হওয়া উপজেলাগুলোতে ট্যাবের কারণে ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে।

ম্যাক্সিমাস টি২ ব্র্যান্ডের ট্যাবগুলোতে পাঁচ ধরনের সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো হলো- ক্রেডেনশিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার, পোলিং পারসোনাল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, ইলেকশন শিডিউল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, রেজাল্ট কাউন্টিং অ্যান্ড ডিকলেরাশন সিস্টেম ও সিস্টেম ডকুমেন্টশন। আর পুরো প্রক্রিয়াটির জন্য কেনা হয়েছে সার্ভারও।

গত ১৮ মার্চ কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪২ হাজার ২০০টি ট্যাব ও সফটওয়্যার গ্রহণের জন্য সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হককে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট ট্যাব রিসিভিং কমিটি গঠন করে কমিশন।

পঞ্চম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের আগে মো. রফিকুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেছিলেন, আমরা সফটওয়্যারগুলো আপডেট করেছি। এখন আর তেমন সমস্যা নেই। তবে আজ ট্যাবে ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।

এ বিষয়ে ইসি সচিব মো: আলমগীর বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গণনা ৩০ মিনিটের মধ্যে হয়ে যায়। আর ট্যাবে ফলাফল দ্রুত দেয়া যায়। কিন্তু অনেক জায়গায় ইন্টারনেট সমস্যা করেছে। সমস্যাটা ট্যাবের নয়, ইন্টারনেটের। এজন্য আমরা ভাবছি, সামনে নির্বাচনের আগে কমিশনের সিদ্ধান্ত হলে বিটিআরটিসিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে চিঠি দিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ইন্টারনেট স্পিড ঠিক রাখার জন্য বলা হবে। তবে এবার সফটওয়্যারের কোন সমস্যা হয়নি।

জানা গেছে, প্রিজাইডিং অফিসারদের মাঝে বিতরণ করা ট্যাবে ছিল সেন্টার রেজাল্ট ডিসক্রিমিনেশন অ্যান্ড রিপুটিং (সিআরডিআর) অ্যাপ্লিকেশন। প্রত্যেক প্রিজাইডিং অফিসারকে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়। এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে প্রিজাইডিং অফিসার দুই ঘণ্টা পর পর ভোটকেন্দ্রের প্রতিবেদন পাঠানোর কথা থাকলেও ইন্টারনেটের সমস্যার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনার পর প্রাপ্ত ফলাফল ও বিবরণী ফরমে লিপিবদ্ধ করা হয়। একই সঙ্গে ট্যাবের অ্যাপ্লিকেশনে প্রাপ্ত ফল এন্ট্রি এবং প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষরকৃত ফল বিবরণী ছবি তুলে ফলাফলের সঙ্গে সংযুক্ত করে পাঠাতে গিয়ে ইন্টারনেটের কম গতি বিপত্তি সৃষ্টি করে।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ট্যাব মূলত কেন্দ্রে ব্যবহার হয়। সারাদিনের নির্বাচনী আপডেট ট্যাবের মাধ্যমে দেয়া হবে। কোথাও সংঘাত,পরিস্থিতি, ভোটের চিত্র এবং সার্বিক ফল ট্যাবের মাধ্যমে তৈরি করতে পারবে। বর্তমানে যে যে ট্যাব কেনা হয়েছে, দামের তুলনায় সেটির মান খারাপ না। বগুড়া-৬ উপনির্বাচনের সবগুলো কেন্দ্রে ট্যাব ব্যবহার করা হবে বলেও জানান তিনি।

ইভিএমের কেন্দ্রের ফলাফল বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে এনআইডি অনুবিভাগের অপারেশন প্ল্যানিং এন্ড কমিউনিকেশন অফিসার ইনচার্জ স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, এবার ইভিএমে যতটি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে, সবগুলোই সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। কিন্তু ট্যাবের সমস্যার কারণে আমরা যথাসময়ে আমাদের ফল দিতে পারিনি।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও দ্রুত ফলাফল প্রকাশের জন্য  নির্বাচন কমিশনকে ওই ৪২ হাজার ট্যাব সরবরাহ করছে কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেড। দ্রুত ফল পাঠানোর জন্য এ ট্যাবগুলো কেনার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। দরপত্র অনুযায়ী, ট্যাবগুলোর গ্যারান্টি তিন বছর। কিন্তু সরবরাহের সাতদিনের মাথায় ব্যবহার করতে গেলে ট্যাবগুলোয় সমস্যা ধরা পড়ে।

গত ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের উপজেলা ভোটে রংপুর সদর, গোপালগঞ্জ সদর, মানিকগঞ্জ সদর ও মেহেরপুর সদর উপজেলার ভোটে ট্যাব ব্যবহার করা হয়। সেখানে ইলেকট্রনিংক ভোটিং মেশিনেও ভোট নেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই ভোটের ফল দ্রুত পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই ট্যাবের মাধ্যমে ফলাফল পাঠাতে গিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। পরে শেষপর্যন্ত ট্যাবের মাধ্যমে পাঠানো তথ্য বাতিল করে পুরনো পদ্ধতিতে ফল সংগ্রহ করা হয়। যে কারণে এই দু’টি উপজেলার ফল ঘোষণা করতে বিলম্ব হয়। এই ঘটনার পর ইসি ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ট্যাবের ব্যবহার বাতিল করে।

   

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;