আ’লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

রোববার (২৩ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/23/1561262619332.jpg

বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন শেখ হাসিনা। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দলের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমার ও আমার দলের প্রতিজ্ঞা হল দেশকে ক্ষুধামুক্ত করা, যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল।‘

এ সময় তিনি ৭০ বছরে দলের জন্য যারা বিভিন্ন ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের যে মর্যাদাহানি হয়েছিল, সে মর্যাদা আবারো প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে আওয়ামী লীগ।’

এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/23/1561262667845.jpg

প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও যুব মহিলা লীগসহ দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

নেতা-কর্মীদের পদচারণায় এখন মুখরিত ৩২ নম্বর চত্বর। 'জয় বাংলা/ জয় বঙ্গবন্ধু' ও 'শুভ শুভ দিন/আওয়ামী লীগের জন্মদিন'সহ নানা স্লোগানে তারা গোটা এলাকায় প্রকম্পিত করছেন।

এর আগে সকালে সু্র্যোদয়ের ক্ষণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও দেশব্যাপী জেলা কার্যালয়গুলোতে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

   

ঠাকুরগাঁওয়ে ১২ মিনিটের ঝড়ে নারী-শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

১২ মিনিটের ঝড়-বৃষ্টিতে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুটি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এসময় ঝড়ের কবলে পড়ে দুই নারী ও পানিতে ডুবে মারা গেছে আড়াই বছরের এক শিশু।

শনিবার (১ জুন) ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের শালডাঙ্গা গ্রামের পইনুল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), একই গ্রামের দবিরুল ইসলামের স্ত্রী জাহেদা বেগম (৫০) এবং একই উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের লালাপুর নয়াপাড়া গ্রামের নাজমুল ইসলামের ছেলে নাঈয়ুম।

পইনুল ইসলাম জানান, সকালে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে মসজিদে থাকা অবস্থায় ঝড় শুরু হয়। বাড়িতে ছুটে এসে স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে ডাকাডাকি শুরু করি। পরে বাতাসে উড়ে এসে পড়া টিনের ছাউনি সরিয়ে দেখি নিচে চাপা পড়ে আছে স্ত্রী। উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পাড়িয়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের দফাদার আজিজুর রহমান জানান, ঝড়ের সময় বারান্দা বসে ছিলেন দবিরুল ইসলাম ওরফে বেকার স্ত্রী জাহেদা। মেঘের গর্জন আর ঝড়ে গাছপালা উড়তে দেখে বারান্দাতেই মারা যান তিনি।

দবিরুল ইসলাম ওরফে বেকা জানান, তার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ঝড়ের সময় ভয়ে স্ট্রোক করেছেন বলে ধারণা করছেন তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঝড়ে পাড়িয়া ইউনিয়নের তিলকড়া, শালডাঙ্গা, বঙ্গভিটা, লোহাড়া, বামুনিয়াসহ ১২টি গ্রাম, বড়বাড়ী ইউনিয়নের বেলহাড়া, বেলবাড়ী, বটের হাট, হরিপুরসহ ৮টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশিরভাগ কাঁচা বাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে। গাছ ভেঙে পড়েছে ঘরের ওপর।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান এবং আমাদের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে কাজ করছে।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন, ঝড়ে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

;

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

শনিবার (১ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে আগুন নিয়ন্ত্রণের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তানজিমারখোলা এলাকার এই ক্যাম্পটিতে বড় একটি বাজার রয়েছে। যেখান থেকে ১৩, ১৪ ও ১৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রায় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নিজেদের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করে থাকেন।

গেলো শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই বাজারের পাশেই বি/৩ ব্লকে সূত্রপাত হওয়া আগুনে পুড়ে যায় ২৩০টি ঘর।

;

দেড় ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের আউটার সিগনাল এলাকায় তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকলের ঘটনায় দেড় ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। পরে অন্য ট্রেনের ইঞ্জিন এসে স্টেশনে নিয়ে গেলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শনিবার (১ জুন) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়।

গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের এটিএসআই কার্তিক রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বেলা ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী তিস্তা এক্সপ্রেস গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের আউটার সিগলাল এলাকায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেন মশাখালী স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মহুয়া এক্সপ্রেস বগি রেখে ইঞ্জিন গফরগাঁও এসে তিস্তা এক্সপ্রেসকে পিছন থেকে ঠেলে স্টেশনে নিয়ে আসে। বর্তমানে তিস্তা এক্সপ্রেস গফরগাঁও স্টেশনের এক নম্বর লাইনে দাঁড় করিয়ে দুই নম্বর লাইন দিয়ে ঢাকা ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল সচল করা হয়। গৌরীপুর থেকে ইঞ্জিন এসে তিস্তা এক্সপ্রেস টেনের বগি নিয়ে ময়মনসিংহের দিকে রওনা হবে।

;

বাজেটে হিমাগার ও কৃষিখাতে বিশেষ বরাদ্দের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন জাতীয় বাজেটে রংপুর অঞ্চলে সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প-কলকারখানা নির্মাণে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে কৃষক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে কৃষক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এই মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা দেন সংগঠনের সদস্য সবুজ রায়, আতোয়ার রহমান বাবু, স্বপন রায়, রেদোয়ান ফেরদৌস, মজিবার রহমান প্রমুখ। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, উত্তরাঞ্চল দেশের শস্য ভান্ডার বলে খ্যাত। শুধুমাত্র সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় প্রতিবছর উৎপাদিত সবজির ৩০ শতাংশ পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। দেশে প্রতিবছর সবজির চাহিদা ১ কোটি ৫২ লক্ষ টন।

সরকারি হিমাগার না থাকায় পঁচে যাওয়ার আশঙ্কায় উৎপাদক-কৃষক পানির দরে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। একদিকে সার, ডিজেল, কীটনাশকসহ উৎপাদনের উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি অন্যদিকে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষক ধারাবাহিকভাবে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। প্রতিবছর বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দ ও ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধির পরিবর্তে কমানো হচ্ছে। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা এবং সহজ শর্তে বিনাসুদে ঋণের ব্যবস্থা করা খুব জরুরী।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দারিদ্র্যপীড়িত রংপুর অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষিভিত্তিক শিল্প কলকারখানা স্থাপনের বিকল্প নেই। অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বরাদ্দ কমিয়ে উন্নয়ন বাজেটের ৪০ শতাংশ কৃষি খাতে বরাদ্দ করা প্রয়োজন। 

এছাড়াও নেতৃবৃন্দ রংপুর অঞ্চলে আলুসহ সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প-কলকারখানা নির্মাণে বিশেষ বরাদ্দের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

;